বেকার হতে চাই নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
বেকার হতে চাই নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | বেকার হতে চাই |
---|---|
পরিচালক | মঈন আহমেদ |
অভিনয় | শাহেদ শাহরিয়ার, যারা নূর সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে চলে আসলাম। আশা করি আপনারা এই নাটক এর টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন আজকে আমি কি সম্পর্কে নাটক শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আমিও যখন এই নাটকের নাম দেখেছিলাম তখন আমিও অনেকটাই মজা পেয়েছিলাম৷ তাই নাটকটি আমি দেখে নিলাম৷ খুবই সুন্দরভাবে তারা আমাদের মাঝে নাটকটি শেয়ার করেছে৷ প্রথমেই নাটক শুরু হয়ে যাবে এবং নায়ক সেখানে অফিসে এগিয়ে তার বসের কাছে তার রেজিগনেশন লেটার দিয়ে আসে এবং সে বলে যে সে আর এখানে চাকরি করবে না৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
সে এখান থেকে চলে যাবে৷ তার কাছে এখন আর চাকরি ভালো লাগে না৷ সে এই প্যারা থেকে মুক্তি পেতে চায়৷ তাই তার অফিসে সে আর আসবে না৷ তাই সে সেখানে তাকে সেই লেটার দিয়ে চলে আসে৷ তখন নায়িকা অর্থাৎ তার বস তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে সে এই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে কেন৷ তার এত ভালো একটা বেতন রয়েছে এবং সে অফিস থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। তার যদি আরো সুযোগ-সুবিধার দরকার হয় তাহলে তাও তার বস ব্যবস্থা করে দিবে৷ তবুও যেন সে এই অফিস ছেড়ে না যায়৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তবে নায়ক কোনভাবে কোন কিছু শোনার পাত্র ছিল না৷ সে বলছে মানে এই অফিস ছেড়ে দিবে মানে সে ছেড়ে দিবে৷ এর পরবর্তীতে সে অফিসে আসা বন্ধ করে দেয়৷ সে যখন অফিসে আসলো না তখন নায়িকা তার যে বডিগার্ডগুলো রয়েছে সেগুলোকে নায়কের বাসায় পাঠিয়ে দেয়৷ বলে যে তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসার জন্য তখন তারা তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসে এবং নায়িকার অফিসে এনে বেঁধে রাখে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তবুও নায়ক সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসে৷ যখন তাকে সেখানে বেঁধে রাখা হয় তখন সে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে যাতে করে সেখান থেকে সে বের হয়ে আসতে পারে৷ তবে সে কোনভাবেই কোন ধরনের কৌশলে সফল হতে পারে না৷ তখন সে বলে যে সে চাকরি করবে৷ তখন তার বাধা খুলে দেওয়া হয়৷ তখন সে আবার সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়৷ সে বাসায়ও আসে না৷ তার বস তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করতে থাকে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তাকে চাকরি করার জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করতে থাকে৷ অনেক জোর জবরদস্তিও করতে থাকে৷ তবে কোনভাবে নায়ক চাকরি করার জন্য আগ্রহী ছিল না৷ সে বলল যে সে আর কখনো চাকরি করবে না৷ কারণ সে বেকার হতে চায়৷ সে বেকারই থাকবে৷ তাই নায়িকা তাকে সবসময়ই তার বডিগার্ডের দ্বারা অফিসে নিয়ে আসার চেষ্টা করে৷ তবে নায়ক কোন ভাবে তাদের কাছে ধরা দিত না৷ নায়ক তার পরিচয় গোপন করে ফেলে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
সে তার বাসায় একজন পীরের মতো বসে থাকে৷ সে সেখানে যখন নায়িকাকে দেখতে পায় তখন সে বিভিন্ন ধরনের কথা নায়িকাকে বলতে থাকে৷ এর পরবর্তী সময়ে নায়ক বিভিন্নভাবেই তার পরিচয় গোপন করে চলাফেরা করে৷ তবে নায়িকা এবং তার বডিগার্ড অনেকভাবেই তাকে চিনে ফেলে এবং তাকে ধরে নিয়ে আসে চাকরি করার জন্য৷ তবে নায়ক বারবারই তাদের হাত থেকে পালিয়ে চলে আসে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপরও যখন নায়িকা এত কষ্ট করার পরেও দেখতে পায় যে নায়কের কোনভাবে তার অফিসে চাকরি করার জন্য রাজি হচ্ছে না এবং সে কোনভাবেই আর অফিসে আসতে চাচ্ছে না তাই নায়িকা বলে সে তো এখন পাগল হয়ে গিয়েছে, তাকে এখন সে পাগলা গারোতে দিয়ে আসবে৷ তখন সে জোর করে তাকে ধরে নিয়ে আসে৷ সেখানে নায়ক আসতে চাচ্ছিল না৷ তারপরেও নায়িকা তাকে অনেক জোর করে নিয়ে আসে পাগলা গারোতে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
