জীবন হলো মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
| জীবন হলো মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। |
|---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আসলে মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয় মাথায় ঘুরপাক খায়, তাই চিন্তা করলাম যেটাই মাথায় আসবে এখন থেকে সেটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আর সেজন্য আজকে এই টপিকটি বেছে নিলাম। তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল বিষয় ফিরে যাই।
আসলে জীবন মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কথাটা একদমই সত্য।মানুষ জন্মগ্রহণ করেছে তো তার জন্য মৃত্যু অবধারিত। তার মানে এই জন্ম মৃত্যু একই অন্যের সাথে জড়িত।এদিক থেকে একটা কথা আছে যে, প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর এই কথাটি জীবন মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই কথাটির বড় প্রমাণ।বর্তমানে পৃথিবীতে আমরা বিধাতার বিধান মোতাবেক চলছি।
তবে চলার ক্ষেত্রে মানুষ মানুষের সাথে কত সম্পর্ক, কত বন্ধুত্ব করে থাকে। তবে সব সম্পর্কই একদিন না একদিন ছুটে যাবে, বা এ সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটবে।কিন্তু মৃত্যু এমন একটা সম্পর্ক যেটা জন্ম হওয়ার সাথে সাথেই পিছু লেগে আছে যাহা কখনো ছুটার নয়।যে কোন মুহূর্তেই যে কেউ মৃত্যুবরণ করতে পারে জন্ম এবং মৃত্যু দুইটি চির সত্য এবং একে অন্যের সাথে অতি নিবিড় ও ঘনিষ্ট হয়ে আছে।যদি এ দুটো জিনিসের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ না হতো, তাহলে মানুষ চির অমর হয়ে থাকতো।
পৃথিবীতে চলতে গেলে অনেক সম্পর্কে আমরা জড়াই এবং এর মাঝে কিছু কিছু সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হয়। আবার কিছু কিছু সম্পর্ক স্বল্পতে ভেঙে যায়। তবে জন্মগ্রহণ করলেই জীবনের সাথে মৃত্যু ও জড়িত হয়ে যায়। একদিক থেকে মানুষ ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, আর অন্যদিকে মৃত্যুর দিকে আমরা দিন দিন পা বাড়াতে থাকি।আর এটাই মূলত বাস্তবতা আর এটাই চিরন্তন সত্য।
জীবনে চলার পথে আমরা চাইলেই ভালো-মন্দ বুঝে শুনে বন্ধুত্ব করতে পারবো, বা বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক তৈরি করতে পারবো। যাকে ভালো লাগবে তার সাথে সম্পর্ক করলাম, যাকে ভালো লাগবে না তার সাথে সম্পর্ক করলাম না। এটা আমাদের একান্ত মর্জি। তবে জন্ম মৃত্যু ও জীবনের ক্ষেত্রে আপনি চাইলেও সেটি করতে পারবেন না।জন্মগ্রহণ করা হয়েছে তো মৃত্যু বরণ করতেই হবে। আর এজন্যই জীবন মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলা হয়েছে।
যাই হোক বন্ধুরা আজকে আর বেশি কথা বাড়াবো না। যদিও হঠাৎ করে এ বিষয়টি মাথায় আসলো তাই চিন্তা করলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। কারণ কোন কিছু নিজের মাথায় ঘুরপাক খেলে সেগুলো যদি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি, তখন অন্য রকম ভালো লাগে কাজ করে। আর সেজন্যই মূলত আপনাদের মাঝে আজকের এই ব্লগটি শেয়ার করা। আজকের এই ব্লকটি যদি কারো কাছে ভালো লেগে থাকে, অবশ্যই সেটা মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
|---|---|
| ধরণ | জেনারেল রাইটিং। |
| ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
| ক্যাপচার | @nevlu123 |
| সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
| অবস্থান | বাংলাদেশ |
.png)
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছি, আর সেই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/Nevlu123/status/1752517201016582233?s=20
এজন্য ভাই কোথায় আছে জন্মিলে মরিতে হইবে।
আর মৃত্যু আমাদের এত কাছাকাছি থাকে যা আমরা আসলে কখনোই আন্দাজ করতে পারিনা।
একটা নিশ্বাস ছেড়ে দিচ্ছি পরবর্তীতে আর একটা টেনে তুলতে পারব কিনা আমাদের জীবনের এতোটুকুনি কোন ভরসা নেই।
মৃত্যু একমাত্র আমাদের সব থেকে কাছের বন্ধু।
আপনারা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন পরে খুবই ভালো লাগলো।
এজন্য সময় থাকতে ভালো কাজগুলো বেশি বেশি করা যেন মৃত্যুর পরে শান্তিতে থাকা যায়।
কথাটা বেশ ভালো লাগলো হ্যাঁ জীবন মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, মানুষ জন্ম নিয়েছে তাই মৃত্যু অনিবার্য। সুন্দর টপিক নিয়ে লিখেছেন ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খুবই ভালো লাগলো ভাই আপনার লেখাগুলো পড়ে। আসলে জীবনের খুব কাছাকাছি মৃত্যু অপেক্ষা করে। যার জীবন আছে তার মৃত্যু অবধারিত। তাই আমাদের চলার পথে এবং দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষেত্রেও মৃত্যুর কথাটা আমাদের সব সময় স্মরণ রাখতে হবে। কারণ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার কোন পথ আমাদের নেই। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা যে যাই করি না কেন আমাদেরকে অবশ্যই একদিন এই পৃথিবীতে ছেড়ে চলে যেতে হবে। প্রত্যক জন্ম নেওয়া জীবকে মৃত্যুর স্বাদ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আমরা মানুষেরা কেন জানিনা এই মুহূর্তটির কথা মাঝে মাঝে একদম ভুলে যাই। বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে মানুষ জড়িত হয়ে যায়। তবে মানুষের জীবনের সাথে মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সেটা কেউ মনে রাখে না। আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় লিখে শেয়ার করেছেন ভালো লেগেছে পড়ে।
ভাই চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলেই সবাইকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীতে আমরা দুই দিনের মেহমান মাত্র। আসলে পৃথিবী চিরস্থায়ী কোনো জায়গা নয়,বরং পরকাল হচ্ছে চিরস্থায়ী। সুতরাং আমি মনে করি ইহকালকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে, পরকালকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ আমরা দুনিয়াতে যতই অর্থ সম্পদ অর্জন করি না কেনো এবং যতই সফল হই না কেনো, মৃত্যুর পর এগুলোর কোনো দাম থাকবে না। একমাত্র দাম থাকবে আমলের। সুতরাং আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো, কাজ কর্মের পাশাপাশি পরকালের জন্য আমল করতে হবে আমাদের। একমাত্র তাহলেই আমরা প্রকৃত ভাবে সফল হতে পারবো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এসব বিষয় আসলে হঠাৎ হঠাৎ করেই মাথায় আসে ভাই। তবে কথাগুলো যা বলেছেন তার প্রত্যেকটা কথাই সত্যি, যে আমরা হয়তো জীবনে অনেক সময় অনেকের সাথে বিভিন্ন রকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি, তবে সেটা ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু মৃত্যু যেটা আমাদের অবশ্যম্ভাবী একটা জিনিস , সেটা স্বীকার করতেই হবে। প্রত্যেকটা মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এটা আমরা মন থেকে মেনে নেই বা না নেই।