The diary game|| Better life with steem || আমার বাসার ঈদ আনন্দ||

in Incredible India26 days ago
Untitled design (2).png
আমার বাসার ঈদ আনন্দ

Hello,

Everyone,

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি । ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে উৎসব উৎসব আমেজ বহিছে।আমারও আনন্দের সাথে ও ব্যস্ততার সাথে দিনগুলো কাটাচ্ছি ।এই ঈদে ছুটির আনন্দে আমরা সবাই একত্র হয়েছিলাম। ১৭ তারিখ দিনটি আমার খুবই ব্যস্ততার সাথে কেটেছিল এবং তার সাথে আনন্দ ছিল ।
Add a subheading (9).png
Made by canva

১৭ তারিখ রাতে আমরা সবাই বোনের বাসা থেকে আমার বাসায় আসি । ১৮ তারিখ দুপুরে বাসায় আমার ভাসুর যা ,যায়ের ছেলে, ছেলে বউ, নাতি-নাতনি এবং ভাসুরের মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনিদের দুপুরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম । মোট ২২ জন সদস্য এসেছিল । এই দিনটি সত্যি অনেক সুন্দর কেটেছিল ।আমি বাসায় আসার পরে ওদেরকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি তাই ভেবেছি মা যখন আছে তখন ওদেরকেও নিমন্ত্রণ করি । ঈদে সকলে লম্বা ছুটি পেয়েছে। এই সময়টা আমরা সবাই একত্র হতে পারি ।

২২ থেকে ২৪ জন লোক হবে দুপুরে এবং রান্নাবান্নার ঝামেলা অনেক । আমার কোন কাজ যদি অসম্পূর্ণ থাকে তবে রাত্রে চিন্তায় আমার ঘুম আসেনা, সেই কাজটি সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত । ১৭তারিখ সন্ধ্যার পরে আমরা বাসায় আসি আর ১৮ তারিখে দুপুর বেলা এই আয়োজন করা হয়েছে তাই কিছু কাজ আমি ১৭তারিখ রাতে করে রেখেছি ।

IMG20240617234539.jpgIMG20240617234548.jpg
গতরাতে তোলা ছবি

বোনের বাসাতে পুজো থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সবকিছুই করতে হয়েছিল ।অনেকটা ক্লান্ত ছিলাম তারপরও সবার একত্র হওয়ার আনন্দে সে ক্লান্তি দূরে চলে গেল। কি রান্না হবে, কিভাবে পরিবেশন করব , বাচ্চারা কি খেতে ভালোবাসে এই চিন্তা ভাবনা আগে থেকেই করে রেখেছি।

রাত ১টার সময় ঘুমাতে যাই এবং সকাল ছয়টার সময় আবার উঠতে হয়। যেহেতু অনেক কিছু রান্না করতে হবে তাই ভেবে নিয়ে সবকিছু আগে থেকেই শুরু করে দিলাম। আমি নির্দিষ্ট সময়ে পরিবেশন করতে পারবো ।সকালে উঠেই স্নান করে আমি ঠাকুর পূজো দিয়ে নিলাম।

IMG20240618132654.jpg

আজকে অনেক কাজ আছে তাই সকাল বেলা নাস্তা না বানিয়ে সরাসরি ভাত রান্না করেছিলাম ।তার সাথে আম দিয়ে টক ডাল ও ডিম ভুনা করেছি। বৌদি সকলকে খেতে দিয়েছিল। বৌদি ও ছোট বোন আজকে অনেক সাহায্য করেছে কিন্তু রান্নার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার হাতেই ছিল। ওরা সবসময় আমাকে ভরসা করে যে,আমি ভাল রান্না করতে পারি।

সত্যি, মাঝে মাঝে নিজের খুব অবাক লাগে ”আমি কিভাবে রান্না গুলো শিখলাম ”।আমি এসএসসি পরীক্ষার পরে প্রথম আর্মি বাবুর সাথে কোয়ার্টারে এসেছিলাম তখন থেকে আমার রান্নার শুরু ।আমি এর আগেও পোস্টে বলেছিলাম আমাকে রান্না শিখিয়েছিল আর্মিবাবু । মজার বিষয় হল, আমি যখন প্রথম ইলিশ পোলাও রান্না করেছিলাম ,তা ইলিশ পোলাও না হয়ে ইলিশ খিচুড়ি হয়ে গিয়েছিল ।আমার রান্না আমি নিজেই খেতে পারিনি”।

