The Diary Game || 16th March-Ifter with my family members & Shopping activities
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। কেমন আছেন সবাই? আজ ১৬ই মার্চ, শনিবার। আজকের দিনটি কিভাবে কাটালাম সেটি আজকে শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
 |
|---|
গতকাল রাতে মেয়ে ভাত না খেয়েই সন্ধ্যেবেলা ঘুমিয়ে পড়েছিলো। আজকে সেহরির সময় সবার আগেই সে ঊঠে বসে আছে, কারণ সে রোজা খাবে(তার ভাষায়) মানে সেহরি খাবে। তাকে খাইয়ে আমরা সবাই খেয়ে নিলাম। পড়ে সে আমার ছোট ভাগ্নে মিল এর সাথে নামাজ পড়ে নিলো। আমরাও নামাজ পড়ে আবার সকাল ৯ টা অব্দি ঘুমালাম।
রমাজান মাস, তার উপর ছুটির দিন, তাই ঘুম ই ভাঙতে চায় না। ঘুম থেকে উঠে মোবাইল হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ প্রিয় কমিউনিটির পোস্ট পড়ে কমেন্ট করলাম।
সকাল টা এভাবেই কেটে গেলো। দুপুরে গোসল শেষে মেয়েকে খাইয়ে দিয়ে টিভি দেখে সময় পার। মেয়ে এক গাদা খেলনা এলোমেলো করে বসে আছে মেঝেতে। এটাই তার কাজ, সব অগোছালো করবে আর আরেকজন কে গুছিয়ে দিতে হবে।
 |
|---|
বিকেল হতে না হতেই বাড়ির সবাই ইফতার বানানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। বড় আপু দেখলাম সুন্দর করে পেয়াজু গুলো ভাজছে। ছোট বোন বেগুনি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইফতার মানেই যেন ছোলা, বেগুনি, পেয়াজু থাকাই লাগবে।
 |
|---|
ছোট ভাইকে আমার ভাগ্নে দিল আর মিল নতুন নাম দিয়েছে। শরবত মামা বলে ডাকে। কারণ ওর কাজ প্রতিদিন শরবত বানানো। দেখলাম সে লেবু আর ট্যাং গুলিয়ে শরবত বানাচ্ছে।
 |  |
|---|
আমি সব গুলো প্লেট এক খানে করে প্লেটে ইফতারের আইটেম গুলো সাজাতে শুরু করলাম। এরই মাঝে আমার বড় ভাই জিলাপি নিয়ে এসেছে, বড় দুলাভাই মোনাক্কা, আর ছোট বোনের জামাই আঙুর নিয়ে এলো।
 |
|---|
আজকে বাসায় মোট ১৩ জন সদস্য, তাই ১৩ টা প্লেট সাজানো হলো। আজান হলে সবাই মিলে আমরা ইফতারি করলাম।
মাগরিবের নামাজ পড়ে চলে গেলাম বাসার পাশেই একটা কাপড়ের দোকান। এই দোকানটাতে সব এক্সপোর্ট এর কাপড় পাওয়া যায়।
 |
|---|
 |
|---|
মেয়ে আর ভাগ্নে দুজনে মিলে দোকান পুরো যেন মাথায় তুলেছে। এদিক থেকে ওদিক ছুটছে। এই দোকানে দাম তুলনামূল কম। আমি মেয়ের জন্যে ৩ টা ফ্রগ, ভাগ্নে ও ভাতিজার জন্যে ১ টি করে পোলো শার্ট কিনে নিলাম।
 |
|---|
| Product | Qty | Price(BDT) | Price(SP) |
|---|---|---|---|
| মেয়ের জামা | ৩ টি | 450 TK | 9.83 |
| পোলো শার্ট | ২ টি | 400 Tk | 8.74 |
কাপড়ের দোকান থেকে বের হয়ে বউ আমাকে নিয়ে পাশের হাড়ি-পাতিলের বড় একটি দোকানে নিয়ে গেল। এখানে নাকি জিনিসের দাম একটু কম। এখান থেকে সে একটা স্টিলের প্লেট, একটা বাটি, আর ভাত রান্নার পাতিল নিলো।
 |
|---|
 |
|---|
| Product | Qty | Price(BDT) | Price(SP) |
|---|---|---|---|
| প্লেট | 1 pcs | 150 TK | 3.28 |
| বাটি | 1 pcs | 100 TK | 2.18 |
| ভাতের পাতিল | 1pcs | 350TK | 7.65 |
বাসায় এসে দেখি ছোটভাই পানির ফিল্টার চেঞ্জ করছে। ঢাকা শহরের পানি কত ময়লা তা এই ফিল্টারের পুরাতন কিট দেখলেই বোঝা যায়। সাদা থেকে একদম কালো হয়ে গিয়েছে। পরে পুরাতনটা পালটে নতুন সাদাটা লাগিয়ে দিলো। যদিও এক মাস না যেতেই এটি আবার কালো হয়ে যাবে।
 |
|---|
