বিকেলের মূহুর্তের কিছু ফটোগ্রাফী(পাহাড়ের চূড়া,আমি,ফুল,প্রকৃতি,)||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য||

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

---

---

ফটোগ্রাফি করতে কে না ভালোবাসে। আমিও ফটোগ্রাফী করতে অনেক ভালোবাসি। তবে আমি ফটোগ্রাফী খুব একটা ভাল পারি কিনা জানিনা, তবে ট্রাই করছি একটু ছবি তোলার।আমি আপনাদের সাথে অনেক সময় আমার তোলা অনেক ফটোগ্রাফী শেয়ার করি। তো আজকে ও ঠিক অন্য দিনের মতোই আপনাদের সাথে আমার কিছু ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো।আর ছবিগুলোর পিছনের গল্প গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো অর্থাৎ ছবিগুলো তুলেছি তার পেছনে কি কি কারণ রয়েছে সেসব।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক,

---

---

সাদা ফুল

---

---

আমি যেখানে প্রাইভেট পড়তে যাই।তার পাশেই একটি মসজিদ রয়েছে। আমরা যে সময় যাই সেই সময়ে মসজিদে কোন মানুষজন থাকেনা। আর মসজিদে তালা মারা থাকে। মসজিদের সামনে অল্প একই জায়গায় কিছু ফুল গাছ রোপন করা রয়েছে। সেই ফুল গাছ গুলোর একটি ফুলগাছ এই সাদা ফুলটির। আমি এই ফুলটির নামটা ঠিক জানিনা।

---

---

মাটিতে ঝরে পরা ফুল

---

---

ওই সাদা ফুল গাছটি যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন হঠাৎ ফুল গাছটার নিচে চোখ পরলো। মাটিতে মাটিতে তাকাতেই দেখি কিছু ফুল ঝরে পরে আছে। দৃশ্যটি আমার কাছে কেন জানি না খুব দারুণ লাগলো। সেই কারণে আমি দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করতে একেবারেই ভুলিনি। কিন্তু ক্যামেরাবন্দি করার আরেকটি কারণ ছিল আপনাদের সাথে শেয়ার করার মূহুর্তটি।

---

---

ফুলের কলি

---

সাদা যে ফুল গাছটি উপরে দেখালাম। ঠিক তার পাশেই ফুলগাছটি রয়েছে। এই ফুলটির নাম আমি ঠিক জানিনা। এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ফুলটি এখনো সম্পূর্ণ ভাবে ফুটে নি। তবে এক,দুই দিনের মধ্যে হয়তো ফুলগাছটি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মেলে ধরবে প্রকৃতির মধ্যে।

---

---

আমি ও ফুল

---

---

একটু আগে আপনাদের যে সাদা ফুলগুলো দেখালাম। সেই ফুলের কিছু আমি হাতে নিয়েছি। অবশ্যই আমি ফুল ছিড়িনি। কিন্তু যে ফুলগুলো মাটিতে পরে ছিল আমি সেই ফুলগুলোর থেকেই দুই-তিনটি ফুল নিয়ে তারপর ছবি তুলেছি।

---

---

পাহাড়ের উপরে

---

---

গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে আমি একটি জায়গায় গিয়েছি। আর সেই জায়গাটির অর্থাৎ একটি পাহাড়ের উপরে গিয়েছিলাম। আমরা বেশীদূর যায়নি যেহেতু আমরা একা চিলাম তিনজন। সেই কারণে বেশি দূর যাওয়ার সাহস করিনি। কারন আমরা যতই উপরের দিকে উঠছিলাম তো মানুষজনের আনাগোনা একেবারেই কমে যাচ্ছিলো। সেই জায়গা গুলোর একটির ছবি তুলেছিলাম।আর ছবিটি আসলে হঠাৎ করে তোলা একটি ছবি, আমার কাছে সুন্দর লেগেছে।