IMG20240618132731.jpg

মানুষ চেষ্টা করলে সব কিছুই পারে আর মেয়েদের রান্নার কাজটা শিখানোর প্রয়োজন হয় না ।যদি ইচ্ছে শক্তি থাকে তবে সে পাক্কা রাধুনী হতে পারে ।আজ আমার রান্না সবারই খুব প্রিয় । আমার যা এবং ভাসুরের মেয়ের কাছে খুবই প্রিয় এবং তারা যখন আমার রান্নার প্রশংসা করে সত্যি তখন আনন্দ হয় এবং এই কষ্ট সার্থকতা হয় ।

IMG20240618150532.jpg

আজকে রান্না করেছিলাম সাদা পোলাও ,বেগুনি, মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল, চিকেন রোস্ট , মাছের ঝোল, মাটন কষা ,সাথে ছিল দই , মিষ্টি ও সফট ড্রিংক ।সবাই মিলেমিশে কাজ করছি। বৌদিকে বললাম সবাইকে শরবত বানিয়ে দিতে। আমার সমস্ত কিছু রান্না করতে করতে দুপুর ১টা বেজে গেল । ভাসুর দাদা আসলেন কিন্তু আমার প্রধান অতিথি আমার যা ও তার ছেলে মেয়েরা এখনো এসে পৌঁছায়নি।

কিছুক্ষণ পরে ১ঃ৩০ মিনিটে যা ও তার ছেলে আসলেন ।প্রথম ওদেরকে ঠান্ড ঠান্ডা শরবত দেওয়া হল । আজ আমি এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে ,আমার সেরকম কোন ছবি তোলাই হয়নি ।অনেক বাচ্চা একত্র হয়েছে তাই ছবি তোলার কথাই ভুলে গেছে । মেয়েটা আমার ছবি তুলে দিতে পারেনি । খুবই কম ছবি তুললাম।

Add a heading.png
Made by Canva

আমি সবসময় মনে করি, এক মন দিয়ে রান্না করলে এবং সুন্দরভাবে পরিবেশন করলে খাবার সুস্বাদু হয় এবং দেখতেও সুন্দর লাগে ।আমি টেবিল সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু অনেক লোক ছিল তাই টেবিলে ছয় জন বসেছিল । কিছু টেবিলে বসলো এবং কিছু নিচে বসলো। সবার খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হতে হতে বিকেল পাঁচটা বেজে গেল।

IMG20240618150515.jpgIMG20240618150508.jpg

কারণ আমার ভাসুরের মেয়ের আসতে দেরি হয়েছিল । বাচ্চারা বসেছিল ওর মেয়ে দুটো আসার পরে ওদের সাথে খেতে বসবে। সকলের খাবার শেষ করে এবং সবকিছু পরিষ্কার করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। আমি স্নান করে সন্ধ্যার পূজা করে নিলাম। আমার কতগুলো নাতি-নাতনি । অনেক কথা, হাসিঠাট্টার ভেতর দিয়ে আমাদের সময়টুকু কেটে গেল। সকলের জন্য চা বানিয়ে দিলাম ।

দিদি যখন আমার প্রশংসা করতে ছিল তখন আর্মি বাবুর দিকে একটু তাকালাম বুঝলাম, তিনি মনে মনে অনেক খুশি , তার ছোট্ট বউটি আজ সবকিছুই শিখে গেছে এবং সুন্দরভাবে সংসারটাকে সাজিয়ে নিয়েছে। একা সুখী হওয়ার থেকে সবাইকে নিয়ে সুখে থাকাটাই আমি মনে করি প্রকৃত সুখ ।

স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমাদের পরিবার Incredible India কমেউনিটিকে নিয়ে আমরা সুখে থাকতে চাই ।এক সাথে আরও এগিয়ে যেতে চাই ।

