প্রিয় লাইব্রেরী বাতিঘরে ফটোগ্রাফী।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি মুহূর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করা যাক। আসলে বেশ অনেকদিন আগে আমি আমার একটি পছন্দের জায়গায় গিয়েছিলাম। তো ভাবলাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যদিও খুব বেশি ছবি নেই। তবে যে ছবিগুলো রয়েছে সেগুলোই শেয়ার করার চেষ্টা করছি।

আসলে বই পড়া আমার খুব পছন্দের একটি কাজ। যদিও এখন এটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য। কারণ চাইলেও আর বই পড়তে পারি না আজকাল। কারণ সময় হয়ে উঠে না।

তবে তাই বলে যে বই পড়া একেবারেই হয় না তা কিন্তু নয়। তবে হ্যাঁ একটা বিষয়ে একেবারেই এখন আর হয় না। সেটা হচ্ছে বই কেনা। কারণ আসলে আগে যখন অনেক বেশি বই পড়া হতো। তখন অনেক বই কেনাও হতো। কিন্তু এখন যখন আর বই পড়া হয় না খুব একটা। তাই আসলে আর বই কেনার সময়টা হয়ে ওঠে না। তবে মাঝে মধ্যেই বই পড়তে যাই আমার খুব প্রিয় একটি জায়গায়।

চট্টগ্রামের বাতিঘর আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা বলা চলে। এটা একটি লাইব্রেরি যেখানে বই পড়া যায়। আর বইয়ের এতো বেশি কালেকশন থাকে যে আপনি গিয়ে বই পাবেন না এমন কখনোই হয় না। অর্থাৎ যেই বইটাই খোঁজা হোক না কেনো সেই বইটাই মোটামুটি পাওয়া যায় লাইব্রেরীটায়।

তো সেদিন গিয়েছিলাম বাতিঘরে। যাওয়ার পরে আসলে একটা ফ্রেন্ড বললো যে প্রায় তো আসা হয় কিন্তু খুব একটা ফটোগ্রাফি করা হয় না। তো কিছু ফটোগ্রাফি করা যাক।

আসলে প্রথমদিকে যে ফ্রেন্ডটা ফটোগ্রাফি করছিলো তা আমি মোটেও খেয়াল করিনি। তবে সে ছবি ভালো তুলে এটা কিন্তু মানতেই হবে, বলুন?

এরপরে সে হঠাৎ করে বলল একটু এই দিকে তাকা তো। আমি সাধারণভাবে তাকাতেই দেখি সে ফটোগ্রাফি করছে। তো আমিও বললাম ঠিক আছে কি করার আর কিছু ফটোগ্রাফি করাই যাক।

যেহেতু আমরা তিনজন গিয়েছিলাম। সেহেতু আমরা তিনজন বেশ মজাও করছিলাম, সে সাথে বইও পড়ছিলাম। আসলে ফ্রেন্ডরা একসাথে হলে যা হয় আর কি।

আসলে বই পড়ার মধ্যে যে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করে। তা সবার মধ্যে কাজ করে কিনা জানিনা। তবে আমার মধ্যে একটু বেশি কাজ করে।

এরপরে অন্তিক মাহমুদের একটা বই হাতে পেলাম। ভাল্লাগেনা নাম। আসলে অন্তিক মাহমুদকে বাংলাদেশের চিনে না এমন হয়তো কেউ নেই। আর যদি কেউ না চিনে থাকেন তাহলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

বইটা মোটামুটি ভালই লেগেছে আমার কাছে। তাই একটু পড়ার চেষ্টা করছিলাম।

এরপরে আমরা ফটোগ্রাফি আর খুব একটা না করে একটু বই পড়ার দিকে মনোযোগ দিলাম। তো বেশ অনেকক্ষনই আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বই পড়েছিলাম। বাতিঘরের একটাই সমস্যা সেটা হল বসে বই পড়ার খুব একটা ব্যবস্থা নেই। তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেশ অনেকক্ষণ বই পড়লাম।

এরপরে গিয়েছিলাম অন্য একটি জায়গায। তা এর পরের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আজকের জন্য এখানেই শেষ করছি, ধন্যবাদ।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।