চিংড়ি মাছের সাথে কচুর লতির ও বেগুনের মজাদার রেসিপি।
সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি। আজকেও সকাল সকাল চলে এসেছি পোস্ট নিয়ে।
আমি সবসময় আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার করি। আজকে যে রেসিপি শেয়ার করব তা হলো চিংড়ি মাছের সাথে কচুর লতি ও বেগুনের মজাদার রেসিপি। যাদের এলার্জিজনিতে সমস্যা প্রচুর তারা এ রেসিপিটি থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ চিংড়ি মাছ কচুর লতি ও বেগুন তিনটাই এলার্জির কারণ হতে পারে। কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু অনেকেই এই লতির ছাল ছাড়ানোর ভয়ে রান্না করে না। আমাদের সবকিছুই সামান্য পরিমাণে হলেও খাওয়া প্রয়োজন। যারা এই কচুর লতির ছাল ছাড়াতে ভয় পান তারা কচুর লতিগুলো সামান্য পানি দিয়ে ধুয়ে একদিন সামান্য রোদে দিলেই পরের দিন খুব সহজেই ছাল উঠে যায়। ফলো করতে পারেন। এখানে লতি ছিল আমাদের নিজস্ব কচু গাছের। বেগুনো ছিল আমাদের চারা গাছের। আর মজার বিষয় হলো মাছগুলো ছিল আমাদের পুকুরের। ঘরোয়া জিনিসগুলোর টেস্ট একটু অন্যরকমই হয়। বাজারের জিনিসের থেকেও দেশি জিনিসের স্বাদ বেশি। কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপি তে যাওয়া যাক।
আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |
---|
- চিংড়ি মাছ
- কচুর লতি
- বেগুন
- হলুদের গুড়োঁ
- মরিচের গুঁড়ো
- জিরার গুঁড়ো
- রসুন বাটা
- পেঁয়াজ কুঁচি
- কাঁচামরিচ
- লবন
- তেল
- প্রথমে আমি চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম। তারপর পাতিল এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম।
- এখন পাতিল এর মধ্যে পেঁয়াজকুচি ও রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। তারপর তেলের মধ্যে হালকা ভেজে নিলাম।
- তারপর মসলা সবগুলো উপকরণ দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে তেলের মধ্যে ভেজে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। (মসলার উপকরণ গুলো তেলের মধ্যে ভাজলে টেস্ট ভালো আসে।)
- তারপর চিংড়ি মাছগুলো মসলার সাথে দিয়ে দিলাম। এবং বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।
- তারপর কেটে রাখা কচুর লতি ও বেগুন দিয়ে দিলাম।
- তারপর ঢাকনা দিয়ে সামান্য কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
- ঝোল একদম শুকিয়ে আসলে তা চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
কচুর লতি ছোট মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে আপু। তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর লতি রান্না করলে কেমন লাগে আমার জানা নেই। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। সময় পেলে অবশ্যই এই রেসিপিটি তৈরি করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ আপু।
একদিন তৈরি করে দেখতে পারেন আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কচুর লতি বেগুন চিংড়ি তিনটি খাবারই এলার্জির জন্য খুবই মারাত্মক।
তবে শীতের সময় এই জাতীয় খাবার সকাল সকাল গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা লাগে।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি খুব লোভনীয় দেখাচ্ছেন নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল খেতে।।
আমার কাছে সকালে ঠান্ডা ভাতের সাথে আগের দিনের তরকারি দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে।
হায়রে আপু, কচুর লতি, চিংড়ি মাছ আর বেগুন তিন চুলকানিরে একসাথে রান্না করলেন। যাক তাতে মনে হয় সব গুলোর এলার্জি গুলো চুলায় পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। বেশ দারুন একটি রেসিপি করেছেন যা আমার প্রিয় একটি রেসিপি। আমার তো দেখেই খেতে মনে চাইছে।
হাহাহা বেশ মজা পেলাম 😂
খুবই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। এই রেসিপির পরিবেশনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে উপস্থাপন দেখে শিখতে পারলাম পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু এমন রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করে না কার। তবে আপনি তিনটি এলার্জির ঔষধ নিয়ে এসেছেন। যা খেলে সহজে এলার্জির হয়ে যাবে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে আপু লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে অনেক মজা লাগে। এটা সত্যি কচুর ছাল ছাড়াতে আসলে কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তিন ওটাই এলার্জিজনিত কারণ 🤣
আপনি রেসিপির পাশাপাশি অনেক ভালো সংকেত দিয়েছেন। যাতে এলার্জিজনিত সমস্যা তারা এই রেসিপি থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ চিংড়ি মাছ ও কচুর লতি বেগুন তিনটা অ্যা
এলার্জির কারণে হতে পারে। দাদা পিয়া আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো আপনি চিংড়ি মাছের সাথে কচুর লতির ও বেগুনের রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যদি পরিমাণগুলো দিতেন তাহলে আরো সুন্দর হতো। তথাপি অনেক ভালো ছিল আপনার রেসিপিটা অনেক সুন্দর ছিল
ধন্যবাদ আপনাকে এই বর্ণনামূলক মন্তব্য করে আরো উৎসাহিত করার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর লতি রান্না করে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে বেগুন এবং লতি একসাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে এটা জেনে ভালো লেগেছে যে সবগুলো নিজেদের গাছের সবজি এবং পুকুরের মাছ। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বেগুন ও লতি একসাথে রান্না করা হলে খুবই ভালো লাগলো। আর নিজেদের সবজি ও পুকুরের মাছ একসাথে হলে তো এমনিতেই খেতে ইচ্ছে করে।
আপনি খুব লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুর লতি আমার খুব পছন্দ। চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়।কিন্তু সাথে বেগুন দিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি। আপনি সাথে বেগুন দিয়ে রান্না করে শেয়ার করলেন। দেখতে দারুন হয়েছে। খেতে ও খুব মজার হয়েছে আশাকরি।ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।