নদী ও নদী পাড়ের সৌন্দর্য এর ফটোগ্রাফি
দিন পনেরো আগে হটাৎ করেই জরুরি দরকারে আমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া লাগলো। গ্রামে যাওয়ার কথা শুনলে আমার ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে। হটাৎ এ সিদ্ধান্ত হওয়ায় খুব বেশি জিনিস পত্র না নিয়েই রওনা দিলাম গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সকাল ৬ টা নাগাদ ঘু থেকে উঠে পড়লাম ।তাড়াতাড়ি প্রাত্যহিক কাজ গুলো শেষ করে নিলাম।
ড্রাইভার কে আগের দিন বলে রেখেছিলাম খুব সকালে চলে আসতে যেহেতু খুব সকালে বেরোতে হবে।তাই আর দেরি না করে সাড়ে ৬ টা র সময় রওনা দিলাম। পথে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা সময় লেগে যায় । তাই বক্স এ কিছু খাবার নিতেই হয় , এখন করোনা টাইমে বাইরে খাওয়া নিরাপদ নয়। যদিও আমি কখনোই গাড়ি থেকে নামি না । কোনো প্রকার জুড়ঝামেলা ছাড়াই বিকাল ৫ টা নাগাদ বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।
মা আমি যাব তাই আগের থেকেই আমার পছন্দের খাবার গুলো রান্না করে বসে ছিলেন। আমি যে দিন বাড়িতে যাই সে কয়েক দিন মা চেষ্টা করে নিজে র হাতে রান্নাটা করতে। মা খুব ভালো রান্না করেন , যদিও সব মায়ের ই রান্না র এক একটা এসপেশাল স্বাদ যা অন্য কারো হাতে পাওয়া যায় না। কত দিন ধরে অপেক্ষা করি সেই স্বাদ পাওয়ার জন্য। আমার মায়ের শরীর খুব বেশি ভালো নয় , কোমরে ব্যাথা নিয়ে সে আমার জন্য অনেক কষ্ট করে আমার জন্য রান্না করে।
যা হোক বাড়ি পৌঁছে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি ছুটে যাই আমার পছন্দের জায়গা তে। যেখানে আমার সকল ভালোলাগা লুকিয়ে থাকে। চলে গেলাম নদীর পাড়ে। বিকেলের ফুর ফুঁড়ে হওয়া হৃদয় মন শীতল করে দেয়। সিনিগ্ধ আবেশে জড়িয়ে রাখে সারাটি ক্ষণ।
তাছাড়া এখনো শরতের আবেশ ফিকে হয়ে যায়নি। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ তো আছেই। সাথে আবার শরতের আকাশের তুল মতো সাদা মেঘের ছড়াছড়ি। নদীর পাড়ের আকাশের যে সৌন্দর্য সেটা আসলে ক্যামেরা বন্ধি করে ধরা সম্ভব নয়।
চোখে একটা অভদ্ভুত সুন্দর অনুভূতি কাজ কাজ করে ।চোখ এ র আরাম বা শান্তি বলতে যা বোঝায় সেই জিনিসটা এখানে এসে আমি পাই। নদীর পাড়ে গিয়ে আমি শরতের আকাশ, নদীর পাড় , প্রকৃতির কিছু সুন্দর ছবি তুলেছিলাম। ভাবলাম সেগুলো আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরবো।আমার স5হে সাথে আপনারাও সেই সুখানুভূতি লাভ কবেন এই আশায়।
চিত্র:১
নদীর পাড়ে চরে নৌকা বাধা রয়েছে। জোয়ার এলেই মাঝি নৌকা নিয়ে ভেসে যাবে দূর অজানায়। শরতের সাদা মেঘমালা ভেসে যায় নীল দিগন্তে।
চিত্র:২
নদীর পাড়ের গাছপালা গুলো একটু বেশি সবুজ হয়ে থাকে। এরা প্রকৃতির খেয়ালে বেড়ে ওঠে। সবুজ গাছপালা যদি পাড়ে র সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
চিত্র:৩
এই ছবিতে নদীর সাথে নীল আকাশের অদ্ভূত মিলন ঘটেছে। যা ছবির সৌন্দর্য কয়েকগুন বাড়িয়ে তুলেছে।
চিত্র:৪
এই ছবিটি সূর্য ডুবে যাওয়ার ঠিক আগেই তুলেছিলাম। সন্ধ্যা নামার আগে প্রকৃতি এক শান্ত রূপ ধারণ করে , যা আমাদের মন কে ও শান্ত করে দেয়।
চিত্র:৫
এই ছবিটি নদীর পাশে নদী বেড়ে গিয়ে খানিকটা জায়গা নদীর মধ্যে চলে গেছে। নদী আগে খুব বড় ছিল না । দিন দিন এর ব্যাপ্তি বেড়ে চলেছে। যা র কারণে আশে পাশের জায়গাজমি অনেকটাই নদীর মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
চিত্র:৬
নদীর পাশ দিয়ে যে ছোট পিচের রাস্তা টি দেখা যাচ্ছে এটি আসলে এতোটাও ছোট ছিল রাস্তার অর্ধেকের বেশি ভেঙে যদি গর্ভে চলে গেছে। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর নতুন একটি রাস্তা বাজারের ভিতর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তবে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত এর সময় নদীর সৌন্দর্য পুরোপুরিভাবে উপভোগ করা যায় । তাই রাস্তাটি একটি আলাদা ভালোলাগার জায়গা।
চিত্র:৭
শরতের আকাশ এ ভোরের সূর্য উকি দিচ্ছে। এই সময় অদ্ভুত একটা ভালোলাগা কাজ করে । ঠিক সূর্যদয়ের পূর্বে নতুন দিনের আগমনে র বার্তা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
চিত্র:৮
নদীর পাশ দিয়ে সবুজ গাছের সারি । আর এই পিচের রাস্তাটি গ্রাম ও সদর উপজেলা র সংযোগ সড়ক, এই রাস্তা দিয়ে আশে পাশের গ্রামের লোকজন আসা যাওয়া করে।
চিত্র:৯
