রেসিপি: পুঁটি মাছ রান্নার রেসিপি।
Abb 28.4.24 রবিবার ✅
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পুঁটি মাছ রান্নার রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকে পুঁটি মাছ রান্নার রেসিপি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার সবথেকে ফেভারিট একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। পুঁটি মাছ খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আমার কাছে দেশি পুঁটি মাছ খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমাদের বেশিরভাগ সময় পুঁটি মাছ রান্না করা হয়ে থাকে। এই পুঁটি মাছ গুলো কিন্তু বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসা পুঁটি মাছ না। এই পুঁটি মাছ আমাদের নিজেদের পুকুরের পুঁটি মাছ। আমাদের পুকুরে অনেকগুলো পুঁটি মাছ রয়েছে। যেহেতু আমাদের ঘরের পাশেই আমাদের পুকুর, এই জন্য আমার আম্মু যখনই সময় পায় তখন বড়শি দিয়ে মাছ ধরে থাকে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মধ্যে কিন্তু আলাদা রকম আনন্দ রয়েছে। আমার আম্মু এই পুঁটি মাছগুলো বড়শি দিয়েই ধরেছিল। এই পুঁটি মাছ গুলো রান্না করার পর এত বেশি সুস্বাদু হয়েছিল যে, সবাই খুব মজা করে খেয়েছিলাম। পুঁটি মাছের ভেতরে ডিম ছিল। যার কারণে রান্না করার পর আরও বেশি ভালো লেগেছে। আমার মেয়ে তো ডিম খেয়েছিল মজা করে। আমি চেষ্টা করেছি পুঁটি মাছের রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনারা চাইলে সহজেই এই পুঁটি মাছের রেসিপি তৈরি করতে পারেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক পুঁটি মাছের রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পুঁটি মাছ | 500 গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টা |
টমেটো | পরিমাণ মতো |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
হলুদ | পরিমাণমতো |
মরিচ | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে পুঁটি মাছ গুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া হলো।
ধাপ 2️⃣
এরপর একটা পাতিল চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে তেল গরম করা হলো।
ধাপ 3️⃣
তেল গরম হওয়ার পরে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 4️⃣
এরপর কুঁচি কুঁচি করে কেটে রাখা টমেটোগুলোকে দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 5️⃣
তারপর পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, লবণ, রসুন এগুলো দিয়ে দেওয়া হলো
ধাপ 6️⃣
এরপর এগুলো ভালোভাবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত নেড়েচেড়ে নেওয়া হলো। তারপরে ধুয়ে রাখা পুঁটি মাছ গুলো দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 7️⃣
এরপর পুঁটি মাছ দেওয়ার পরে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নেওয়া হলো।
ধাপ 8️⃣
তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেওয়া হলো। এভাবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত জ্বাল করে নেওয়া হলো। যতক্ষণ না পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। তারপর পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নেওয়া হলো। এভাবেই রেসিপিটা তৈরি করা হয়। আশা করছি আপনাদের পছন্দ হবে।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
এমন একটি রেসিপি শেয়ার করলেন যা দেখে তো আপনার বাসার দিকে দৌড় দিতে মনে চাচেছ। তাও আবার বড়শী দিয়ে ধরা পুটি মাছ। রেসিপিটি মনে হয় বেশ সুস্বাদু হয়েছিল না ভাইয়া? এমন সুন্দর একটি রেসিপি এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। নিজেদের পুকুরের হওয়াতে স্বাদ একটু বেশি লেগেছে।
