শীতের সকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি।
শুভ রাত্রি🌃
আজ ০১ লা ডিসেম্বর,
রবিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম শীতের সকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
শীতের সকাল মানেই পিঠা খাওয়ার উৎসব। পরিবারের সবার সঙ্গে একত্রে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতকাল মনেই মোটা মোটা গরম কাপড় ও সামান্য রোদের জন্য ছোটাছুটি করা। বিশেষ করে সকালে এবং রাতে ঘন কুয়াশার কারণে চারি দিক সাদা হয়ে থাকে। তবে শীতকাল আমার কাছে ভালো লাগে। কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকার কারণে গোসল করতে অনেকটা কষ্ট হয়। যাইহোক শীতকালের সব চাইতে জনপ্রিয় পিঠা হলো ভাপা পিঠা। এই পিঠা সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম গরম খেলে খুবই মজা লাগে। আমার অফিস ভোর ৬ঃ৩০ মিনিটে তাই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যেতে হয়। সকালে নাস্তা খাওয়ার মতো কোন পরিবেশ থাকে না। তাই রাস্তার পাশে ভাপা পিঠা খেয়ে হালকা নাস্তা করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করি। সেই অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
আমি যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যাই, তখন মোটামুটি অন্ধকার থাকে। কিন্তু সূর্য মামা খুব তাড়াতাড়ি জেগে ওঠে। সকালের সূর্য দেখতে খুব সুন্দর লাগে আমার কাছে। এত সকালে অফিসে যাওয়ার সময় অটো অথবা রিকশা কিছু পাওয়া যায় না। তাই মোটামুটি অনেক দূর হেঁটে যেতে হয়। সকালে হাঁটাহাঁটি করলে শারীরিক ব্যায়াম হয় এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই আমি চেষ্টা করি দিনে কমপক্ষে দুই থেকে তিন কিলোমিটার হাঁটার জন্য। যাইহোক কিছু দূর যাওয়ার পর একটি ভাপা দোকান দেখতে পাই। এই দোকানটি আমার খুব পরিচিত, দোকানে গিয়ে চাচিকে বললাম ভাপা পিঠা দেওয়ার জন্য।
চাচি আমাদের সুবিধার জন্য আগে থেকে বেশ কিছু পিঠা তৈরি করে রেখেছিল। তার কারণ হলো সকালে অনেক চাকরিজীবী মানুষ অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করে তখন তার দোকান থেকে ভাপা পিঠা খেয়ে যায়। তৈরি করে দিতে অনেক দেরি হয়। চাচির হাতের পিঠাগুলো খেতে খুব সুস্বাদু হয়। তাই আমি খাওয়ার আগে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। আমি নিঃসন্দেহে বলতে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের জিভে জল চলে আসতে পারে।
তারপর আমি দুইটি করে মোট চারটি পিঠা নিমিষেই খেয়ে নিলাম। পিঠাগুলো অনেক নরম এবং তুলতুলে ছিল। বলতে হয় চাচির হাতে জাদু আছে। পিঠা গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত ছিল। তাই সকলেই হালকা নাস্তা হিসেবে ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম। শীতের সকালে ভাপা পিঠ খাওয়ার মজাই আলাদা। যেহেতু আমার অফিস ছিল তাই কম খেয়েছি। প্রতিটি ভাপা পিঠার মূল্য ছিল পাঁচ টাকা করে। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | শীতের সকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি। |
লোকেশন | বাদেকল্পা, ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1863192655968248293?t=opAce_OeofG8pcLB-NRkKQ&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন শীতের সকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি। আসলে আমাদের এলাকায় খেজুরের গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করা হয় খেতে বেশ ভালো লাগে। সন্ধ্যায় শীতের সময় আমাদের বাজারে এই পিঠা তৈরি করে প্রায় প্রতিনিয়তই খাওয়া হয়। এত সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
জি ভাই রাতেও পিঠা পাওয়া যায়। তবে আমি যেহেতু অফিসে থাকি তাই রাতে খেতে পারি না। শীতের সময় এই রেসিপি গুলো ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভালো থাকবেন।
অফিসে যাওয়ার পথে সকাল সকাল নরম তুলতুলে নরম ভাপা পিঠা দিয়ে নাস্তা করে অফিসে যান জেনে খুব ভালো লাগলো।আপনার ভাপা পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে তো মন চাচ্ছে এখনি এই পিঠা খেতে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসাধারণ সুন্দর রেসিপিটি। গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা অসম্ভব সুস্বাদু লাগে খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
শীতকাল আসলে পিঠা পুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তবে ভাপা পিঠা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। অন্যান্য সব পিঠার চেয়ে ভাপা পিঠা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো। পিঠাগুলো বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতের সকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার কাছে কেন জানি বাড়িতে তৈরি ভাপাপিঠার থেকে এই রাস্তায় বানানো ভাপাপিঠা গুলো খেতে ভালো লাগে। যদিও বাড়িতে তৈরি সব খাবারই স্বাস্থ্যসম্মত তারপরও আমার কেন জানি বাহিরের এই ভাপা পিঠাগুলোই খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার শীতের সকালে ভাপা পিঠার খাওয়ার মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
যদিও এত সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়া খুবই কষ্টকর। তাও আবার অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে যেতে হয়,তবে এটা কিন্তু খুবই ভালো লক্ষণ। ভোরবেলা হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য উপকারী। আপনার অফিস এত সকালে রয়েছে বলেই আপনি ব্যায়াম করার খুব সুন্দর একটি সুযোগ পেয়েছেন। তাছাড়া শীতের সকালের মিষ্টি রোদ সবাই উপভোগ করতে পারে না। হালকা কুয়াশা মাখা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ধোঁয়া উঠা গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। পিঠা গুলো দেখে যেনো খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
শীতকাল মানেই পিঠা পুলির উৎসব মুখর একটি সময়। বিশেষ করে শীতকালে ভাপা পিঠা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি রাস্তায় হাঁটাহাঁটি শেষ করে ভাপা পিঠা খেয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। পিঠা গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার ছিল।
শীতকালীন সময়ে শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। যেগুলো আমরা পথ চলতে খেয়ে থাকি ভালই লাগে। বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে তারা বিক্রি করে। আপনি দেখছি সকাল সকাল ভাপা পিটা খেয়েছেন অনেক ভালো লাগলো। আপনার খাওয়ার মুহূর্তটা দেখে।
জি ভাই সকাল সকাল ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।