এভাবে কেটে গেল আবার ১৮ই জুন ঈদের পরের দিনটি ।তবে আজ অবসর সময় কাটাচ্ছি কিন্তু মনটা অনেক খারাপ । যেহেতু সবারই কর্মজীবন শুরু হয়ে গেছে তাই সবাই চলে গেছে । আমি সেই আগের স্থানে চলে এসেছি ।

Device Description
Smartphoneoppo
Smartphone Modeloppo A83(2018)
Photographer@muktaseo


◦•●◉✿ শুভ রাত্রি✿◉●•◦


Sort:  
Loading...
 25 days ago 

দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দারুন একটি দিনের অভিজ্ঞতা এবং আপনার আনন্দের কিছু মহুর্ত আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। যেহেতু ঈদের ছুটি ছিলো সেহেতু আপনারা একত্রে অনেক জন লোক একত্রিত হতে পেরেছিলেন। মোট বাইশ জন সদস্য আপনাদের বাসায় দাওয়াত খেতে এসেছিলো। বাইশ জনের রান্না সম্পন্ন করা সত্যি অনেক চ্যলেঞ্জিং একটি বিষয়। আর আপনি সেই চ্যলেঞ্জ উতরে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

সকলে মিলে খুব ভালোভাবেই সময়টুকু পার করেছেন। এমন ছোট কিছু মহুর্ত আমাদের জীবনকে রাঙ্গিয়ে তোলে। সামনের দিকে এগোবার সাহস যোগায়। সকলে একত্রে থাকলে আত্মীয়তার বন্ধন আরো মজবুত হয়। ভালো থাকবেন দিদি। শুভ কামনা রইলো।

 25 days ago 

আনন্দময় একটি দিন কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো এবং এই আনন্দের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলে ২২ থেকে ২৪ জন মানুষের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতে গেলে অনেকটা কষ্ট এবং ঝামেলা হয় তার পাশাপাশি আপনি রাতে কিছু কাজ করে রেখে দিয়েছিলেন এবং দুপুরে রান্না করার আয়োজন করেছিলেন। রাতে কিছুটা কাজ করে রেখে দিয়েছেন এটা অনেকটা ভালো কাজ করেছিলেন। কারণ সবকিছু দুপুরে করতে গেলে আরো বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়তেন।

 25 days ago 

মোট ২২ জন সদস্য এক জায়গায় হয়েছেন। সচারাচর সব সময় এত আত্মীয় স্বজনরা এক সাথে হওয়া হয় না এখন। অনেক দিন পর তাতা আপনার বাসায় এসেছে হয়ত খুব আনন্দ করেছেন।

আমার মনে হয় কাজের ফাঁকে সময় বের করে এমন সকলে মিলে একসাথে হওয়াটা জরুরি। অনেক লোভনীয় পদের রান্না করেছেন। সবাই মিলে আনন্দ ফুর্তি ও নানা কাজ করতে গেলে ছবি তোলার কথা ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ভালো থাকবেন।

 25 days ago 

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। মন থেকে যেকোনো কাজ করলেই সব কাজই সুন্দর হয় ।তবে আপনারা সবাই মিলেমিশে কাজ করেছেন ভালই করেছেন। তবে এত জন লোকের রান্না করা খুবই পরিশ্রমের ব্যাপার। তবে মাঝে মাঝে পরিবারের সকলের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলি সব থেকে বেশি ভালো লাগে। একা থাকার থেকে পরিবারের সকলের সাথে থাকার মধ্যে অনেকটা সুখ খুঁজে পাওয়া যায়। এটা একদম বাস্তব কথা। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ভালো লাগলো ভালো থাকবেন।

 25 days ago 

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই মানুষ আর আনন্দ মানেই সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়া। ঈদ আনন্দ আপনারা আপনাদের বাসায় খুব সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন। এই বয়সে আপনার নাতি এবং নাতনি দের ছবি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে কি বলবো আমি নিজেও নানি হয়ে গেছি। যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

 25 days ago 

ঈদ মানেই আনন্দ আপনি যে আপনার বাসায় ঈদের আনন্দ পালন করেছেন সেটা দেখে অনেক খুশি হলাম। এবং আপনি যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফিশেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 62832.46
ETH 3374.71
USDT 1.00
SBD 2.48