ভাই-বোনের সাথে কাটানো সুন্দর একটি সন্ধ্যা
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
![]() |
---|
ঈদের ছুটিতে বাসায় আত্মীয়-স্বজন এসেছে তাই অনেকটাই ব্যস্ত ছিলাম । অনেকদিন পরে, অনেকদিন বলা যায় না, অনেক বছর পরে তিন ভাই-বোন আবার একত্র হলাম। সত্যি কথা বলতে বিয়ের পরে বোনে বোনে দেখা হওয়াটা খুব কঠিন বিষয় হয়ে যার ।
![]() |
---|
সংসার ও কর্মজীবনে ব্যস্ত থাকে তাই সবার একত্র হওয়াটা ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় সম্ভব হয় না ।এবারের ঈদের ছুটিতে আমরা তিন ভাই-বোন একত্র হলাম তা পূর্বের পোস্টে আমি লিখেছিলাম ।তবে দাদার ছুটি খুবই কম ছিল। মাত্র ৫ দিনের ছুটি ছিল ।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এই কম ছুটি নিয়ে দুই বোনের বাসায় বেড়ানো ,বাবুটাকে নিয়ে শিশু পার্ক , চিড়িয়াখানা অথবা কোন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার সময়টা খুব কম পেয়েছি ।১৬ তারিখ বিকেলে আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম । ভাই-বোনের সাথে কাটানো সুন্দর একটি সন্ধ্যার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
![]() |
---|
দুপুরে রান্না-বান্না খাওয়া দাওয়ার বেশ ধুম পরে যায় । বিকেল পাঁচটার সময় বের হওয়ার কথা ছিল । আমাদের তৈরি হতে হতে ছয়টা বেজে গেল। আমাদের কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন ছিল আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হবার কথা ছিল।
![]() | ![]() |
---|
যেহেতু ঈদের আগের দিন ছিল তাই রাস্তাঘাটে খুব জ্যাম ছিল। দুটো কাজ একত্রে করার জন্য আমরা ”Unimart Centrepoint “ গিয়েছিলাম ।এই সুপারমলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য সুন্দর একটি playground আছে ।
![]() | ![]() |
---|
আমরা প্রথমে পঞ্চম তলায় Chef's Table গেলাম । এখানে বাচ্চাদের জন্য একটি playground আছে এবং বিভিন্ন বিদেশি খাবারের স্টল রয়েছে । এখানে খাবার দিতে অনেক সময় নিয়ে থাকে তাই প্রথমে আমরা খাবার গুলো অর্ডার দিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে খেলার স্থানটিতে আসি। সঙ্গে অনেক ছবিও তুললাম।
![]() |
---|
প্রথমে দাদার ছেলেটার অনেক মন খারাপ ছিল। সে ভেবে ছিল, তাকে নিয়ে পার্কে যাওয়া হবে কিন্তু সে এখানে এসে দেখে যে এখানে শুধু খাবারের স্টল ।এমনিতে সে খাবার ততটা পছন্দ করে না কিন্তু সে ঘুরতে অনেক পছন্দ করে ।
![]() | ![]() |
---|
যখন সে প্লেগ্রাউন্ডটি দেখলো তখন সে অনেক খুশি হল। ছবি তোলার সময় তার খুবই মন খারাপ ছিল ।এমনিতেও সে ছবি তুলতে পছন্দ করে না ।সবসময় তাকে ছবি তোলা জন্য বাধ্য করা হয় ।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
বোনের ছেলেটা অনেক খুশি। তার কোন দুর্বলতা নেই কারণ সে এখানে আরো অনেকবার এসেছে। এমনি তে সে অনেক সাহসী, সে ছবি তুলতে অনেক পছন্দ করে এবং বিভিন্ন স্টাইল দিতে পছন্দ করে। এরি মাঝে আমাদের খাবারও এসে গেল ।এরপরে আমরা গ্র্যাউন্ড ফ্লোর নামলাম এবং সেখান থেকে কিছু শপিং করলাম ।
![]() | ![]() |
---|
এখানে মজার বিষয় এই গাছটি দেখে মনে হচ্ছে যেন সত্যিকারের একটি গাছ। কিন্তু না এই গাছটি হলো কৃত্রিম একটি গাছ ।এত সুন্দর ভাবে গাছটি সাজিয়ে রেখেছে মনে হচ্ছে যেন , প্রাকৃতিক একটি গাছ । এই শপিংমল থেকে মার্কেট করাটা একটু ব্যয়বহুল ।এখানে প্রতিটি জিনিসের মূল্য বাইরের শপিংমল থেকে অনেকটাই বেশি সাথে ভ্যাট তো আছে। বাসায় আসতে আমাদের রাত ১০:৩০ বেজে গেল।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
![]() | ![]() |
প্রিয়জনদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ছোট হলেও সেগুলোর স্থায়িত্ব অনেক দিন থেকে যায় ।আশা করি আপনাদের ভাই-বোনদের সাথে কাটানো প্রিয় মুহূর্ত রয়েছে । পৃথিবীর সকল ভাই-বোনের সম্পর্ক সুন্দর থাকুক, মজবুত থাকুক। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি ”শুভরাত্রি ”।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপনি সেদিন বাড়িতে আসলে সত্যি ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়। আর বিয়ের পর মেয়েরা সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের আর ভাই বোনদের সাথে সময় ভাগ করে নিতে পারে না। তবে এবার আপনি ভাই-বোনদের সাথে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাড়িতে কেউ আসলে রান্না ব্যস্ততা তো থাকবেই। আপনার ভাই-বোনদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলি শেয়ার করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
পৃথিবীর সব থেকে মধুর সম্পর্ক হলো ভাই বোনের সম্পর্ক। অনেক দিন যাবত আপনি ভাই বোনদের সাথে সেভাবে সময় কাটাতে পারেন নি তাই এবার ঈদের ছুটিতে সকলে একজায়গায় হয়েছেন। বিয়ের আগে নিজের ইচ্ছা মতো চলা যায় তবে বিয়ের পর পরিবারের দায়িত্ব থাকে কাঁধে এজন্য ইচ্ছে থাকলেও ঘুরে বেড়ানো যায় না। আশা করি সবাই খুব সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দারুন কিছু মহুর্ত আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। ভাইবোনের সম্পর্কগুলো সত্যি অনেক মধুর হয়ে থাকে। এতদিন পর সকলে একত্রিত হতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। বিয়ের পর সবাই সবার সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে। তাই এই ছোট ছোট মহুর্তগুলি আমাদের জীবনে ব্যপক প্রভাব ফেলে। অনেকদিনের জমে থাকা কথা এবং ভালোবাসা প্রকাশের সুযোগ তৈরি করে দেয় এমন মহুর্ত।
সবার সাথে আপনি ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং বিভিন্ন খাবার খেয়েছেন। ছোটদের সাথে আনন্দ ভাগ করতে পেরে আপনি দারুন খুশি হয়েছেন। আপনার আগামী দিনগুলোও অনেক ভালো কাটুক সেই কামনা করছি। ভালো থাকবেন দিদি।
বড় হওয়ার পর সবাই যার যার সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেভাবে আর একসাথে সময় কাটানো হয়ে ওঠে না। বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে তাই একত্রিত হওয়ার সুযোগ হয়। যাহোক ঈদের ছুটিটা খুব ভালোভাবে কেটেছে বলে মনে হচ্ছে। আপনাদের সাথে সাথে বাচ্চারাও অনেক আনন্দ করেছে। সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।