https://twitter.com/NARocky4/status/1784391273438429647?t=zqhx0DoKjtc3GgYnt-jX8g&s=19
পুঁটি মাছের রেসিপিটি অনেক লোভনীয়ভাবে তুলে ধরেছেন আউটপুট দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পুঁটি মাছের রেসিপি টা সত্যি অনেক লোভনীয় ছিল।
মজাদার পুঁটি মাছ রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আসলে এই পুঁটি মাছ আমার খুবই প্রিয়। আর এই পুটি মাছ গুলো আপনাদের পুকুরের মাছ জানতে পেরে আরো ভালো লাগলো। নিজেদের পুকুরের মাছ খেতে আরো বেশি মজাদার হয়। আপনার রেসিপির পরিবেশনটা দেখে যেন খেতে ইচ্ছে করছে।
পুঁটি মাছ আপনার খুব প্রিয় শুনে খুব ভালো লেগেছে ভাই।
পুঁটি মাছের দারুণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমার কাছেও পুঁটি মাছ খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি পুঁটি মাছ গুলো হয় নিজেদের পুকুরের তাহলে তো কথাই নেই। আপনার আম্মু সময় পেলেই আপনাদের পুকুর থেকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি পুকুরের হওয়াতে পুঁটি মাছ গুলো খেতে আরো বেশি ভালো লেগেছিল।
নিজের পুকুর থেকে বড়শি দিয়ে আপনার আম্মু মাছ গুলো ধরেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন বরশি দিয়ে মাছ ধরার আলাদা একটা আনন্দ আছে। ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন আমি আমার নানুর সাথে বরশি দিয়ে মাছ ধরতাম। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আর এইরকম বরশি দিয়ে ধরা পুকুরের মাছগুলো সত্যিই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো যে আপনার মেয়েও মাছের ভেতরে ডিম খেয়ে খুব খুশি হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু বড়শি দিয়ে ধরা পুকুরের মাছগুলো খুব ভালো লাগে খেতে। আসলে আমার মেয়েটা মাছের ডিম পেয়ে খুশি হয়েছিল।
পুটি মাছের রেসিপি দেখেই মনে পরে গেলো আমার সেই সৈশব এর কথা বরশি দিয়ে পুটি মাছ ধরে তা মায়ের হাতে দিলে মা মচমচে করে ভেজে দিতেন। অনেক মজাদার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি ভাইয়া।খুব চমৎকার হয়েছে।
ছোটবেলায় আমিও অনেকবার ধরেছি মাছ এরকম বড়শি দিয়ে।
আমার অজান্তে আমি পরিবর্তন এই কবিতাটি আপনি খুবই সুন্দর আবৃত্তি করেছেন। আসলে আপনার আবৃত্তি এর আগে আমি শুনেছি, আপনার আবৃত্তি শুনতে খুবই ভালো লাগে। আজকের কবিতাটি যেন পূর্ণতা পেলে আপনার আবৃত্তির মাধ্যমে।
ভাই আপনি হয়তো ভুল করে এই কমেন্ট টা করে ফেলেছেন। আমি তো রেসিপি পোস্ট করেছি কোন কবিতা আবৃত্তি করিনি।
এরকম সুন্দর রকমের পুঁটি মাছ কার না ভালো লাগবে বলুন,তবে বিশেষ করে নদীন পুঁটি মাছ এ কিন্তু স্বাদ অনেক বেশি।আর ভাইয়া আপনি যে রকমভাবে পুটি মাছের রেসিপিটা তৈরি করেছেন তাতে আমার খাওয়ার কিন্তু খুব ইচ্ছা করছে।বরাবরের মতো আপনার আজকের রেসিপিটি ও কিন্তু ভীষণ লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া।খুব ভালো লাগলো।আরো ভালো লেগেছে এটা শুনে যে আপনার আম্মু এই মাছ গুলো ধরেছিল।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্যে।
আমার পুঁটি মাছের রেসিপি টা আপনার কাছে লোভনীয় লাগতেছে শুনে ভালো লাগলো।
বরশি দিয়ে মাছ ধরার আলাদা আনন্দ থাকে তখন যখন বড়শি ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাছ উঠে। কিন্তু মাছ যদি সহজে উঠতে না চায় তখন আর আনন্দ থাকে না। যাইহোক ভাইয়া নিজেদের পুকুরের টাটকা পুটি মাছ যেহেতু মজাদারতো হবেই। যদিও আমার পুটি মাছ খুব একটা ভালো লাগে না। তারপরও আপনার আজকের রেসিপিটি মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। ভালো লাগলো সুস্বাদু রেসিপি দেখে।
বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো আলাদা আনন্দ থাকে। আর খাওয়ার মধ্যে থাকে আলাদা রকম একটা টেস্ট।