স্বার্থহীন ভাবে মানুষের উপকার করাই শ্রেষ্ঠ মানবতা।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
স্বার্থহীন ভাবে মানুষের উপকার করাই শ্রেষ্ঠ মানবতা। |
---|
বন্ধুরা বুঝতেই পারছেন আজকে আমি কি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে যাচ্ছি।আসলে আমাদের সমাজে ও গ্রামে অসংখ্য লোক রয়েছে যারা চাইলে অনেককে সহযোগিতা করতে পারে। তারা চাইলে অসহায় মানুষকে মোটামুটি একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। তবে এরকম লোক খুব কমই রয়েছে যাদের মন মানসিকতা কোন মানুষকে উপকার করে তার সর্বোচ্চ রুটি রুজির ব্যবস্থা করে দেওয়ার।
যাক তাদের কথা না হয় বাদই দিলাম। আরেক শ্রেণীর কিছু লোক রয়েছে যারা সমাজে মানুষ জনের সহযোগিতা করা তো দূরে থাক, মানুষকে কিভাবে ফাঁদে পেলানো যায় বা মানুষের ক্ষতি কিভাবে করা যায় তার সেই চিন্তায় চলাফেরা করে। আবার আরেক দল লোক রয়েছে তারা নিতান্তই স্বার্থ ছাড়া কাউকে সহযোগিতা করতে চায় না। নিজের স্বার্থ যেখানে, সেখানে সহযোগিতা করে তারা। অন্যথায় তারা নিজ থেকে মানবতা কেন্দ্রিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় না।
তবে সমাজে এদের মাঝেও অন্য আরেক শ্রেণীর লোক আছে, যারা তার সাধ্যমত মানুষকে চেষ্টা করে সহযোগিতা করতে। মূলত এই রকম লোকের মধ্যেই শুধু মানবতার আলো দেখা যায়,হোক সেটা মিটিমিটি।তবে আমার মতে মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে হলে নিঃস্বার্থে করাই সর্বোত্তম।আমি কারো সহযোগিতা করব,তার বিনিমেয়ে সে আমার উপকারে আসবে এরকম চিন্তা ভাবনা না করাই শ্রেয়।
যাক এবার আমার নিজস্ব অ্যাঙ্গেল থেকে কিছু কথা তুলে ধরি। আমি মনে করি পৃথিবীতে আপনি যদি কারো জন্য নিঃস্বার্থে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, এতে করে আপনি লাভবান হবেন।হয়তোবা আপনি যে ব্যক্তির জন্য সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নিঃস্বার্থে, সেই ব্যক্তি আপনার কোন উপকার নাও করতে পারে। আবার এমনও হতে পারে সে ব্যক্তি আপনার ক্ষতিও করতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি নিজের মন থেকে কারো জন্য স্বার্থহীনভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যান। বিধাতার পক্ষ থেকে আপনি নিজেও সাহায্য সহযোগিতা পাবেন। আর সেটি অন্য কোন মানুষের পক্ষ থেকে। সেজন্য মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে কখনো দ্বিধাবোধ করবেন না। আবার সাহায্য সহযোগিতা গ্রহণকারী আপনার উপরে ক্ষতিকর মনোভাব দেখে অন্য কাউকে সাহায্য করতে পিছবা হবেন না।
কারণ এই বষয়ে আমি নিজেই প্রমাণ আছি।একটা সময় আমি নিজে স্বার্থহীনভাবে কোন একজনকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি,বা করতে চেষ্টা করেছি। তার কাছ থেকে কিছুই চাইনি,বিনিময়ে শুধু এতোটুকু চেয়েছি সে উন্নতি লাভ করুক। যদিও তার দ্বারা আমার কোন উপকার হয়নি বরং আমার কিছুটা হলেও সম্মান খুন্ন হয়েছে। তবে আমি বিধাতার পক্ষ থেকে অন্যান্য লোকদের কাছে অনেক সম্মান ও সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছি।
আর এই জন্যই আপনাদেরকে বলব যদি কারো সাহায্য সহযোগিতা করেন, অবশ্যই সেটি নিঃস্বার্থে করবেন। আর এটার প্রতিদান ও উপরওয়ালা নিজেই দিবেন। সেটি হোক ডাইরেক্ট অথবা ইনডাইরেক্ট। আপনার কাজ শুধু সময় মত মিলিয়ে নেওয়া।কারণ স্বার্থহীন মানুষের উপকার করাই শ্রেষ্ঠ মানবতা।যাইহোক আজকে আর বেশি কথা বাড়াবো না। আশা করছি বিষয়টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর ভালো লেগে থাকলে সেটা অবশ্যই মন্তব্যের মধ্যমে জানাতে ভুলবেন না কিন্ত।আর কষ্ট করে ব্লগটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
