একাডেমিক কাজ অবস্থাপনায় পূর্ণ

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। কারণ আজকে আসলে খুবই ব্যস্ততার মধ্যে আছি। আর ব্যস্ততার চেয়ে যেটা বেশি সেটা হচ্ছে খুব বেশি বিরক্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে আজকে রয়েছি।

তো পোস্ট করতে বসে আসলে ভেবেই পাচ্ছিলাম না যে কি নিয়ে পোস্ট করা যায়। কারণ এটা আমার মাঝে মধ্যে হয়। কারণ প্রতিদিন যেহেতু পোস্ট করা হয়।সেহেতু আসলে স্টক টা খুব দ্রুতই ফুরিয়ে যায়। আর নতুন ভাবনায় পরতে হয় যে আজকে আবার কি পোস্ট করা যায়। কারণ প্রতিদিন নতুন কনসেপ্ট চিন্তা করাটা বেশ কঠিন একটা ব্যাপার। যেমনটা অনেকটা আম্মু প্রায় সময় বলে যে রান্না করার চেয়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর একটা সমস্যা হলো কি রান্না করবো তা।তো আমার পরিস্থিতিটাও অনেকটা এমন। পোস্ট করাটা সুবিধা এবং পোস্ট করাটা সহজ। কিন্তু কি পোস্ট করবো তাই আসলে বেশ কঠিন একটা কাজ।

যাইহোক তো ভাবতে ভাবতেই মনে হলো যে যেহেতু এখন একটা সমস্যার মধ্য দিয়েই যাচ্ছি। তো ভাবলাম তা নিয়েই আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।আমার আর কয়েকদিন পরে থেকে এক্সাম শুরু। তো এক্সাম এর আগে আমাদের রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কোর্সগুলো। অর্থাৎ কোন কোন কোর্স নিবো সেই কোর্সগুলো রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তো বিশাল একটা ঝামেলা থাকে। তো আমি প্রায় ৩ দিন আগেই পেমেন্ট করে ফেলেছি। কিন্তু এখনো ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে যে আমার পেমেন্ট ক্লিয়ার নয়। যার কারণে আসলে আমার রেজিস্ট্রেশনটা প্যানেলটাও অফ হয়ে রয়েছে।

সমস্যা সেসব কিছুই নয়। অর্থাৎ পেমেন্ট ক্লিয়ার করার পরে একটু সময় লাগে রেজিস্ট্রেশন প্যানেল টা ওপেন হতে। তার জন্য আসলে ইউনিভার্সিটি থেকে সমাধান দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ একটি নাম্বার দিয়ে বলা হয়েছে আমরা যেনো সেখানে যোগাযোগ করি। কিন্তু সকাল থেকে সেখানে আমি ফোন দিতে দিতে প্রায় বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। একজন ফোন রিসিভ করে বলে অন্যজনের কাছে ফোন দিতে এবং অন্যজনকে ফোন দিলে সে আবার আগের জনকেই দেখিয়ে দেয়।

আসলে একাডেমিক জায়গা গুলোতে এতো বেশি অব্যবস্থাপনা পূর্ণ কাজ হয় আজকাল যা আসলে নিজে যদি ফেইস না করি তাহলে বুঝাই যায় না। অর্থাৎ কোনো একটা সেক্টর এমন নেই যেখানে আসলে যাওয়ার পরে খুব সহজেই কাজটা করে দিবে। আসলে প্রতিটা কাজের জন্যই এতো দৌড়াদৌড়ি করতে হয় যার জন্য আসলে খুব হয়রানি হয়।

আর আমিও একটা বোকামি করে বসলাম। অর্থাৎ আমি ভেবেছিলাম হয়তো কল দিলেই ব্যাপারটা সলভ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখছি ভার্সিটিতে গেলেই একটু সুবিধা হতো।অর্থাৎ দৌড়াদৌড়ি করে নিজের কাজটা নিজেই করতে পারতাম। কিন্তু এখন এডমিন বলি কিংবা এডভাইসর বলি। যাকে কল করি সে ই অন্যজনকে দেখিয়ে দিয়ে বলে তাকে তার সাথে যোগাযোগ করেন।ব্যাপারটা আসলে এতোটা বিরক্তিকর একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে সকাল থেকে আমি আর কোনো কাজও করতে পারছি না।

আসলে এক্সাম এর আগেই কোর্স রেজিস্ট্রেশনটা করতে পারলে এক্সাম টা একটু শান্তিপূর্ণভাবে দেওয়া যায়। অর্থাৎ এক্সাম এর মাঝে আবার এক ভবন থেকে অন্য ভবনে দৌড়ানোটা খুব বেশি সময় সাপেক্ষ আর বিরক্তিকর একটা ব্যাপার।

আসলে এটাই মনে হলো যে প্রতিটা সেক্টরেই টাকা নিতে কিন্তু কোনো সমস্যা হয় না। কিংবা টাকা নিতে কোনো দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। টাকা নেওয়ার ব্যাপারগুলা খুব সুন্দরভাবে সাঁজিয়ে রাখে।এইযে যেমন আমাদের ভার্সিটির ভিতরেই দুইটা ব্যাংক রয়েছে এবং ভার্সিটির মেইন গেইটে আরো একটা ব্যাংক রয়েছে। এই ব্যাংকগুলো কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের ভার্সিটির জন্যই রাখা। কিন্তু তারপরেও প্রতিটি ভবনেই টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু যখনই কাজের ব্যাপার আসে তখন আসলে একেবারেই জগাখিচুড়ি বানিয়ে ফেলে। এটা শুধু ক্যাম্পাসে দেখেছি তা নয়। প্রায় প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপারটা এমন দেখেছি যে টাকা নেওয়ার বেলায় কোনো সমস্যা হয় না আমাদের দেশের । কিন্তু কোনো কাজ করে দেওয়ার বেলায় একশো টা ডেস্ক ঘুরে তারপরে কাজটা সম্পন্ন হয়।

ভাবলাম আপনাদের সাথে এই সমস্যার ব্যাপারটি নিয়েই কথা বলা যাক। যেহেতু এটা নিয়ে সকাল থেকে পরে আছি। জানি ব্যাপারটা সব খুব দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এই মাঝের এই বিরক্তিকর সিচুয়েশন গুলোই খুব বেশি বিরক্তি লাগে আসলে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।