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর যখন পোস্ট লিখছি, তখন দেখি মেয়ে আর ভাগ্নে খেলছে। ভাগ্নে হয়েছে ডাক্তার আর আমার মেয়ে রোগী। ডাক্তার চেক আপ করছে। তারা নিজেদের মত করে খেলছে। বাচ্চারা খেলার সাথী পেলে কতটা খুশি হয় তা এদের দেখেই বুঝতে পারছি। আমার মেয়ে এখান থেকে আর বাড়ি যেতেই চায় না।
 |
|---|
আজকেই তাদের শেষ খেলা। আবার কবে আসা হবে জানিনা। কালকে সকাল বেলা ঊঠেই এখান থেকে চলে যেতে হবে, এটা শুনেই মেয়ে এখন থেকেই কান্না করছে। রাত অনেক হয়ে গিয়েছে, এখন তাকে ভুলে ভালে বুঝিয়ে ঘুমিয়ে দিয়ে আমরাও ঘুমিয়ে পড়বো।
আপনার মেয়ে রাতে না খেয়ে ঘুমিয়েছে এজন্য হয়ত ক্ষুধা লাগছে তাই সে জেগে গেছে সবার আগে। আপনার মেয়ে রোজা খাবে শুনে সত্যিই খুব হাসি পেলো। বাচ্চাদের এমন কথা শুনলে মন ভালো হতে বাধ্য। সবাই মিলে খুব মজা করে ইফতার খেয়েছিলেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই, ছোট মানুষেরা মাঝে মাঝে ভুল ভাল বলে তখন শুনতে ক্নেক মজা লাগে, আসলে তাদের এ বয়সের কথা গুলোই অনেক মিষ্টি হয়। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
ছোটদের মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনতে সবারই খুব ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন।।
এটা একদম ই সত্য ভাই। ছোটদের আধো আধো বলা কথা গুলো দারুণ লাগে শুনতে। আর এই বয়সে বাচ্চারা বেশি বেশি কথা বলতে চায়। অনেক বেশি প্রশ্ন করে। তাদের জানার আগ্রহের শেষ নেই।
সত্যি বলতে আমার ব্যক্তিগত ভাবে বাচ্চাদের আধো আধো কথা খুব ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে।।।
বাচ্চাদের এই একটা অবস্থা সেহরি খাওয়ার সময় উঠে বসে থাকবে এবং রোজা খাবে। এটা আমার ছেলেও বলে থাকে। ছোট ছেলে ওর মুখে শুনতে বেশ ভালই লাগে। আপনাদের বাসার প্রচুর পরিমাণে মেহমান, সবার সাথে আনন্দে আপনার দিনটা বেশ সুন্দর ভাবেই কেটে গিয়েছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে আমার বাসায় না আমি আপুর বাসায় মেহমান হয়ে গিয়েছি। পাশাপাশি ভাই বোনেরাও ছিল। সবাজ মিলে অনেক মজা হয়েছে। আসলে পরিবারের সাথে ইফতার করাটা অনেক মজার হয় সব সময়।
রমজান মাস এমনিতেই সকালবেলা ঘুম ভাঙতে চায় না। তার ওপর যদি ছুটির দিন থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আপনার মেয়ে সেহরির সময় উঠে ভাত খেয়েছে। আপনাদের ইফতারের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। এছাড়া আপনার পরিবার সহ কেনাকাটা করার জন্য বাজারে গিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সারাদিনের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামতের জন্যে।
আপনার মেয়ে সেহেরী খাওয়ার জন্য উঠেছে এবং খুব চমৎকারভাবে ব্যাপারটি আপনি বর্ণনা করেছেন। বাচ্চাদের আধো আধো ভুলভাল কথা শুনতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। তবে ইফতারের আয়োজন বেশ সুন্দরভাবে আপনারা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ছুটির দিন চমৎকার ভাবে কাটিয়েছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
আমার সেই রোযার শুরু থেকে বলে আসছে সেও রোযা খাবে, কিন্তু কোনদিন সে টের পায় না। অবশেষে তার মনের আশা পূরণ হয়েছে, এবং এটাতে সে খুব ই খুশি। ধন্যবাদ আপু।
আপনার মেয়ে খেলা করার জন্য সব কিছুই মেঝেতে ঢেলে নেয়। আসলে ছোট বাচ্চাটা এরকম সবগুলো খেলনা একবারে বের করে।। আর হ্যাঁ আপনার ভাগ্নে অনেক সুন্দর একটি নাম দিয়েছে শরবত মামা।। এছাড়াও আজকে মার্কেটে গিয়েছিলেন বেশ কেনাকাটা করার জন্য।। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পরে ভাল থাকবেন।।