❤💐🙏🙏💪
স্বার্থহীন ভাবে উপকার করার মানুষ অনেকটাই কমে গিয়েছে এখন ভাই। দুনিয়াটাই এখন স্বার্থপর হয়ে গিয়েছে ভাই। আবার দেখা যায় কারো উপকারে আসলে সে উপকার স্বীকার করেনা। অকৃতজ্ঞ একটা ভাব চলে এসেছে এখনকার সমাজে।
ঠিক ভাই অকৃতজ্ঞ একটা ভাব চলে এসেছে এখনকার সমাজে।
ভাইয়া চারদিকের বর্তমান পরিবেশ দেখে যেখানে খুব হাপিয়ে উঠেছি, সেখানে আপনার আজকের পোস্ট দেখে তো মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল। এত সুন্দর করে আপনি লিখেছেন যে পড়েই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমিও কিন্তু এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। একজনের উপকার করে অন্য মানুষের থেকে সম্মান পেয়েছি। আসলে স্বার্থহীন উপকার কখনও বৃথা যায় না।
ঠিক আপু আসলে স্বার্থহীন উপকার কখনও বৃথা যায় না।
স্বার্থহীন ভাবে পরের উপকার করে যাওয়া নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজ শেয়ার করলেন। পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।এ সময়ে এসে মানুষের অবস্থা দেখে খুবই হতাশ হতে হয়।কেউ চায় না কারো একটু উপকার হোক তা করতে।নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত সবাই।এর মাঝে অল্প কিছু মানুষের সাহায্যের হাতগুলো টিমটিমে আলোর মতো হলেও তা জ্বলুক।মানবতা জ্বলে উঠুক সবার মাঝে।একদিন এই আলো আরো আলোকিত হবে।মানুষ মানুষের জন্য সহানুভূতির হাত বাড়াবে এমনটাই আশাকরি। আর আমি বিশ্বাস ও করি আমি কাউকে সাহায্য করলে আল্লাহ আমাকে সাহায্য করবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই বিষয়টিকে নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু মানুষ মানুষের জন্য সহানুভূতির হাত বাড়াবে এমনটাই আশাকরি।
আসলে মানবসেবা প্রতিটি মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমানে পরোপকারী মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বেশিরভাগ মানুষ নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য দেখানো উপকার করে। আবার কিছু কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে উপকার করার পরও,সেই সমস্ত ব্যক্তির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই অনেকে জিদ করে উপকার করা ছেড়েই দিয়েছে। তবে এটা ঠিক নয়,কারণ মানুষের জন্য না হোক,আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য হলেও নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করা উচিত। দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ভাই বেশিরভাগ মানুষ নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য দেখানো উপকার করে।
https://x.com/Nevlu123/status/1719239764224975217?s=20
স্বার্থহীন মানুষের উপকার করার লোকই এখন কমে গেছে। সবাই স্বার্থের পিছে দৌড়াচ্ছে। যেখানে তার লাভ হবে সেখানেই সে সঙ্গ দিচ্ছে। পুরো সমাজ ও বিশ্বে উপকারের জায়গাতে অপকার করার লোকের অভাব নেই। তবে নিঃস্বার্থভাবে যদি কারো উপকার করা হয়, সেটার প্রতিদান আল্লাহই ব্যবস্থা করে দেন।ধন্যবাদ চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ।