(লাইফ স্টাইল) বন্ধু বান্ধবরা মিলে মজা করে চিনা হাঁস পার্টির আয়োজন।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

বন্ধু বান্ধবরা মিলে মজা করে চিনা হাঁস পার্টির আয়োজন।

Photo_1713973928985.png

বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মূলত আজকে আপনাদের মাঝে আমাদের বন্ধুবান্ধব কর্তৃক আয়োজিত চিনা হাঁস খাওয়ার পার্টির অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি মেইন পয়েন্টে ফিরে যাই।

প্রথমে বলে রাখি এই পার্টিটি তখন করেছিলাম যখন আমি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলাম।তখন হঠাৎ করে সবাই বলল যে হাঁসের পার্টি দিলে কেমন হয়? আমার আবার হাঁস অনেক বেশি পছন্দের খাবার। তাই আমি রাজি হয়ে গেলাম বললাম চলো কোথা থেকে হাঁস আনা যায়। তখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের বাজার থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিঃমি দূরে একটি বাজার রয়েছে সেখানে অনেক বড় বড় হাঁস উঠে।সেখান থেকে আনবো।

সেখানে শুধু হাঁস নয় বরং মুরগি, কবুতর, গরু, ছাগল,ভেড়া, সবকিছুই পাওয়া যায়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেখান থেকে বড়সড়ো একটি চিনা হাঁস কিনে আনব।জায়গাটির নাম ছিল চাপরাসির-হাট।এটি কোম্পানীগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। যাইহোক পরবর্তীতে আমরা সেই উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম এবং সেখান থেকে দেখে শুনে দুটো হাঁস নিয়ে আসলাম। আনার পর সেগুলোকে বাড়িতে রেখে চিন্তা করলাম ২২ পদের মসলা দিয়ে এই হাঁস পাক করলে ভালো হবে।

20201209_170146.jpg

তখন আমরা দোকানে গেলাম ২২ পদের মসলা কিনতে কিন্তু দোকানে গিয়ে দেখি তার কাছে অনেক আইটেমের মসলা রয়েছে।তখন দোকানদারকে বললাম যে আপনি আমাদেরকে হাঁস রান্না করার মত আইটেম কতগুলা দিতে পারবেন। দোকানদার তখন প্রায় ৪২টি আইটেম আমাদেরকে মিলিয়ে দিল। সর্ব মোট ২৫০ টাকার মসলা নিয়েছিলাম ৪২ পদের। পরে আমরা সবগুলো নিয়ে চলে গেলাম বাড়িতে।
20201209_170156.jpg
এরপর সবগুলোকে নিয়ে যেখানে রান্না করবে সেখানে দিয়ে দিলাম। দেওয়ার পর আমরা আবার বাজারে চলে গেলাম। যেহেতু হাঁসের মাংসের সাথে পরোটা না হলে জমবে না তাই পরোটা আনার জন্য বাজারে চলে গেলাম।পরবর্তীতে বাড়ি থেকে কল আসলো তখন শুনলাম যে হাঁস রান্না হয়ে গেছে। তখন আমরা বাজার থেকে সবার জন্য পরোটা নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
20201210_201751.jpg
তারপর সেখানে সবাই মিলে অনেকক্ষণ ঠাট্টা মশকরা করলাম।যাক এখন শুরু হলো খাবার পালা। যথারীতি আমার এক কাকা সবাইকে প্লেটে প্লেটে হাঁসের মাংস দিতে লাগলো এবং সবাই সেই প্লেট হাতে নিয়ে পরোটা দিয়ে খাওয়া শুরু করল।যদিও খাওয়ার সময়ের ফটোগ্রাফি করা হয়নি, কারণ পছন্দের খাবার সামনে রেখে কারই বা ফটোগ্রাফি করতে মন চায় বলুন। তাই গপাগপ শুরু করলাম হাঁসের মাংস দিয়ে পরোটা খাওয়া।

20201210_201747.jpg

20240424_213647.jpg

20201210_201800.jpg
মোটামুটি সবার চাইতে মনে হয় আমি একটু বেশিই খেয়েছি। কারণ আমি যেহেতু উদ্যোগটা নিয়েছি তাই সবাই দেখতে ছিলাম আমার প্লেটে বেশি বেশি হাঁসের মাংস তুলে দিচ্ছিল। যাইহোক পছন্দের খাবার বলে কথা ফেলে তো দেওয়া যাবে না ঠিকঠাক খেয়ে নিলাম সব।এভাবেই মজা করতে করতে সেদিনের হাঁসের পার্টি শেষ হলো। যদিও আমি বিদেশ যাওয়ার আগে এরকম অসংখ্য পার্টি করতাম।

