৩০ পেরোনো নারীদের নিয়ে কিছু কথা ।
![]() |
---|
Source |
Hello,
Everyone,
আমরা সকলেই জানি মানুষকে স্ত্রী, পুরুষ ও রূপান্তরিত নারী হিসেবে ভাগ করে থাকে । শৈশব ,যৌবন এবং বার্ধক্য এ নিয়ে আমাদের জীবন চক্র চলতে থাকে । তবে এই তিন চক্রের মাঝে আরো কিছু চক্র থাকে। তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি আবার অনেক সময় বুঝতে পারিনা ।
বিশেষ করে আমি নারীদের পরিবর্তনের কথা গুলো বলছি ।মেয়েরা শৈশব থেকে যৌবনে যখন পা রাখে তখন তাদের দেহের পরিবর্তনের সাথে মনের পরিবর্তন আসে । যৌবন থেকে বার্ধক্য আসার আগ মুহূর্তে বিশেষ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ।এই সময় নারীদের এক বিশাল পরিবর্তন আসে। আজ আমি সেই সময়টাকে নিয়ে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি ।যে সময়টা আমি পার করছি ।
![]() |
---|
sOURCE |
অনেকদিন থেকে নিজের ভিতরে কিছু সমস্যা অনুভব করতে পারছি এবং তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি ।৩০ পেরোনোর পরে নারীদের জীবনকাল থাকে অন্যরকম। হয়তো তখন কোন নারী সংসারে আবদ্ধ হয়ে পরেছে। কেউ চাকরিতে যুক্ত আছে অথবা কেউ চাকরি এবং সংসার দুটোই একসাথে সামলাচ্ছে ।আবার হয়তোবা ২/১টি সন্তান আছে ।
সব কিছুই ঠিক চলছে কিন্তু নিজের ভিতর পরিবর্তন লক্ষ্য করছি । যেন নিজেকে স্বাধীন ভাবতে পারছিনা । সকলের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে আর ভালো লাগছে না ।কেউ শাসন করছে তাও যেন ভালো লাগছে না। মন চাচ্ছে ”মুক্ত পাখির মত ঘুরে বেড়াতে ” ।
![]() |
---|
sOURCE |
৩০ পেরোনো নারী , সে অল্পতেই রেগে যায়, কথায় কথায় তার চোখে আর কান্না আসে না , সারাক্ষণ তার ভুল ধরাটা সহ্য করতে পারছে না, তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না ,খেতে ইচ্ছে করছেনা এরকম অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
যে মেয়েটা সংসার ,স্বামী-সন্তান ,সংসারের ভালবাসার জন্য চাকরি ছেড়েছে, মন দিয়ে সংসার করতে চাচ্ছে কিন্তু সেই সংসারের প্রতিটি লোক যখন তাকে বুঝিয়ে দেয় সে অন্যের উপর নির্ভর করে আছে ।তখন নিজেকে বোঝা মনে হচ্ছে ।
এই থেকে ৩০ পেরোনো নারীরা মানসিক সমস্যায় ভুগছে । নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয় । অযথা রেগে যায়, অনেক কিছুই সে মেনে নিতে পারে না ।
![]() |
---|
sOURCE |
তবে এই পরিবর্তনগুলো পুরুষদের থেকে নারীদের বেশি দেখা দেয় তাই এই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উচিত হবে তাকে সময় দেওয়া এবং তাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করা। ছোটখাটো ভুলগুলো মনে না রেখে বন্ধু সুলভ আচরণ করতে হবে। বিশেষ করে স্বামী - সন্তানদেরকে উচিত তাকে প্রচুর সময় দাওয়া ।৩০ পেরোনো নারীরা তার বাবা মাকে খুঁজে পান সন্তানদের মাঝে ।
![]() |
---|
sOURCE |
তার কাজের প্রশংসা করা এবং তার সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করা ।তার সাথে সংসারের কাজে সাহায্য করা । তাকে হাসিখুশি রাখা ।প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।এই ৩০ পেরোনো নারী চায় তার স্বামী একজন প্রেমিক হয়ে, একজন বন্ধু হয়ে তার সকল মনের কথা শুনুক , তাকে বুঝুক এবং প্রথম জীবনেরমত বেশি বেশি ভালোবাসুক তবেই পারবে ৩০ পেরোনো নারী আবার নিজেকে সাভাবিক করতে ।
আপনার পোস্টটি সত্যিই খুব সুন্দর ছিল। মেয়েরা তিরিশ পেরোলে সত্যিই ওদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।আসলে আমরা মেয়ে , নারী, মা এই বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন সময় আমাদের যে পরিবর্তন গুলো হয় সেটি আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে এটা কিন্তু ঠিক ,একটা নারীরা যতটা মানিয়ে নিতে পারে একটা পুরুষ কিন্তু ততটা মানিয়ে নিতে পারে ।
প্রথমেই বলব এরকম বাস্তব চিত্র নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন বয়স ৩০ পেরনোর পরেই নারীদের মাঝে অনেক পরিবর্তন চলে আসে। কারণ তারা সংসার করতে করতে একসময় দেখা যায় অতিষ্ঠ হয়ে যায়। হয়তো তারা মুখ ফুটে বলতে পারেনা না। না হলে বলার সাহস পায় না।
নারীকে নিয়ে এরকম সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।