সিকিম ভ্রমণ। পর্ব : ০৮
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি সিকিম ভ্রমণের সপ্তম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে। আর এই পোস্টে রয়েছে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি। তো দেরি না করে শুরু করা যাক।
বরফে ঢাকা পাহাড়।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 07/01/2021
তো আমরা বেশিক্ষন আর নাথুলা বর্ডারে হওয়া এবং শীতের তীব্রতার জন্য বেশিক্ষন আর থাকতে পারলাম না। সবার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার বিশেষ করে শ্বাসপ্রশ্বাসে খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই আমরা তাড়াতাড়ি বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
একটু পোস দেবার চেষ্টা।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 07/01/2021
আসার সময় আমরা একটা বরফে আবৃত পাহাড়ের কাছে দাঁড়ালাম। নেমে সবাই মিলে একটু সেলফি নিলাম।
বরফ নিয়ে খেলা করছি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 07/01/2021
আমি আবার একটু দুটুমি করে সবার দিকে বরফ ছুড়তে লাগলাম। আমাদের দেখে অনেকগুলো গাড়ি এই পাহাড়ের কাছে থামলো এবং সবাই গাড়ি থেকে নেমে ছবি তুলতে শুরু করে দিলো।
গোধূলী লগ্ন।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 07/01/2021
কিছুক্ষন পর আমরা আবার রওনা দিলাম। ও আর একটা কথা বলতে তো ভুলে গেছি। আমরা কিন্তু আজ গ্যাংটকের হোটেল ছেড়ে চলে এসেছি। আমার আজ আর একটা নতুন হোটেলে যাবো।
জিক জ্যাক রোড।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 07/01/2021
যেতে যেতে আমরা এসে পৌঁছলাম জিকজ্যাক রোডে। পাহাড়ের উপর থেকে রাস্তাটা সাপের মতো একে বেঁকে গেছে। অসাধারণ একটা দৃশ্য।
কষ্ট হয়ে গেছে তাই বসে পড়লাম
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 07/01/2021
আমার শ্বশুর মশাই আমাকে বললো যে , তুমি আমাদের ড্রাইভার দাদার সাথে আমার একটা ছবি তুলে দাও। কারণ আমরা সবাই এত ছবি তুলছি কিন্তু ড্রাইভার দাদার সাথে একটাও ছবি তুলি নি।
গাড়ির চালকের সাথে ছবি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 07/01/2021
তো কিছুক্ষন পর আমরা আবার বেরিয়ে পড়লাম। কারণ আমাদের দুপুরে কারো খাওয়া দাওয়া হয় নি।
সেলফি নিলাম একটা।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 07/01/2021
আস্তে আস্তে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে শুরু করলো। ওই সময় আমরা পাহাড়ের উপর থেকেও দেখলাম যে , মেঘ ভাসতে ভাসতে এসে পাহাড়ের গায়ে আছরে পড়ছে। সে এক দারুন অনুভূতি ।
সূর্যাস্তের পূর্বে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 07/01/2021
মনে হচ্ছে যে , এই মেঘের ভিতরে আস্তে আস্তে সূর্য ডুবে যাচ্ছে। এরকম দৃশ্য আমি আগে কখনো দেখি নি।
সূর্যাস্তের পর।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 07/01/2021
এরপর কিছুক্ষন পর খুবই দ্রুত চারিদিকে অন্ধকারে ডুবে গেল। পাহাড়ে হঠাৎ করে অন্ধকার নেমে আসে।
মেঘের ভেলা।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 07/01/2021
রাত দশটার দিকে আমরা আমাদের নতুন হোটেলে পৌঁছলাম। তারপর হাতমুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আজ এই পর্যন্ত। তো আসাকরি আপনাদের সবাইকে আমার এই সিকিম ভ্রমণ লেখনীর মাধ্যমে উপভোগ করাতে পারছি। তো আবার ফিরে আসবো সিকিম ভ্রমণের নবম পর্বে। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ইত পূর্বে আপনি একের অধিক সিকিম ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমি সেই সমস্ত পোস্টগুলো দেখেছি এবং মুগ্ধ হয়েছিলাম। ঠিক তেমনি আজকে আমাদের মাঝে সিকিম ভ্রমণের আরও একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন, যা সত্যি মনমুগ্ধকর। নতুন একটি স্থান সম্পর্কে যেমন অবগত হতে পারছি ঠিক তেমনি তার দৃশ্য দেখতে পারছি আপনার এই ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে। আশা করি এভাবে আপনি আরো অনেক পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।
অবশ্যই দাদা।
কখনো ওইখানে যেতে পারবো কিনা তা জানি না। তবে সত্যি বলেছেন আপনার ছবির মাধ্যমে উপভোগ করেছি। এই যে বরফ খেলা খেলছেন তা দেখেও আমার ইচ্ছে করছে আপনাদের সাথে সেখানে গিয়ে মজা করতে। এরকম জায়গাগুলো ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। আর সবাই মিলে ঘুরতে যেতে তো আরও অনেক বেশি ভালো লাগে।ফটোগ্রাফিগুলোতে বুঝা যাচ্ছে জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর জায়গাটা আমাদের মাঝে ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করার জন্য।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন ঘুরে আসার জন্য। অনেক সুন্দর জায়গা।
জায়গাটা কিন্তু অসাধারণ। এর আগেও প্রায় কয়েকটা ফটোগ্রাফি দেখেছি। বিশেষ করে বরফ নিয়ে খেলার মুহূর্তটা অসাধারণ লেগেছে। এত সুন্দর জায়গা কি বলবো। এই ধরনের জায়গা দেখলেই ভালো লাগে। বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সূর্যাস্তের পরের মুহূর্তটি দেখে মনে হচ্ছে নিচে যেন মেঘ হাত দিয়ে ধরতে পারবো। মেঘের বেলার ফটোগ্রাফি টাও বেশ অসাধারণ হয়েছে।
অসাধারণ একটা জায়গা এই সিকিম।
সিকিম ট্যুরের ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। ফটোগ্রাফিতে সিকিম দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম পুরো। আমি কোনদিন সিকিম ঘুরতে গেলে বরফ নিয়ে খেলা অবশ্যই করবো। সূর্যাস্তের পূর্বের এবং পরের ফটোগ্রাফির দুটি নজর কেড়ে নেয়ার মত হয়েছে। তাছাড়াও বরফে ঢাকা পাহাড়, জিক জ্যাক রোড এর ফটোগ্রাফিও বেশ সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ।