পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের ও সংযত হওয়া উচিত।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে হাজির হয়েছি।আসলে আজকের জেনারেল রাইটিং পোস্ট এর সাথে আমার মনে হয় এখানকার যতোগুলো স্টুডেন্ট রয়েছে এবং স্টুডেন্ট ছিলেন। সবাই বেশ ভালোভাবেই রিলেট করতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বারিয়ে আজকে লেখাটি শুরু করা যাক।

আপনারা তো সকলেই জানেন যে আমার আসলে এতোদিন পরীক্ষা চলছিলো। তো বেশ প্রেসার এর মধ্যে দিয়েই এতোদিন কাটিয়েছিলাম। কারণ পরীক্ষা মানে বুঝতেই পারছেন, আলাদা প্রেসার এবং পুরো বছরের জমিয়ে রাখা পড়া গুলো সব এক রাতে কমপ্লিট করা। অর্থাৎ সবমিলিয়ে বেশ বিরক্তিকর এবং বেশ ডিস্টার্বিং একটা সিচুয়েশন।

আসলে পরীক্ষার আগে তো যেমন তেমন, যাই হোক কোনো রকম পড়ে টড়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার হলে যে বিরক্তিটা পাই, সেটার লেভেল আসলে আমার কাছে অন্যরকমই মনে হয়।

এই যেমন যারা প্রথম বেঞ্চে বসে কিংবা প্রথম সারির দিকে পরীক্ষা দেয়। তারা ব্যাপারটা বেশ ভালো বুঝতে পারবে। আমরা সবাই জানি যে পরীক্ষার হলে শিক্ষকরা গার্ড দেয় এবং বেশ কড়াকড়ি ভাবেই দেয়। যেটা নিয়ে আসলে বিশেষ কিছু বলার নেই আমার। কিন্তু যেই ব্যাপারটা নিয়ে আমার বেশ আপত্তি আছে। তা হলো, কিছু শিক্ষক দেখবেন পরীক্ষার হলে গার্ড দিতে এসে এমন খোশগল্পে মজে যায়।তাদের সামনে যে একটা স্টুডেন্ট পরীক্ষা দিচ্ছে। সেটা একেবারে মাথাতেই আনে না উনারা!

গত কয়েকটা এক্সামে এই বিষয়টা নিয়ে যে কতোটা বিরক্ত হয়েছি। আমি তা জাস্ট বলে বোঝাতে পারবো না। যেমন সেদিন একটা ফর্মুলা বেশ ভালোভাবে মাথায় আনার চেষ্টা করছিলাম। কারণ আমি পুরোপুরি ভাবে ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সামনের দুই ম্যাডাম এমন ভাবে সাংসারিক আলাপ করছিলেন। আমি কোনোভাবেই শেষ পর্যন্ত আর ফর্মুলা টা মনে আনতে পারিনি।তাহলে বুঝুন অবস্থা, কাদের জন্য পরীক্ষাটা খারাপ হলো !

টিচারদের আসলে দোষ ধরা ঠিক নয়। অন্তত স্টুডেন্ট হয়ে শিক্ষকদের দোষ ধরা তো মোটেও ঠিক নয়। কিন্তু আমার কাছে মনের শিক্ষকদের এই অভ্যাসটা অবশ্যই বদলানো উচিত। যদিও সব শিক্ষকরা এই কাজটা করে না। কিন্তু কিছু শিক্ষকরা এই কাজটা খুব বেশি করে থাকে। তারা ভুলেই যায় যে তারা একটা পরীক্ষার হলে রয়েছে। তাদের কাছে মনে হয় যেনো তারা কোনো অবসর সময় কাটাতে এসেছে!

আর তাদের এই গল্পগুজব এর খেসারতটা দিতে হয় সামনের বেঞ্চে বসা স্টুডেন্টদের। আর যে স্টুডেন্টরা খারাপ করলে আবার টিচাররাই বলে যে সেই স্টুডেন্ট কোনো পড়াশোনাই করেনি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।