👫বব টক পঠইল ত পঠইবন, ন পঠইল ভত পত মরণ।👫।১০% লাজুক-খ্যঁকের জন্য।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
👫বব টক পঠইল ত পঠইবন, ন পঠইল ভত পত মরণ।👫 |
---|
কি ভাবছেন বানানগুলো ভুলে লিখেছি? না ভাই বানান ভুলে লিখিনি। এটি একটি গল্প যেটা এই লাইন দিয়েই আপনাদের সাথে শুরু করতে যাচ্ছি।
তো বন্ধুরা চলুন আজকে একটি মজার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করি। গল্পটি শেয়ার করার আগে সর্বপ্রথম বলতে চাই, ছোটবেলায় আমার কিছু চাচাতো ভাই বেশ ভালো ভালো গল্প করত, তারা গল্প করার ছলে একদিন এই গল্পটি বলেছিল।
তখন থেকে এই গল্পটি মাথায় রয়ে গেল এবং আজকে হঠাৎ মনে পড়লো তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
একদা এক গ্রামে মধ্যবিত্ত এক লোক বসবাস করত। মোটামুটি তারা সুখী ফ্যামিলি সংখ্যার দিক থেকে। তার পরিবারে ছেলে একজন মেয়ে একজন আর তারা স্বামী-স্ত্রী।
একদিন লোকটি বিদেশ যায় ফ্যামিলির উন্নতির জন্য। কারণ বাচ্চারা ছোট। তাদেরকে মানুষ করতে হবে। যার কারণে লোকটি বিদেশ যায়।
তখন লোকটি বিদেশ গিয়ে প্রথমে ভালো কিছু করতে পারেনি এবং তার পরিবারে ঠিকঠাক মতো টাকা না দেওয়াতে বাচ্চা দুটোকে স্কুলে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয় নাই।
তবে ঘরে তার মা কেন্দ্রিক পড়াশোনা করত।তাই মা যেভাবে শেখাতো সেভাবেই তারা শিখাতো। তবে মা বেশি পড়াশোনা করেনি বা মায়ের পড়াশুনা নেই।
তাই আ-কার,ই,-কার,উ-কার এইসব ছাড়াই মা বাচ্চাদেরকে পড়াশোনা শিখিয়েছে। ওই শিক্ষা থেকে ছেলে মেয়ে দুজন মিলে একটি চিঠি লিখেছে তার বাবার কাছে।
চিঠিতে আ-কার ই-কার কিছুই নেই কারণ তাদের মা তাদেরকে আ-কার, ই-কার কিছুই শেখায়নি। আর সেই চিঠির বাক্য ছিল,,, বব টক পঠইল ত পঠইবন, ন পঠইল ভত পত মরণ।
যেটা আ-কার ই-কার সহকারে এ বাক্যটি হওয়ার কথা ছিল, বাবা টাকা পাঠাইলে তো পাঠাইবেন, না পাঠাইলে ভাতে পাতে মরণ।এখানে পুরো লাইনটি একটু ব্যতিক্রমী বাক্যে পরিণত হয়েছে।
বন্ধুরা এটা নিছক একটি গল্প এটার সাথে কোন বাস্তবতার মিল নেই, এবং এটি শুধু বিনোদনের জন্য বানানো হয়েছে। তবে কেউ এটাকে সত্যি ভাববেন না।
কারণ এই যুগে এমন হয় না,আজকে পুরনো একটা ছোট গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম,কেমন লাগল তা জানাবেন। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
আজকের মত আর বেশি কিছু না লিখে এখানে বিদায় নিব আমার পোষ্টে যদি কোন ভুল-ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এখানে বিদায় নিলাম ভাল থাকবেন সবাই।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনের সাথে নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি কারণ আমি বাংলা বলি তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রূপক গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | |
ক্যাপচার | |
সম্পাদনা | |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
টাইটেল দেখে আমি আপনার পোস্টটা উপেক্ষা করে চলে যেতে নিয়েছিলাম, পরবর্তীতে দেখলাম এটি একটি গল্প তাই আগ্রহ সহকারে ঢুকলাম। দারুন লিখেছেন ভাই গল্পটি আসলেই খুব চমৎকার অল্প শিক্ষা ভয়ংকর তা এই গল্পের মধ্যে বেশ চমৎকার ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। খুব ভালো লাগলো পোস্ট করার সাথে সাথেই আপনি ভোট পেয়েছেন। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই গল্পের মূল তত্ত্ব বুঝতে পারার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন।
মানুষ রোজগারের জন্য বিদেশে যায় কিন্তু সেখানেও মানুষ সঠিক কর্মসংস্থান খুঁজে পায়না। অর্থের অভাবে দেশে থাকার মানুষগুলোর জীবন খুব কষ্টে কাটে। বিশেষ করে শিশুরা যে বাক্য চিঠিতে লিখেছে সেটা আমার অনুভূতিতে নরা দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি পড়ে এবং গল্পটি বুঝি সুন্দর মন্তব্য প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যটি যথাযথ ছিল ভাল থাকবেন।
টাইটেল দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। ভাবছিলাম এর অর্থ কি। পরে যখন ভেতরে পড়া শুরু করলাম তখন বুঝতে পারলাম। সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তবে খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর একটি গল্প পড়ে।
আসলে টাইটেল একটু অদ্ভুতই, তবে যারা গল্প পড়ে তাদের জন্য এই গল্পটি, আর যারা পড়েনা তারা এই গল্পটি দেখবেই না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ওরে ভাই, সবে প্রিপারেশন নিলাম যে লিখব টাইটেল কি ভুল লিখেছেন ভাই,, এর মাঝেই লেখা পড়তে নিয়ে আমার মাথায় হাত। হাসবো না কি কাদব গো ভাই। হিহিহিহি 🤪 দারুন মজা লেগেছে। তবে ভাই হাসির বাইরেও শেখার অনেক কিছু আছে কিন্তু এই ব্যাপার থেকে।
ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আসলে অনেকেই টাইটেলটি দেখে একটু হতভম্ব হয়ে যাবে, তবে গল্পটি পড়লে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে আবারও।