রাস্তার পাশে ছোট্ট একটি ঘর দেখা যাচ্ছে ছবিতে এটিকে গ্রামের ভাষায় বাসা বলে। গ্রামের লোকজন মাছ ধরার জন্য অনেক সময় রাত্রি যাপন করে থাকে। এই রকম ছোট ছোট ঘর দেখতে খুব ই সুন্দর।
বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ । এরকম হাজারো নদ নদী ছড়িয়ে রয়েছে দেশের সর্বত্র। আর সব নদী ই অসাধারণ সুন্দর। আমি কিছুটা চেষ্টা করলাম সেই সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে ।
ছবি : নদী
ছবির স্থান: বাংলাদেশ
ছবির ডিভাইস: Samsung S 20 ultra
ছবি তোলার তারিখ: ২৮ শে সেপ্টেম্বর , ২০২১
গ্রামের দৃশ্য গুলো সব সময়ই সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর হয়। আপনার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাবার গল্প থেকে শুরু করে প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। যা কল্পনা অতীত
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গ্রামের বাড়িতে যাবার, ভ্রমণের গল্প খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। প্রতিটি ছবি জাস্ট ওয়াও!! অনেক শুভ কামনা রইলো।
অনেক ধণ্যবাদ।
যখন বাসার বাইরে থাকা হয় এবং বাইরে থেকে যখন বাসায় আশা হয় নতুন এক অদ্ভুদ ভালো লাগা কাজ করে আমাদের মাঝে। গ্রাম আমাদের শিকর। আপনি আপনার মুহুর্ত এবং ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার পোষ্টি আমার আগের দিনগুলো মনে করিয়ে দিলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা সুন্দর পোস্ট করার জন্য। আমিও সময় পেলে নদীতে, আর পুরুন বাড়িতে বেড়াতে যায়। আসলেই ভাই আপনি একটি ভালো পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ভাই আপনি এত সুন্দর করে আপনার বাড়ি যাওয়ার প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন সেই সাথে আপনার বাড়িতে গিয়ে আপনার বাড়ির কি অসাধারণ অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো আপনি আমাদেরকে শেয়ার করেছেন করেছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আর কি বললেন যেন, ও মায়ের হাতের রান্না, সেটা তো আমাদের সবার কাছে অমৃতের মত লাগে। সকল মাই তার সন্তানের জন্য অন্যরকম কিছু করার চেষ্টা করে যাতে তার সন্তান খেয়ে আনন্দ পায় ঘুমিয়ে আনন্দ পায়, খেলে আনন্দ পায় এভরিথিং যার কোন তুলনা হয় না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর করে মায়ের আদর যত্ন গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।মায়ের কোনো তুলনা হয় না বাহির থেকে যখন সন্তান বাসায় আসে তখন কি যে তাড়াহুড়া করে।বাবা এটা খাও ওটা খাও।দেখবেন আপনি যে কয়দিন থাকবে আপনার খাওয়ার উপরেই থাকতে হবে।ফটোগ্রাফি ছিলো দেখার মতো।প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন।শুভকামনা রইল ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নদীর পাড় সহ নদীটাকে আপনি সুন্দরভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। নদীর পাড় দিয়ে ভেসে যাওয়া রাস্তা নদীর পাশের গাছগুলো সব মিলিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি। সুন্দর পোস্ট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে কথাটি আমার খুবই ভাল লাগল. আসলেই তখন মায়ের হাতের মত রান্না অন্য কোথাও স্বাদ পাওয়া যায় না এবং আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। সেই সাথে আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা করতেই হয়। এত সুন্দর ভাবে শরতের আকাশে ভোরের সূর্য উঁকি দিচ্ছে সেই মুহূর্ত আপনি তুলেছেন। অনেক সুন্দর ছিল নদীর পাশের খানিকটা জায়গা ছিল। অনেক সুন্দর ছিল সূর্য ডুবে যাচ্ছে আপনি ক্লিক করছেন
একদম তাই মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ অন্য কিছুর সাথে তুলনা হয় না। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপনার পোষ্টি আমার আগের দিনগুলো মনে করিয়ে দিলো।মায়ের কোনো তুলনা হয় না বাহির থেকে যখন সন্তান বাসায় আসে তখন কি যে তাড়াহুড়া করে।বাবা এটা খাও ওটা খাও।অনেক সুন্দর ছিল নদীর পাশের খানিকটা জায়গা ছিল। অনেক সুন্দর ছিল সূর্য ডুবে যাচ্ছে আপনি ক্লিক করছেন।
অনেক ধন্যবাদ ।
মা রা এইরকমই হয়। সন্তানরা বাড়ি আসলে তার পছন্দের খাবার তৈরি করে। আপনার গ্রামের দৃশ্যগুলো তো খুবই সুন্দর। এবং নদীর ছবিগুলি অসাধারণ হয়েছে। উপরে নীল আকাশ এবং নিচে অফুরন্ত জলরাশি এক অপরুপ দৃশ্য। পোস্ট টা খুব ভালো ছিল।।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের ভালো লাগলেই আমার লেখার সার্থকতা।