সোর্স

প্রাচীনকালে মানুষ বিভিন্ন কষ্টের মধ্য দিয়ে বসবাস করত। আসলে তখনকার সময়ে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের এইসব উন্নত যন্ত্রপাতির তখন ছিল না। তখন মানুষের যেসব জিনিসের প্রয়োজন হতো সে সব জিনিসের চাহিদা তাদের নিজেদেরকেই পূরণ করতে হতো। এছাড়াও সামান্য একটু কাজের জন্য তাদের অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে হতো।

আসলে আমার মনে হয় যে মানুষের প্রয়োজনীয়তার থেকেই নতুন নতুন জিনিসের আবিষ্কার হয়েছে। কারণ এই পৃথিবীতে যেসব জিনিস আবিষ্কার হয়েছে তার কোনটাই আমাদের অপ্রয়োজনীয় নয়। তাই মানুষের জীবনকে আরো সুন্দর এবং সহজ করে তোলার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের জিনিস সব সময় চিন্তা করতে থাকে এবং সেই চিন্তা থেকে নতুন নতুন জিনিসের আবিষ্কার হয়। আসলে মানুষের এইসব প্রয়োজনের বলে যেসব জিনিস আবিষ্কার হয় তা কিন্তু সমাজেরও কল্যাণের সব সময় কাজে লাগে।


কারণ যে জিনিসটা আমার প্রয়োজনে আমি তৈরি করেছি সেই একই প্রয়োজন কিন্তু অন্য মানুষেরও থাকতে পারে। এই ধরুন প্রথমে যখন হাত পাখার আবিষ্কার হয়েছে তখন মানুষকে হাত দিয়ে বাতাস করতে হতো। কিন্তু মানুষ চিন্তা করলে যে কি করে এই হাত দিয়ে বাতাস না করে যদি অটোমেটিক কোন কিছু আমাদের হাওয়া দিয়ে দিত তাহলে অনেক আরামদায়ক হত ব্যাপারটা। আর এর ফলে মানুষ সৃষ্টি করে ফেলল ফ্যান। আসলে এসব আবিষ্কারের প্রথমে বিদ্যুৎ আবিষ্কারটা কিন্তু অন্যতম বড় একটা ব্যাপার।

আসলে প্রথমদিকে মানুষ আলোর জন্য আগুনের ব্যবহার করত। কিন্তু এরপর যখন মানুষ বিদ্যুতের আবিষ্কার করতে শুরু করে দিল তখন থেকে এই আলোর ব্যবস্থাটি আরো অনেক বেশি সহজ হয়ে দাঁড়ালো। এছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল প্রয়োজনীয় জিনিস কিন্তু আমাদের প্রয়োজন থেকেই উদ্ভব হয়েছে। কারণ আপনি এমন একটা জিনিসের নাম বলুন যেটা আমাদের কখনোই কোন কাজে প্রয়োজন হয় না। আসলে এই পৃথিবীতে আমাদের যদি কোন কিছুর প্রয়োজন না হতো তাহলে কোন কিছুর আবিষ্কার হয়তোবা হতো না।

আসলে বিজ্ঞানের এই সকল জিনিস আবিষ্কারের ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সফল হয়েছে আগের তুলনায়। কিন্তু অন্য দিক থেকে এই বিজ্ঞানের কারণে আমরা যেমন যাতায়াতের জন্য যেসব যানবাহন ব্যবহার করি সেই সব যানবাহনও কিন্তু বিজ্ঞানের অন্যতম একটা বড় আবিষ্কার। কারণ আগেরকার সময় মানুষ সামান্য একটু পথ যাওয়ার জন্য তাকে অনেক বেশি কষ্ট এবং সময় অতিক্রম করতে হতো। কিন্তু দিন দিন মানুষ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং যানবাহন তৈরির ফলে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক দ্রুত হয়েছে।


আসলে বিজ্ঞানের এসব আবিষ্কারের এক দিক থেকে যেমন ভালো দিক আবার অন্য দিক থেকে খারাপ দিকও কিন্তু রয়েছে। আসলে সব সময় যে বিজ্ঞানীরা ভালো জিনিস আবিষ্কার করবে এমন কোন কথা নেই। কিছু কিছু বিজ্ঞানী রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করে মানুষের রক্ষার জন্য। কিন্তু সেসব আগ্নেয়াস্ত্র মানুষ এখন বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও ওইসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর পৃথিবী থেকে অনেক মানুষ মারা যায়। আসলে প্রতিটা জিনিসের একটা ভালো দিক যেমন রয়েছে তেমনি অন্য একটা খারাপ দিক রয়েছে।

এছাড়াও মানুষ এখন বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছে। আসলে আমাদের হাতঘড়ি থেকে শুরু করে মোবাইল পর্যন্ত সবকিছু এই বিজ্ঞানের অন্যতম একটা বড় আবিস্কার। আসলে তাই বিজ্ঞানের জয়যাত্রার জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করবো যে তাদের আবিষ্কৃত জিনিসগুলো আমরা যাতে খারাপ কোন কাজে ব্যবহার না করি। আসলে আমরাও কোন না কোন সময় কোন কিছু প্রয়োজনের থেকে কোন কিছু তৈরি করে ফেলতে পারি। আর বর্তমান সময়ে আমরা যে আরাম আয়েশ করছি সব কিছুই কিন্তু বিজ্ঞানের আবিষ্কার।

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।