বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৪৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু এই ঝর্ণা দেখাটা ছিল আমাদের সিলেট ভ্রমণের একদম শেষের দিন এবং জায়গাটি সিলেটের মূল শহর থেকে অনেক ভিতরে। এই জায়গাটিতে যেতে আমাদের প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টার উপর সময় লেগে গেছে এবং আসতেও তার থেকে অনেক বেশি সময় লেগেছিল। তাই আমরা দ্রুত সিলেটে এসে সেখানে বিভিন্ন জিনিস আমরা কিনতে শুরু করে দিলাম। কারণ পরের দিন সকালে আমরা আমাদের সেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেব। যাইহোক আমরা সবাই মিলে সিলেট থেকে বিভিন্ন ধরনের চায়ের পাতি সংগ্রহ করলাম। আসলে সিলেটের এই পাতিগুলো নাকি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে খুব কম পাওয়া যায়।
এরপর আমরা বাড়িতে পৌঁছে সবাই মিলে রেস্ট করলাম। কারণ পরের দিন আমাদের অনেক বড় একটা জার্নি করতে হবে। তাইতো আমরা আর বেশি গল্প না করে দ্রুত যার যার রুমে চলে গেলাম। কারণ সেদিন পাহাড়ে উঠে আমাদের প্রায় সবারই খুব কষ্ট হয়ে গেছিল। এছাড়াও রাত্রে আমরা তেমন কোন ভারি খাবার খেলাম না। কারণ কোন বড় জার্নির আগে ভারী খাবার খেলে আমাদের প্রায় সবারই অনেকটা অস্বস্তিকর লাগে। তাইতো আমরা সবাই হালকা রুটি এবং সবজির তরকারি খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরের দিন সকালে উঠে সবাই আমরা দ্রুত আমাদের ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। কারণ রাতের বেলায় আমরা কেউ আমাদের ব্যাগ গুছিয়ে নিতে পারেনি ক্লান্ত থাকার জন্য। তাই আমরা সকালবেলা খুব ভোরে উঠে সবাই সবার ব্যাগ গুছিয়ে নিতে শুরু করলাম। যেহেতু আমার তেমন কোন পোশাক ছিল না। তাই আমাদের ব্যাগ সবার আগে গুছিয়ে নেওয়া হয়ে গেল। এছাড়াও বোনেদের ব্যাগও খুব দ্রুত গুছিয়ে নেয়া হলো। এরপর আমরা রুমের চারিদিকে খুঁজতে শুরু করলাম যে কোথাও কিছু আমরা রেখে গেছি কিনা।
এই দায়িত্বটা আমার উপরে এসে পড়ল। আমি সবার রুমে গিয়ে চারিদিকে খুঁজতে শুরু করলাম যে কেউ কোথাও কিছু রেখে গেছে কিনা। যাইহোক আমি সবার রুম একদম চিরুনি তল্লাশি করে খুঁজে কোন কিছুই খুঁজে পেলাম না। এরপর এক এক করে সবাই সবার নিজেদের ড্রেস পড়তে শুরু করলাম। আমাদের সবার ড্রেস পরা হয়ে গেলে আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম আমাদের গাড়ির জন্য। যেহেতু ড্রাইভার আমাদের এই হোটেল থেকে একটু দূরে একটা হোটেলে ছিলেন। সেখান থেকেই হোটেলে আসতে প্রায় দশ মিনিট সময় লাগে।
এছাড়াও আজকের দিনে চারিদিকে কুয়াশা অনেক বেশি ছিল। এরপর কিছুক্ষণ পর আমাদের গাড়ির ড্রাইভার চলে এলো। আমরা সবাই এক এক করে উপর থেকে আমাদের ব্যাগগুলো নিচে নামাতে শুরু করলাম। আমি উপর দিয়ে লিফটের ভিতরে সব ব্যাগ গুলো ভর্তি করে নিচের বোতাম প্রেস করে নিচে পাঠিয়ে দিলাম এবং নিচে বোনকে দাঁড়িয়ে রেখেছিলাম যে সে যেন এই ব্যাগগুলো টেনে টেনে বের করে নেয়। এছাড়া বোনের পাশে সেই ড্রাইভার ছিল। তাই বোনকে আর ব্যাগে হাত দিতে হয়নি।
ড্রাইভার এক এক করে সব ব্যাগগুলো লিফট থেকে বের করে নিল। এরপর আমরা সবাই এক এক করে নিজেদের রুম থেকে বের হয়ে রুমের চাবি গুলো সব নিয়ে সেই হোটেলের ম্যানেজারকে বুঝিয়ে দিলাম। হোটেলের ম্যানেজারকে বোঝানোর পর তারা আমাদের স্বাগতম জানালেন এবং পরবর্তীতে আসার জন্য অনুরোধ করলেন। যাইহোক আমরা সবাই নিচে চলে এসে গাড়িতে সব ব্যাগগুলো রাখতে শুরু করে দিলাম। ড্রাইভার দাদা যত্ন সহকারে আমাদের ব্যাগগুলো গাড়িতে রাখা শুরু করে দিলেন।
এরপরে আমরা সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে রাস্তায় এতটাই কুয়াশা ছিল যে আমরা রাস্তা চারিপাশে কিছুই দেখতে পারছিলাম না। এছাড়াও বাড়িতে যাওয়ার আগে আমরা একটি পেট্রোল পাম্প থেকে আমাদের গাড়িতে ফুল ট্যাংকি করে নিলাম। কারণ বাংলাদেশের রাস্তায় সচরাচর খুব কম পেট্রোল পাম্প দেখা যায়। যাইহোক রাস্তায় এত পরিমানে কুয়াশা ছিল যে চালককে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। যাইহোক চালক দাদা অনেক সাবধানে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমিও তাই চারিদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশের তেমন কোনো ভালো ছবি তুলতে পারছিলাম না এই কুয়াশার জন্য।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 18/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।