একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের গল্প 🏏
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
মনটা বেশ খারাপ কিছুই ভালো লাগছিলো না।এইজন্য ড্রাইভে ঢুকে পুরাতন স্মৃতি গুলো দেখছিলাম।তো ড্রাইভের ফোল্ডার চেক করতে করতে এই ছবি গুলা সামনে চলে আসে।ছবিগুলো দেখে বেশ মনে পড়ছিল সেইদিন গুলার কথা।আর সময়টা খুব বেশিদিনের ও না এইতো ঠিক করনার সময় এর কথা।কিন্তু খাতায় কলমে প্রায় দুই বছর হয়ে গেলো।ভাবলাম এই গল্প গুলো তো এর আগে শেয়ার করা হয় নি তাই আজকে শেয়ার করতে চলেছি আপনাদের সাথে।
এইটা ঠিক করনার সময় এর কথা।যখন করোনার ভরা যৌবন ছিলো।চারদিকে শুধু আতঙ্ক আর মানুষের কড়া নিরাপত্তা।চারদিকে লকডাউন এমনকি প্রত্যেক এলাকায় এলাকায় কঠিন প্রতিরক্ষা।যেনো অপরিচিত কেউ এসে এলাকায় ঢুকতে না পারে।আর ওই সময়টায় সবাই বাসায় ছিল।কারণ স্কুল কলেজ সবকিছুই বন্ধ ছিল।তো করনার প্রথমের দিকে বেশ ভালই লাগছিল কারন পড়াশুনার চাপ নাই সাথে সব ভাই ব্রাদার একসাথে তখন খালি আড্ডা আর আড্ডা।কাল এ পাড়ার সাথে খেলা তো কাল অন্য পাড়া।এককথায় খাওয়া দাওয়া আর খেলাধুলা ছাড়া কোনো কথা নাই।কিন্তু সমস্যা বাঁধলো যখন করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লো।তখন তো এলাকায় এলাকায় লকডাউন।তখন খেলা তো দূরের কথা এক পাড়ার লোক অন্য পাড়ায় ঢোকাও মুস্কিল।আর ছেলেপেলেরাও বেশ হতাশ।কারণ এইসময় সবাই আছি তবুও মাঠে বল গড়াচ্ছে না।তো এইসব ভাবতে ভাবতেই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের এলাকায় কতগুলা প্লেয়ার আছে সবগুলোকে ভাগ করে তিনটা টিম বানিয়ে একটা টুনার্মেন্ট খেলব।এতে কেউ কিছু বলবেও না আর আমাদের সময় গুলোও কাটবে।তারপর ব্যাস সব গুলোকে হিসেব করে তিনটা ক্যাটাগরি বানিয়ে ফেললাম।এরপর তিনজন তিনটা দল নিলাম।দল গুলার নাম ছিল কভিড-১৯,হান্ডওয়াশ,মাস্ক আর টুর্নামেন্টের নাম ছিল করোনা😁।আর উপরে যে দলটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা আমার দল কভিড-১৯।এরপর নিলামে প্লেয়ার ডাকা হলো এবং সবার দলই মোটামুটি ব্যালান্স ছিল।বলা যায় যে কেউ কারো থেকে কম নয়।আর খেলাটা ছিল শট পিচে।
এইটা ছিল টিম মাস্ক।আর পুরো টুর্নামেন্টে এই দলটা সবচেয়ে ভালো ছিল।তো প্রথম ম্যাচ ছিল ওদের সাথে।কিন্তু সেই ম্যাচে আমার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ওরা টিকতেই পারে নাই আমাদের সাথে।ওই ম্যাচে আমি একাই 10 টি চার মেরে দলকে জিতিয়েছিলাম।এরপর প্রত্যেকটা দল প্রত্যেকটা দলের সাথে দুইবার করে খেলবে খেলে যে দুই দলের পয়েন্ট বেশি থাকবে তারা ফাইনাল খেলবে।কিন্তু সেই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা হেরে যাই টিম হ্যান্ডওয়াশ এর কাছে আর ওদিকে হ্যান্ডওয়াশ বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় মাস্ক এর সাথে । পরে নেট রান রেটে আমরা টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ পরে জাই।
