মুঠোফোনে ধারণ করা কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন ।আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের মাঝে একটি ফটোগ্রাফি ছবি নিয়ে উপস্থিত হলাম। বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত।
গ্রীষ্মকালের শুরুতেই আমার বন্ধু আমাকে তার বাসায় দাওয়াত করেছিল। আমি সব আমরা চারজন বন্ধু মিলে ওদের বাসায় দাওয়াত খাইতে গিয়েছিলাম। পঞ্চগড় তেতুলিয়া গ্রাম। সেখানকার এত সুন্দর পরিবেশ আমাদের সকলকে মুগ্ধ করে দিয়েছে।
সেখানে অনেক পাহাড় পর্বত এবং একটি বিশাল চা বাগান ছিল। চা বাগানে গেটে একটি পন্স মিষ্টি দোকানে ছিল। শুরুতেই আমরা চারজন বন্ধু মিলে ওর বাসায় গিয়ে একটু হালকা নাস্তা পানি করে সবাই মিলে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। সবার প্রথমে আমরা ওই চা বাগানে গিয়েছিলাম অনেক সুন্দর ছিল সেই মুহূর্তটা।
চা বাগানের পাশে একটি পার্ক ছিল। পার্কটির নাম তেতুলিয়া পার্ক। এই পার্কে অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে আসতো। এবং সেই পার্কের সামনেই ছিল সেনাবাহিনীদের ক্যাম্প। সেনাবাহিনীদের ক্যাম্পের ওখানে একটি বিশাল পাহাড় ছিল। ওই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে আবার রাস্তা করে দেয়া আছে । আমরা সবাই মিলে ঐ রাস্তা দিয়ে হেঁটে ছিলাম। আমার এক বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে ওর পায়ে অনেক ব্যথা হয়েছিল। প্রায় পাঁচ মাইল হাঁটা লাগতো। পাহাড় কেটে কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল ওই রাস্তার পাশে আবার বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ছিল। এখানকার পরিবেশটা সকলকেই অনেক মুগ্ধ করেছিল।
সবচেয়ে বেশি আমাদের সকলের ভালো লেগেছে ওখানকার পার্ক টা। পার্কের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ এবং জাদুঘর এবং ভূতের বাড়ি ও ছিল। শুরুতেই আমি ভূতের বাড়ি থেকে ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু আমার বন্ধুরা ছিল অনেক সাহসী তারা সবাই ভিতরে গিয়েছিল একমাত্র আমি বাইরে বসে ছিলাম তাদের জন্য। তারপর সবাই মিলে আমরা দুপুরের খাবার খেতে গেলাম গ্রীন হাউজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সবাই আবার বন্ধুর বাসায় ফিরে আসলাম। আমরা সবাই অনেক আনন্দ করেছিলাম সেদিন। তারপর সবাই মিলে আমরা রাতে ওখানে থাকি। পরের দিন সকালেই আমরা চলে যাই আর্মির ক্যাম্পে। সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ করা ছিল। তারপরও আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে ওখানকার পরিবেশটা দেখেছিলাম। ভিতরে একটি মাঠ ছিল ওখানে আর্মিরা ট্রেনিং করত। তারপর একটি আর্মি এসে আমাদের বললো বাবা তোমরা ভিতরে যাবা। আমরা বললাম হ্যাঁ আমরা ভিতরে যাব। তারপর তিনি আমাদের ভিতরে নিয়ে যান। ভিতরে আমাদের ছবি তোলা নিষেধ ছিল তাই আমরা ছবি তুলতে পারিনি। তারপর একটি আর্মি আমাদের সাথে তার সম্পূর্ণ ক্যাম্পে ঘুরিয়ে দেখালো। দেখে বেশ আনন্দই লেগেছিল। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি রুপা আমরা আর্মি ক্যামকে বিদায় জানালাম।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার এই পোস্টে আসার জন্য। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে নতুন একটি ক্রিয়েটিভ পোস্টের মাধ্যমে।
আপনারা চা বাগানে ঘুরতে গিয়েছেন। এবং আপনি একটা পার্কের নাম উল্লেখ করেছেন। যার নাম হচ্ছে তেতুলিয়া পার্ক আসলে, এর নামটা অনেকটা অদ্ভুত, হয়তোবা জায়গাটা ও অসম্ভব সুন্দর।
আপনারা আর্মি ক্যাম্প লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলেন। তারপরে একজন আর্মি এসে আপনাদের সেখানে ঢোকার অনুমতি দিল। এবং তিনি নিজেই পুরো ক্যাম্প আপনাদেরকে ঘুরিয়ে দেখালো।
আসলে দেখুন তারা অনেক বড় পদে চাকরি করে ও তাদের মন-মানসিকতার কত পরিবর্তন। তারা মানুষদেরকে কতটা ভালোবাসতে জানে।
আর্মি ক্যাম্পের ভেতরে ফটোগ্রাফি করা নিষেধ ছিল। তাই আপনারা ফটোগ্রাফি করতে পারলেন না। যাক সমস্যা নেই আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, সেগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc
ধন্যবাদ।
চা বাগান দেখতে ভালোই লাগে আর আপনি চা বাগানে ঘুরতে গেছেন ৷ সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা ৷
তারপর যেটা ভালো লাগলো একজন সরকারি কর্মকর্তা আপনাকে তাদের পুরো ক্যাম্প ঘুরে ঘুরে দেখালো ৷ এই সুন্দর মুহূর্তে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
এতো সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
#miwcc
ধন্যবাদ।