সময় চুরি পর্ব -১(মজার ব্লগ)।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সময় চুরি(মজার ব্লগ)। |
---|
সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে আমি একদমই ভিন্ন একটি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছি। আমি শিওর এরকম পোস্ট হয়তো কেউ আর করেনি এবং এরকম চিন্তা ভাবনা নিয়ে কেউ পোস্ট হয়তো করবেও না। আর আমার বাংলা ব্লগ যেহেতু ভিন্নতা প্রকাশের জায়গা। তাই চিন্তা করলাম সবার চাইতে একদমই আলাদা একটি বিষয়বস্তু আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তো বন্ধুরা বেশি ভূমিকায় না গিয়ে চলুন শুরু করি।তবে শুরু করার আগে একটা কথা বলে রাখি গল্পটি আপনাকে পুরো পড়তে হবে,তা না হলে বুঝতে পারবেন না আসলে সময় চুরি নামটি কেন দেয়া হয়েছে।
একদিন বাড়ি থেকে রাগারাগি করে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চলে গেলাম বাজারে। বাজারে যাওয়ার পরে প্রথমে একটি দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে রং চা অর্ডার করলাম।যেহেতু রং চা অনেক বেশি পছন্দ করি। তখন লোকটি আমাকে রং চা দিলো কিন্তু চা টি ঠান্ডা ছিল। মেজাজটা হয়ে গেল আরো গরম। একদিক থেকে বাড়িতে ঝগড়াঝাটি করে এলাম।
আর এখন চা দোকানদার যে চা দিয়েছে সেটা ঠান্ডা হওয়াতে, মনে হলো আগুনের মধ্যে আরো কেরোসিন ঢেলে দিল।চায়ের কাপ সহ ঠান্ডা চা টা বাইরে ছিটকে ফেলে দিলাম। লোকটাকে বললাম এরকম ঠান্ডা চা মানুষ খায়?তখন লোকটি আমার সাথে তর্ক করে বলল যে মানুষ খায়না তো কে খায়?আমিও তাকে বলতে শুরু করলাম যে টাকা দিয়ে মানুষ চা খাবে ঠান্ডা কেন খাবে?
যাক এইভাবে অনেকক্ষণ তার সাথে ঝগড়াঝাটি হল। তারপর ঝগড়াঝাটি করে সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসলাম চায়ের টাকাও রাগ করে দেয়া হয়নি।এরপর গেলাম অন্য একটি জায়গায় চা খাওয়ার জন্য। সেখানে পুরনো দিনের বন্ধুর সাথে দেখা।সে বলে ভাই তোকে অনেকদিন পরে পেয়েছি কিছু খাওয়া।আসলে এমনিতেই তাকে খাওয়াতে আমার কোন সমস্যা নেই, কিন্তু সে এটা কেন বলল তাই রাগটা আরো বেড়ে গেল।
আমার কথা হলো তুই আমার সাথে নাস্তা কর, বিলটা আমিই দিবো। তবে অনেকদিন পর দেখা হয়েছে আমাকে খাওয়াতে হবে এটা কোন ধরনের কথা।আর এই কারণেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। তখন তাকে দুটো কথা শুনিয়ে দিলাম গরম হয়ে। বলতে লাগলাম যে আমারও তো তোর সাথে অনেকদিন পর দেখা তাহলে তো তুইও খাওয়াতে পারিস। যাই হোক এগুলা বলে সেখান থেকে উঠে চলে গেলাম।
এরপর চলে গেলাম আমাদের বাজারের জিরো পয়েন্টে। সেখানে গিয়ে একটি ফল দোকানের সামনে দাঁড়ালাম। সেখানে দাঁড়ানোর সাথে সাথে ফল দোকানদার বলতেছে ভাই এইখানে দাড়ানো যাবে না অন্যদিকে গিয়ে সরে দাঁড়ান। কি আর করার তার কথা মত সেখান থেকে সরে দাঁড়াতে হল। ফল দোকানের পাশেই এক পরিচিত কাপড় দোকান ছিল। সেখানে তাদের চেয়ারে বসলাম।এরই মাঝে দোকানের একটি লোক বলে উঠলো ভাই কি লাগবে।
আমি বললাম কিছু লাগবে না একটু বসলাম। সে বলে এমনিতে বসে লাভ নেই কিছু কিনলে কিনেন না হলে জান কাস্টমার বসবে।মেজাজটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেল বললাম তুমি আমাকে চেনো। এখানে যিনি মালিক তিনি আমার নানা হয়। তুমি এরকম ব্যবহার করতেছ কেন? এ কথা বলে বললাম যে আমি তোমার নামে বিচার দেবো নানার কাছে। যাক সেখান থেকেও চলে আসতে হল।
তো বন্ধুরা ব্লগটি আসলে অনেক বড়। তাই একবারে শেষ করতে পারিনি,তবে আগামী পর্ব শেষ করব। আসলে এতগুলো লেখা একসাথে শেয়ার করলে পড়তেও বিরক্ত লাগে।তাই আজকের মত এখানে শেষ করলাম। আর আগামী পর্বে আসতেছে আরো মজার কিছু ঘটনা। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | মজার গল্প। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
🙏🙏💥
https://x.com/Nevlu123/status/1739101608519270817?s=20
আসলে আপনার মেজাজ খারাপ জন্যই লোকজন যা বলছে তাতে আপনার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নরমাল সময় হয়তো এই কথাগুলো খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করতেন। তখন এতটা রাগ হতো না। আসলে আমাদের যখন রাগ ওঠে তখন কোন কিছুই ভালো লাগেনা। যাই হোক আপনার রাগ যে পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে পরবর্তীতে কি করেছিলেন তা জানার অপেক্ষা বেড়ে গেল।
সেটা ঠিক বলেছেন @tania69 আপু তবে শেষ পর্ব পড়লে আসল মজাটা পাবেন।আর শেষ পর্বও আমি শেয়ার করেছি ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হাহাহাহা অনেক হাসলাম আপনার রাগের পোস্ট টি পড়তে গিয়ে ।আমার হাসির কারণে এবার রাগ হবেন না কি ভাইয়া।সত্যি আজকের দিনটি আপনার জন্য অসাধারণ ছিলো। ভাবির সাথে রাগ করে বেরিয়েছেন জন্য এমন অবস্থা আজকে।খুব ভালো লাগলো।এভাবে মাঝে মাঝে রাগ করবে কিন্তুু কারণ আপনার রাগের কারণ গুলো আমাদের হাসির কারণ হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাদেরকে একটু হাসানোর প্রচেষ্টায় এই ব্লগটি তৈরি করা। তবে শেষ পর্ব পড়লে আসল মজাটা পাবেন।আর শেষ পর্বও আমি শেয়ার করেছি ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।।
আসলে যখন মেজাজ গরম থাকে,তখন সবকিছুই বিরক্ত লাগে। ভালো কথা শুনলেও রাগ লাগে। তবে আমাদের সবার উচিত রাগ নিয়ন্ত্রণ করা। যাইহোক পোস্টটি আসলেই একেবারে ব্যতিক্রমধর্মী। এমন পোস্ট কখনো পড়া হয়নি আমার। খন্ড খন্ড ঘটনাগুলো পড়ে বেশ মজা পেলাম ভাই। তবে সেসময় মাথায় বরফ দিলে কিন্তু মেজাজ ঠান্ডা হয়ে যেতো 😂। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
হাহাহ।।।ঠিক ভাই। তবে আসল মজা শেষ পর্বে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভালো থাকবেন।।