নিরামিষ আলু কাবলি রেসিপি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আজকে সকাল থেকেই একটু মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু কি খাওয়া যায় সেটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হঠাৎ করে আলুর দিকে চোখ পরল, আর মনে হল অনেক বছর হয়ে গেছে আলু কাবলি খাই না। শেষবার খেয়েছিলাম যখন আমি স্কুলে পড়তাম। স্কুলের সামনে একটা কাবলি কাকু বসতো, তার কাছ থেকেই টিফিনের সময় আলু কাবলি কিনে খেতাম। তারপর কলেজ জীবনে কখনো আলু কাবলি খেয়েছি কিনা মনে পরেনা। সেই চিন্তা করে ভাবলাম আজকে খেয়েই নি।
-:আলু কাবলির উপকরণ :-
আলু
ছোলা
কাঁচা লঙ্কা
তেঁতুল
জিরা গুঁড়ো
ধনে গুঁড়ো
গোলমরিচ গুঁড়
প্রণালী :-
আলু কাবলি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি দুটি মাঝারি সাইজের আলু নিয়ে নিলাম। আলু দুটিকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলাম। এবার একটি ছুরি এবং চপার বোর্ডের সাহায্যে আলু দুটিকে চৌকো আকারের করে কেটে নিলাম। তারপর একটি বাটিতে আলু গুলো রেখে পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ হতে দিয়ে দিলাম। অনেকেই গোটা আলু সেদ্ধ করতে দিয়ে থাকে কিন্তু এতে সময় একটু বেশি লাগে বলে আমার মনে হয়। তারপর যখন ওই গোটা সেদ্ধ আলু চৌকো করে কাটা হয় তখন আলুটা ভালো করে কাটাও যায় না। ছোট বড় হয়ে যায় আর কাটতে গিয়ে ভেঙে ও যায়। তাই আমি আগে থেকেই চৌকো করে কেটে নিই, তাহলে আলু তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায় আর সুন্দর চৌকো আকারের দেখতে হয়।
আলু সেদ্ধ বসিয়ে দিয়ে আমি অন্যদিকে একটা পেয়াজ, দুটো কাঁচালঙ্কা কুচিয়ে নিলাম। যেহেতু আমি একটু কম ঝাল খাই তাই দুটো কাঁচা লঙ্কাই নিয়েছি। এবার অন্য একটি বাটিতে অর্ধেক চামচ তেঁতুল একটু জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে তেঁতুল জল তৈরি করে নিলাম। এই তেঁতুল জলের মধ্যে হাফ চামচের একটু কম জিরে গুঁড়ো, এবং ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। এতক্ষণে দেখলাম আলু সেদ্ধ হয়ে গেছে। আলুটা কিন্তু খুব বেশি গলিয়ে সেদ্ধ করব না। আলুর চৌকো সাইজ এই থাকবে এদিকে আবার সেদ্ধ হয়ে যাবে। সেই ভাবেই আলোটা সেদ্ধ করে নিয়েছি। এবার ওই তেঁতুল, জিরে ও ধনে মিশিয়ে রাখা বাটির মধ্যে সেদ্ধ আলু গুলি দিয়ে দিলাম।
ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এবার ছোলা এবং কুচানো কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিলাম। আমি যেহেতু রোজ সকালে ছোলা খাই তাই ছোলা আগে থেকেই ভেজানো ছিল। এর মধ্যে সামান্য একটু গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম। এবার ভালো করে সব উপকরণ মিশিয়ে নিলাম। একটা গন্ধরাজ লেবুর চার ভাগের এক ভাগ কেটে, দু চার ফোটা লেবুর রস দিয়ে দিলাম। এতে সুন্দর একটা গন্ধ আসবে এবং খেতেও একটু বেশি ভালো হবে। তবে এর মধ্যে আরও অনেক কিছু দেওয়া যেত। যেমন টমেটো কুচি করে দিলে খেতে আরও একটু ভালো লাগতো কিন্তু যেহেতু আমি হঠাৎ করেই আলু কাবলি বানানোর চিন্তা করেছি তাই আমার কাছে টমেটো ছিল না দেওয়ার জন্য। আর এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি করে দেওয়া যায় কিন্তু আজকে বৃহস্পতিবার হওয়ায় পেঁয়াজকুচি দিইনি। সম্পূর্ণ নিরামিষ ভাবে করা হয়েছে আজকের আলু কাবলি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
নিরামিষ আলু কাবলি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নিরামিষ আলু কাবলি রেসিপি টি চমৎকার লোভনীয় লাগছে।আপনার রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা রেসিপি টি দেখে বুঝতে পারছি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।