অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে ঈমান মজবুত হয়
এক আল্লাহকে না দেখে একমাত্র উপাস্য হয়ে যাবে গ্রহণ করে নেওয়াটা সহজ ব্যাপার নয়। পৃথিবীর প্রত্যেকটা ধর্মে সৃষ্টি কর্তার নির্ধারিত আকৃতি রয়েছে। এক এক ধর্মের মানুষ আর এটা তাদের কথার এক এক রকম আকৃতি তৈরি করেছে। মধ্যে আমরাই একমাত্র মুসলিম জাতি যারা না দেখে অদৃশ্যের উপর মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করে থাকি। বলেছেন ঈমানদার হল তারাই যারা না থেকে আল্লাহকে বিশ্বাস করে। না দেখে বিশ্বাস করার ফলে মহান আল্লাহ আমাদেরকে অতি ভালবাসেন। বিশ্বাসটা একটি গভীর বিষয় যা প্রত্যেক মানুষের ভালোবাসার আত্মপ্রকাশ করে।
আপনি যে আপনার সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসেন সেটা প্রমাণ দেওয়ার জন্য আপনাকে তার প্রতি গভীর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।
আমরা একমাত্র জাতি যারা না দেখে আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আল্লাহর আকার আকৃতি যেকোনো রকম হবে পারে এটা কল্পনা করে তৈরি করা সম্ভব নয়। সৃষ্টিকর্তা নিরাকার তার করার আকার আকৃতি হয় না তিনি যখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে রূপ ধারণ করতে পারে। মহান আল্লাহ বলেছেন তিনি আমাদের ধমনীর চেয়ে নিকটে রয়েছেন। অর্থাৎ আমাদের শরীরে যে ধমনী রয়েছে তার চেয়ে নিকটে মহান আল্লাহ আমাদের পাশে রয়েছেন। এই যে এই বিষয়টা অন্যের মত বিশ্বাস করাটাই একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য।
না দেখে আপনি মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করলে আপনার জন্য অধিক কল্যাণ রয়েছে। মহান আল্লাহর সত্তা প্রমাণ করতে হয় না প্রকৃতির বিভিন্ন আলামতের মাধ্যমে তিনি তার অবস্থা জানান দেন। কোরআনের বিভিন্ন ব্যাখ্যার মাধ্যমে ছাত্রদের বিভিন্ন অবস্থার মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর সত্যতা যাচাই করতে পারি। মহান আল্লাহকে সশরীরে আমাদের সামনে এসে প্রকাশ হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
আমাদের ঈমানকে মজবুত রেখে আমরা যখন মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাসটা স্থাপন করে মৃত্যুবরণ করতে পারব তখনই একজন প্রকৃত মুমিন হতে পারব।
সুতরাং আসুন আমরা অদৃশ্যে ঈমান আনি এবং মহান আল্লাহর প্রতি নিজেদের দৃঢ় বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করি। তাহলে একজন প্রকৃত মুমিন হিসেবে মহান আল্লাহর দরবারে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব।
ধন্যবাদ আপনাকে সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আর নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।