---

---

পাহাড়ের মাঝে রাস্তা

---

---

পাহাড়ের মাঝ দিয়ে যে এতো সুন্দর রাস্তা হতে পারে এটা আমার ধারনাতেই ছিল না। রাস্তাটি এতো সুন্দর কি আর বলবো! তবে পাশের এই ঘর করে বানানো জিনিসগুলো আমি ঠিক চিনতে পারিনি। কারণ সেগুলোতে কোন পানি ও ছিল না। আমার কাছে মনে হয়েছে এই গুলো কোন মাছ চাষ অথবা এমন কিছু হবে। কারণ এগুলোতে কোনো কিছু করার কোনো উপায় বা কোন কিছু নেই শুধু এমন ঘরের মতো করা।

---

---

পাহাড়ের চূড়া থেকে

---

---

এই ছবিটিও আমি তুলেছি রাস্তায় দাঁড়িয়ে। প্রকৃতি যে কতোটা সুন্দর হয় তা যদি প্রকৃতির মাঝে যাওয়ার না যায় তাহলে বুঝা যায়না। আমরা সকলেই এই চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী থাকতে অভ্যস্ত হয়ে পরছি। আমি বলবো চার দেয়াল থেকে আমাদের একটু বের হয়ে প্রকৃতির মাঝে যাওয়া উচিত। তা না হলে আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবোনা।

---

---

প্রকৃতি

---

---

এই ছবিটি আমি বিন্দু পরিমাণও এডিট করিনি। ছবিটির যেমন তুলেছি ঠিক তেমনটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। প্রকৃতি কতোটা সুন্দর তাও একবার চেয়ে দেখুন। উপরে নীল আকাশ, পাহাড়ের চূড়া তার উপর দিয়ে পাখি উড়ে যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে বোধ হয়েছে যে এটি একটি দারুন মুহুর্ত ছিল।

---

---

এক তোড়ায় হরেক রঙ এর ফুল

---

---

এই ছবিটি দেখে বুঝতে পারছেন আমার হাতে একটি ফুলের ছোট অংশ রয়েছে। ফুলের অংশ না ঠিক এটি একটি ফুলের তোড়া। একটি আশ্চর্যজনক ব্যাপার দেখুন একটি ছোট ফুলের তোড়া। কিন্তু একইসাথে তিন থেকে চার রংয়ের ফুল, ছোট ছোট ফুল রয়েছে। এটি একই গাছের যেটা হয়তো আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন।

---

---

রাস্তা

---

---

আমি প্রথমে যেটা বলেছিলাম সেটাই আপনারা একটু দেখলেই বুঝতে পারবেন। যে রাস্তাটি কতোটি খালি এবং খুব একটা জনমানব নেই। তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো আমাদের শহরের ভিতর রাস্তা গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত চলাচল করছি। কিন্তু পাহাড়ের উপরে এতো সুন্দর রাস্তা থাকতে পারে।এটা আগে আমি না দেখলে কখনই বিশ্বাস করতাম না।

---

---

ছায়া

---

---

আমরা যে তিনজন গিয়েছিলাম, এই ছবিটি হলো সেই তিনজনের ছায়ার একটি ফটোগ্রাফি। যেহেতু আমরা প্রায় সকালের দিকে গিয়েছিলাম। তাই অনেকটাই রোদ ছিল। যেকারণে ছায়াগুলো আরো স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিলো।

---

---

ঝালমুড়ি

---

---

কিছুক্ষণ আমরা ছবি তুলে আড্ডা দিয়েছি।এরপর চলে আসছিলাম তখন আমাদের তিনজনের বেশ খুদা লেগেছিলো।কারণ আমরা সকালে কিছু খেয়ে আসিনি।আর আমি সেদিন রাতেও কিছু খাইনি। সে কারণে একটু বেশি খুদা লেগেছিলো। সেই মুহূর্তে দেখলাম সামনে ঝাল মুড়িওয়ালা মামা রয়েছে। সেখান থেকে আমরা তিনজনের জন্য ঝাল মুড়ি কিনে নিলাম। আর ঝাল মুড়ি তো আমার অনেক প্রিয়, খুবই প্রিয় সেটা তো আপনারা সকলেই জানেন। নতুন করে কি আর বলবো।

এরপর আমরা বাসায় চলে এলাম আজকের জন্য এখানেই সমাপ্ত।

---

---

ডিভাইস	আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স
লোকেশন	What's 3 Word Location
ছবি	নূসুরা নূর

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।

আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||