সে বলে যে সে যেহেতু এখন পাগল হয়ে গিয়েছে সে আর কখনোই যেন তারা পিছনে না যায়৷ সে এখানেই থাকবে এবং এখানে যখন তার পাগলামি ঠিক হয়ে যাবে তখনই সে তার অফিসে যেতে পারবে৷ তখন নায়ককে জোর করে সেখানে দিয়ে দেওয়া হয়৷ নায়িকার যে বডিগার্ড ছিল তাদেরকেও নায়কের সাথে সেখানে দেওয়া হয়৷ কারণ তারা নায়ককে পাহারা দিবে৷ সে যেন এখান থেকেও না পালিয়ে যায়৷ এর পরবর্তী সময়ে নায়ক সেখানে আবারো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে তখন সেখান থেকে সে পালাতে পারেনি৷ তখন সে সেখানে পাগলদের মতো অভিনয় করতে থাকে৷ সবাই ভাবে সে সত্যিকারের পাগল হয়ে গিয়েছে৷ এরপর সেখানে পুলিশ আসে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নায়িকা বলে যে সে তার অফিস থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে এবং চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার কোম্পানির অনেক লস হয়ে যাচ্ছে৷ তখন নায়ক বলে যে এরকম কষ্ট মানুষ কিভাবে করে৷ কারণ নায়িকার অফিসে এত বেশি পরিমাণে কষ্ট করানো হয় যে মানুষজন সেখানে কাজ করা তো অনেক দূরের কথা সেখান থেকে কিভাবে পালিয়ে চলে আসবে এসব কিছুই ভাবতে থাকে৷ তাই নায়ক সেই অফিসে চাকরি না করে সেখান থেকে বের হয়ে আসে৷ তখন পুলিশ নায়িকাকে বলে যে মানুষকে যেন আর কষ্ট না দেয় এবং যেন তাদেরকে অল্প কষ্ট দিয়েই তাদের বেতন দিয়ে দেয়৷ এভাবেই সবকিছু আবারও ঠিকঠাক হয়ে যায় এবং নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি। আসলে আমাদের অনেকের জীবনে আমরা হয়তো এরকম ঘটনাগুলো দেখেছি৷ কারণ চাকরি করাটা যেরকম কষ্টের৷ চাকরি টিকিয়ে রাখা আরো অনেক বেশি কষ্টের৷ চাকরির মাধ্যমে অনেকে অনেক ধরনের কষ্টের সম্মুখীন হয়ে থাকে৷ অনেক ধরনের কষ্টের দ্বারা বাস্তবতা সম্পর্কে বুঝতে পারে৷ আসলে পারিবারিক সমস্যা থাকার ফলেই মানুষ চাকরি করে এবং সেই চাকরির ক্ষেত্রে যদি মানুষের টাকার আরো অনেক বেশি প্রয়োজন হয় তখন সে আরো বেশি করে কাজ করতে থাকে৷
সেই কাজের সুযোগ নেই অফিসের যে বস রয়েছে তারা৷ তারা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে কাজ করানোর পরে যখন তাদেরকে বেতন দেয় না তখন তাদের আর কিছুই করার থাকে না৷ কারণ একজন মানুষ তার কষ্ট দিয়ে যদি টাকা অর্জন করতে না পারে তখন সে আর কি করবে৷ তাই সে অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না৷ তেমনি নাটকের মাধ্যমে সেরকম একটি বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷
তবে নাটকের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল৷ তবে বাস্তবিক জীবনে সব কিছু আবারো ঠিক হয় না৷ কারণ বাস্তবিক জীবনের যে ঘটনাগুলো রয়েছে তা নাটকের সাথে কখনোই মিল হবে না৷ বাস্তবে এমন অনেক মানুষ এখনো বেকার রয়েছে৷ তবে এই বেকারত্ব একদিন অবশ্যই শেষ হবে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৭/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
এত মিনিটের একটা নাটক মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পড়ে নেওয়া যায়। আমি তো মনে করি দেখার থেকে রিভিউ পড়ে নেওয়াই ভালো। তাহলে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনীটা মাত্র ২ মিনিটেই জেনে নেওয়া যায়। বেশি সময় আর অপচয় করা লাগে না দেখে। আমি তো এখন সব সময় চেষ্টা করি নাটকের রিভিউর মাধ্যমেই কাহিনীটা জেনে নেওয়ার জন্য। আর ঠিক তেমনি এখনো চেষ্টা করলাম। ভালো লাগলো এই রিভিউ টা।
তোমাকে ধন্যবাদ রকি।
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া।খুবই চমৎকার ছিল নাটকের গল্প টি।এই ধরনের নাটক গুলো আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে।আপনি এত সুন্দর ভাবে নাটকটির পুরো গল্প শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্য।
প্রতিটি চাকরিজীবী মানুষের মনের কথা এই নাটকের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছে মনে হলো। আসলে চাকরি করা যেমন কষ্ট বর্তমান সময়ে টিকিয়ে রাখা আরো বেশি কষ্টের। বেশ ভালো লাগলো নাটকের রিভিউ পড়ে। বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে নাটকটি আমার কাছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদম ঠিক।।
আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। এই নাটকটি রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। নাটকটি দেখা হয়নি। তাই আপনার রিভিউ পড়ে দেখার খুব ইচ্ছা জাগলো।
রায়হান ভাই ধন্যবাদ ভালো থাকুন সব সময়।,
এরকম ঘটনা আসলেই বাস্তব জীবনে অনেক বেশি দেখা যায়। এরকম অনেক বস রয়েছে যারা কিনা কাজ করা সেই মানুষগুলোকে অনেক কষ্ট দেয়। কষ্ট দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে তারা টাকাও দেয় না। টাকার পরিমাণ অনেক কম দিয়ে থাকে। বেকার হতে চাই নাটকের রিভিউটা আসলেই সুন্দর ছিল। আমার কাছে পুরোটা পড়তে অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য,🌿
খুব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বাস্তবিক দিকগুলো নিয়ে তৈরি করা নাটক আমার বেশ ভালো লাগে দেখতে। এই অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের নাটক আগে দেখা হয়নি। পুরো গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নাটকটি আসলেই দারুন।