আমরা কয়েকজন ছিলাম বিভিন্ন জায়গাতে এই রকম পার্টি গুলা করতাম। তবে বিদেশ থেকে আসার পরে এটাই ছিল একমাত্র হাঁসের পার্টি।যাইহোক আশা করছি আপনারাও এই রকম পার্টি দিয়ে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে থাকেন।যাইহোক আজকের ব্লগটা যদি ভালো লেগে থাকে সেটা অবশ্য মন্তব্য করে জানাবেন। আর আপনারাও যদি এই রকম আমার মত পার্টি করে থাকেন সেটাও জানাতে পারবেন। ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণলাইফ স্টাইল ।
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

IMG-20231214-WA0050.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 months ago 

বাজার থেকে হাস কিনে নিয়ে এসে বন্ধুদের সাথে হাস পার্টি দিয়েছেন, দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুরা সহ যে কোন ধরনের পার্টির আয়োজন করলে অনেক বেশি মজা হয়।এই এই চিনা হাঁসের মাংসের মধ্যে প্রায় ৪২ টি উপকরণ সংমিশ্রণ করে রান্না করেছিলেন। ফাইনাল ধাপে মাংসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ দারুন হয়েছে।

 2 months ago 

ভাই সুন্দর মন্তব্য করেছেন।ধন্যবাদ এভাবেই পাশে থাকুন।

 2 months ago 

বাহ্ ভালোই তো সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে। আবার নিজে বেশীই খেয়েছেন। সত্যি বলতে বন্ধুদের সাথে এমন মজার সময় কাটাতে কিন্তু সবার কাছেই বেশ ভালো লাগে। তবে আপনাদের হাঁসের মাং রান্নার কালারটি কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

 2 months ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ভালো থাকুন সব সময়।আর এভাবেই পাশে থাকুন।

 2 months ago 

হাঁসে কেনার জন্য অনেক টা পথ পাড়ি দিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন দেখছি। আর হাঁসটা রান্না করতে অনেক প্রকার মশলা ব‍্যবহার করেছেন। দেখে বেশ চমৎকার লাগল। হাঁসের মাংস আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। আর আপনার বন্ধুরা আপনাকে বেশি করে তুলে দিচ্ছিল ব‍্যাপার টা বেশ দারুণ। চমৎকার সময় কাটিয়েছিলেন হাসের মাংসের পার্টি টা বেশ ছিল।

 2 months ago 

হাঁসের মাংস আমারও অনেক পছন্দের ভাই।ধন্যবাদ সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

চিনা হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। চমৎকার একটি উদ্যোগ নিয়েছেন ভাই। বন্ধুদের সাথে এমন পার্টি হলে তো জমে যায়। সবাই খুশি হয়ে আপনাকে চিনা হাঁসের মাংস দিচ্ছিলো জেনে ভালো লাগলো। চিনা হাঁস পার্টির আয়োজন বেশ ভালো ছিলো বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো।

 2 months ago 

জি ভাই চিনা হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ সুস্বাদু।

 2 months ago 

বিদেশ থেকে আসার পর এই হাঁস পার্টিটি করেছিলেন। সত্যি বন্ধুরা মিলে এমন পার্টি করলে ভীষণ ভালো লাগে।তবে আমাদের মেয়েদের এমন পার্টি বিয়ের পর করা হয়না,আফসোস।😂আপনারা এই হাঁস রান্না করতে ৪২ রকমের মসলা কিনলেন। আর আপনি উদ্যোগ নিয়েছেন তাই খাওয়ার সময় সবাই আপনাকে বেশী বেশী তুলে দিচ্ছিল,বেশ দারুন তো।আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

হাহাহা ঠিক ঠিক।🌿

 2 months ago 

হাঁসের মাংস খেতে আমি ও ভীষণ পছন্দ করি। তাছাড়া আপনাদের বন্ধু বান্ধবরা মিলে মজা করে চিনা হাঁস পার্টির আয়োজন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পরোটা দিয়ে এমন হাঁসের মাংস খেতে দারুন মজা লাগে। আপনাদের হাঁসের মাংস রেসিপি কালার দেখে রিতিমতো আমার লাভ লেগে গেলো। যাই ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইজান ভালো থাকুন।💞🌿

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.11
JST 0.027
BTC 64830.63
ETH 3391.10
USDT 1.00
SBD 2.33