আর এইটা হইলো টিম হ্যান্ডওয়াশ।এরপর ফাইনালে দুই দলের চলে দুর্ধর্ষ লড়াই।প্রথমে মাস্ক ব্যাটিং করে 10 ওভারে টার্গেট দেয় 45 রান সেই রান চেজ করতে গিয়ে 1 রানে হেরে যায় টিম হ্যান্ডওয়াশ।এবং চ্যাম্পিয়ন দলকে পুরস্কার দেওয়া হয় আর ওরা সেই টাকার সাথে আরো কিছু জোড়া দিয়ে একটা পিকনিক এর আয়োজন করে।তারপর থেকে পুরো করণাকাল আর বোরিং কাটে নি।চলেছে শুধু ননস্টপ ক্রিকেট।
Hi, @munna101,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
thank you 💕
বাহ ভাই টিমের নাম গুলো তো বেশ মজার ছিল।আপনার পোস্টে আমার সেই হাইস্কুল লাইফের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল।এরকম কত টুর্নামেন্ট যে খেলেছি আর তার টাকা দিয়ে কত যে পিকনিক করেছি।অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন।
আমিও হাই স্কুলে থাকতে অনেক টুর্নামেন্ট খেলেছি।এমনকি আমাদের স্কুলের আন্ত টুর্নামেন্ট ও খেলছি।তবে খেলা শেষে পিকনিকটা জোস হয় সবসময়।
একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের গল্প ভাই সচরাচর এমন অনেক কথা মনে পড়ে যায় হাইস্কুলে থাকা অবস্থায় অনেক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলেছি। হাই স্কুল লাইফে বন্ধু বান্ধবের সাথে অনেক বাজি ধরে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলা খেলতাম অনেক সুন্দর ছিল ভাই আপনার গল্পটি আমার গল্পের সাথে একদম মিলে গেছে ধন্যবাদ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম ভাই।পূরণ স্মৃতি গুলা সবসময় সুখকর হয়।তবে বাড়িতে গেলে এখনো বাজি ধরে খেলা হয়। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খেলার দলের নাম এবং টিমের নাম শুনে তো একদম অবাক হয়ে গেলাম। করোনার কারণে সবকিছুতেই যেন এখন করোনা নামটি মিশে আছে। তবে খেলার আয়োজন এবং সবকিছু বেশি ভালই লাগলো। তার সাথে খেলার পুরস্কার এবং আরো কিছু টাকা দিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছেন এটা শুনে ভালো লাগলো।
আসলে সময় টাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই নাম গুলা দিয়েছিলাম। যেন কোন এক সময় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা এই গল্পগুলো বলতে পারি আর সেজন্যই দিয়েছিলাম।
খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনি একাই দশটি চার মেরেছেন জানতে পারি। আপনার মত প্লেয়ারকেই আমাদের বাংলাদেশ টিমে একান্তই দরকার। আরো ভালোভাবে প্র্যাকটিস করুন ভাইয়া। তবে বুঝতে পারলাম না ভাইয়া আপনার মত একজন ভালো মানের প্লেয়ার থাকা সত্ত্বেও কিভাবে আপনার টিম হেরে যায়।
মূলত আমাদের পুরা টিম টাই আমার উপর ডিপেন্ডেন্ট ছিল।আর ওই জে বললাম না কোন দলই দুর্বল ছিল না সবাই ভালো দল ছিল। আর ক্রিকেট তো আনপ্রেডি্টেবল কে কখন হারবে বলা মুশকিল।
ভাইয়া দুনিয়ায় আর কোন নাম খুজে পেলেন না। নাম পড়ে তো হাসতে হাসতে বেহুশ হয়ে যাচ্ছি। আপনারা তাহলে করুনার সময়টা ভালই উপভোগ করেছেন। আর কি কি করেছেন ভাইয়া করোনার সময়..বলে দেন আরেকটু হাসি। ধন্যবাদ।
হাহা ভাই। ওই টুর্নামেন্ট টি এমন একটি স্মৃতিময় অধ্যায় জীবনের যেটা কখনো ভোলা যাবে না। আর বাকি গল্পগুলো অবশ্যই বলব তবে আরেকদিন।