চলুন হাত বাড়াই।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন
সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে ।
আমাদের চারিদিকে কত অসহায় মানুষ জীবন যাপন করছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবর পাচ্ছে না। থাকার স্থান, শিক্ষা, আর চিকিৎসাতো দূরের কথা । আমরা তো দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছি। কিন্তু তাদের জন্য দুর্লভ ব্যাপারে এটি। দুর্ভোগ আমাদের সরকার সকল জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতে সক্ষম হচ্ছে না। অনেক কষ্টে তারা জীবন যাপন করছে। অসহায় মানুষেরা নিজেদের জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই যাচ্ছে। মা সন্তানদের জন্য আহারের জন্য পথে পথে ঘুরছে। কেউ আছেন যারা খেতেও পারছেনা কারো কাছে সাহায্য চাইছে না। সমাজের অর্থ বিত্ত মানুষেরা তাদের দিকে একটু চোখ তুলে তাকালে ই তাদের এভাবে কষ্ট করে চলতে হয় না। কেউ আছে উদাস মনে চলছে একটু পায়চারি করে দেখছেনা। আর দুঃখের বিষয় হলো তারা এই অসহায় মানুষদেরকে মানুষই মনে করে না। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা কেমন যেন হয়ে গিয়েছে। মানুষ মানুষের জন্য প্রবাদটি কি এখন নেই?
পিতা-মাতার হাতে সন্তানদেরকে সুশিক্ষা দিলে হয়তো এমন পরিস্থিতি হতো না ।আর আমাদের মত মধ্যবিত্ত মানুষেরা দেখেও কিছু করতে পারছি না। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি এতে নিজেদের ওই সংকটের মধ্যে চলতে হচ্ছে। চাইলেও কিছু করতে পারছিনাহ। অসহায় মানুষদের কথা ভাবতে গেলে অজান্তেই চোখের কোনে পানি চলে আসে। যদিও যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকুই করার চেষ্টা করি। কারণ এটি অনেক বড় একটি সাওয়াবের কাজ।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন আমাদের সমাজে বিপদের সময় নিম্ন শ্রেণীর লোকেরাই আগে পাশে দাঁড়ায়। সে অসহায় মানুষরাই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। কিন্তু তাদের খারাপ সময় আমরা তাদের পাশে থাকি না। আমি বলব যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তার সাধ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। এই সংকটের দিনে আমাদের এত কষ্ট তাদের তো নাজেহাল অবস্থা। সর্বশেষ বলবো যার যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু দিয়েই গরীব-দুঃখীদের পাশে থাকা উচিত। এতেই আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় ও মানসিক শান্তি ও পাওয়া যায়।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
আসলে নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলো আশেপাশে অনেক বেশি দেখা যায়। আর অনেক অসহায় মানুষ রয়েছে যারা এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায় তাদের কোন থাকার জায়গা নেই। অসহায় মানুষগুলোর কথা মনে করলে কি রকম কষ্ট লাগে। আর অসহায় মানুষগুলোর সাথে আমরা যত খারাপ আচরণ করি না কেন, দেখা যায় আমাদের বিপদে তারা সবসময় পাশে এসে দাঁড়ায়।
আমাদের সকলের উচিত মানবিক হওয়া ধনী-গরিব সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
ঠিক বলেছেন আপু বর্তমানে দ্রব্যমূলের যে ঊর্ধ্বগতি আমাদের মত মানুষদেরই হিমশিম খেতে হয়। সেখানে নিম্নবিত্ত লোকেদের তো সংসার চালানোই কষ্ট। তিন বেলা খাবার জোটাতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়। তাছাড়া যারা বড়লোক তারা দিন দিন বড়লোকই হচ্ছে। এদের নিম্নবিত্ত মানুষের কোন চিন্তাই নেই। তাহলে হয়তো জিনিসপত্রের দাম এত বৃদ্ধি পেত না। খুব ভালো লিখেছেন আপু।
যে আপুদের জন্য আমাদের নিজেদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কি অবস্থা তা ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়।
আমি বলব বাংলাদেশ দরিদ্র উন্নয়নশীল দেশ। যে দেশে হাজারো মানুষ অনাহারে এখনো বসবাস করে। শহর অঞ্চলের কিছু ছোট বাচ্চারা থাকে এদের মুখপান তাকালে চোখ দিয়ে পানি ঝরে যায়। এদের নেই খাদ্য নেই বাসস্থান নেই চিকিৎসা নেই শিক্ষা। কষ্ট কাকে বলে এদের না দেখলে বোঝা যায় না। সমাজে অনেক কোটিপতি বিদ্যশালীর আছে তারা যদি একটু হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে তাদের একটু পূর্ণবাসন হয়। জানি তেমন লোকের অভাব অনেক। তার মধ্য থেকেও আমরা যদি নিজেদেরকে একটু তাদের জন্য কিছু করতে পারি তাহলে ভালো লাগে।
নিজের সামান্য টুকু থেকেই যদি দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ায় মনটা শান্তিতে ভরে যায়।
বর্তমান সমাজে নিজেকে কিভাবে উপরের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে সবাই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত এবং পথের লোকদের জন্য কারো ভাবনা নেই। এই সময়ে মানুষজনের যত আহাজারি এই সব কিছুর মূলে ভ্রান্ত বিশ্ব রাষ্ট্রব্যবস্থাই দায়ী। যতদিন না মানবিক বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়া যাবে,ততদিন এভাবেই মানুষকে অনাহারে মরতে হবে। ততদিন মানুষকে এভাবেই কষ্ট সহ্য করতে হবে। অনেক সময় অনেক কষ্ট লাগে কিন্তু কাকে বলব যোগ্য কেউ কি আছে? যাদেরকে বলে শুধরানোর। ধন্যবাদ আপু।
আমিও আপনার মত আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা কি তাই বলে মনে করছি। মানবিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কখন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।
আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের উচিত এরকম অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের পাশে আমাদেরকে সব সময় দাঁড়ানো উচিত, কারণ আমাদের বিপদে সব সময় দেখা যায় সর্বপ্রথম তারা এগিয়ে আসে। আসলে যার যেটুকু রয়েছে তা নিয়ে ভালো থাকলে হয়। আর প্রত্যেকটা মানুষের সাথে মেশা উচিত এবং পাশে দাঁড়ানো উচিত।
আমাদের সকলের উচিত দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই পোস্ট করে আমার খুবই ভালো লাগবে। আপনার এই পোষ্টের মধ্যে একটা লাইন আমার হৃদয় ছুঁয়েছে যখন কেউ বিপদে পড়ে তখন সেই গরিব দুঃখী মানুষগুলোই পাশে এসে আগে দাঁড়ায় কিন্তু তাদের দুঃখের সময় কেউ পাশে থাকে এ ব্যাপারটা আসলেই সত্য। বর্তমানে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বপাতির কারণে তাদের বেঁচে থাকাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে কিন্তু সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ইচ্ছে করলেই এদেরকে কিছুটা সাহায্য করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা ঠিক রাখতে পারে কিন্তু তারা কখনোই তা করে না। তাই আমাদের সকলের উচিত একত্রে হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান আপনার এই পোস্টের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার।
সমাজে উচ্চবিত্ত পরিবারে কোন বিপদ হলে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্ররা এগিয়ে আসে। যাইহোক বিত্তবানরা যদি দরিদ্রদের পাশে থাকতো আমাদের পরিবেশটা পুরোই উল্টে যেত।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে মানুষ শুয়ে,বসে রাত কাটাচ্ছে। পথ শিশুরা দুমুঠো খাবারের জন্য প্রতিনিয়ত কতটা সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এসব দৃশ্য দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে। আমাদের সবার উচিত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বিত্তবানরা এগুলো নিয়ে ভাবেই না। যদি তারা কিছুটাও ভাবতো,তাহলে চিত্রটা পাল্টে যেতো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সমাজের অর্থ বিত্তবান লোকেরা যদি এই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতো তাহলে আমাদের এই শহর থেকে দারিদ্র মোচন করা খুবই সহজ হতো।