Better life with steem || The Diary Game || 15th February
১৫ ফেব্রুয়ারী ,২০২৪- বৃহস্পতিবার। আগেও বলেছি, এই দিন টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে অফিস করতে, এই ভেবেই সারাদিন পার হয় যে আগামীকাল ও পরশু ছুটি থাকবে।
সকাল সকাল অফিসের পথে রওনা হয়ে গেলাম। ইদানীং গুলশান এলাকায় অনেক ভিক্ষুক এর সংখ্যা বেড়েছে। কেউ শখের বসে ভিক্ষা করে আবার কেউ উপায় না পেয়ে করে। তবে কোনটা যে প্রফেশনাল ভিক্ষুক আর কোনটা উপায় না পেয়ে ভিক্ষা করছে তা বুঝা মুশকিল। এই তো প্রতিদিন যে পথে আসি সেখানে দেখি এক বৃদ্ধা লেকের পাড়ে বসে ভিক্ষা করে। এই বৃদ্ধাকে এক লোক সকালে এনে এখানে বসিয়ে দেয়, ১১ টার দিকে আবার তুলে নিয়ে যায়।
ওই লোক এরকম আরো ৪-৫ জন মহিলাকে গুলশানের বিভিন্ন পয়েন্টে বসিয়ে দেয়। ভাবুন একবার কি বিজনেস তার? প্রতিজনের ডেইলি ইনকামের ৫০ ভাগ তার।
যাই হোক এসব দেখে দেখে এখন অভ্যস্ত। অফিসে আসার পথে লেকপাড়ে একটা আম গাছে দেখলাম মুকুলে ভরে গেছে। এই গাছের নীচে দিয়ে হাটলেই সুঘ্রাণ মিলে। মনটা ভালো হয়ে যায়।
অফিসে গিয়ে দেখলাম অফিসের নীচতলায় জুতা,মানিব্যাগের মেলা বসেছে। ডিস্কাউন্ট দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ডের দামী দামী জুতো,ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে। আমি সেখানে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখলাম, তবে ডিস্কাউন্ট দেবার পরেও এতই বাড়তি দাম যে নেয়ার সাধ্য হলো না। একটা মানিব্যাগ পছন্দ হয়েছিল Police ব্রান্ডের, তবে সেটার অফার মূল্য ১২০০ টাকা দেখে না কিনেই চলে আসতে হলো।
দুপুরে লাঞ্চ করে কাজ করতে করতেই বিকেল হয়ে গেল। আসরের নামাজ পড়ে ছাদে হাটছিলাম, দেখলাম ছাদের লেবুর গাছে লিটন দা, আমাদের অফিসের মালী কলম লাগিয়েছে। লেবুর ডালে কলম করলে নতুন চারা পাওয়া যায়। আমি নিজেও গ্রামে অনেক করেছি। তবে এবার দেখলাম উনি ওয়ান টাইপ গ্লাসে মাটি দিয়ে কলম করেছে। বুদ্ধিটা কিন্তু দারুণ। এভাবেও যে চারা করা যায় এটা কখনো কল্পনাও করি নি।
অফিসের ছাদে অনেক গুলো ফুল গাছে ফুল ধরে আছে। আমি ফুল অনেক ভালোবাসি, ফুল দেখলেই শুধু ফটোগ্রাফি করতে মন চায়। আমি কিছু ফুলের ছবি ক্যাপচার করলাম।
সন্ধ্যেবেলা বাসায় ফেরার পথে মেয়ের জন্যে রঙ পেন্সিল কিনতে হলো। দুপুর থেকে আমাকে বার বার বলছিল যেন আজকে রঙ পেন্সিল নিয়ে বাসায় আসি। পাশের বাসার ফারিহার রঙ পেন্সিল দেখে সেও এখন নিবে।
আমার স্পষ্ট মনে আছে এই রকম একটা পেন্সিল বক্স ছোটবেলায় নিবো বলে ১০-১২ দিন ঘ্যান ঘ্যান করা লাগছিল। তখন এরকম কালারের দাম ছিল ২৫ টাকা। এখন এটার দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা।
বাসার জন্যে দোকান থেকে ব্রেড ও আংগুর কিনে নিলাম। হটাৎ করেই কয়েকদিন ধরে দেখছি আঙুর দিয়ে চারপাশ ভরে গেছে। দাম ও কিছুটা কম। এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা কেজি দরে।
রাতে আজকে তারাতারি খাবার খেয়ে নিলাম। কালকে থেকে একটু পড়ালেখা শুরু করতে হবে। কয়েকদিন পরেই আমাদের দুজনার এক্সাম আছে। একই দিনে একই সময়ে এক্সাম, মেয়েকে কোথায় রেখে এক্সাম দিবো সেটাই এখন ও ঠিক করতে পারি নি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে আমাদের সময়। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ডায়েরি পড়ার জন্য।
Twitter link
https://twitter.com/Mukit_Salafi/status/1758177923679600747?t=wdaCoX3J8PnISIdJ6-4tvw&s=19
সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন সত্যি অফিস করতে খুব ভালো লাগে। নিজেকে অনেক বেশি এনার্জিতে পরিপূর্ণ মনে হয়। আমি যখন চাকরি করতাম আমার একই রকম ফিল হতো।
ভিখারিদের দেখে সত্যিই বোঝা মুশকিল যে কে অভাবে ভিক্ষা করছে আর কে স্বভাবে ভিক্ষা করছে। কোলকাতায় একবার এক ভিখারির সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল যার একটা পা খোঁড়া এবং সে সুদে টাকা ধার দেয়।
ঢাকার অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ। এখানে ভিক্ষুকদের ও ফ্ল্যাট আছে। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, কি রকম ব্যাবসা এই ভিক্ষা নিয়ে।
বর্তমান সময়ে আমি দেখেছি, প্রত্যেকটা জায়গায় ভিক্ষাবৃত্তি একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন মানুষ বৃদ্ধ এবং ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে। এটা করা আসলে মোটেও ঠিক না।
একদমই ঠিক বলেছেন, এই রং পেন্সিল গুলো কেনার জন্য অনেক কান্নাকাটি করতে হতো। আর তখন অল্প টাকা দিয়ে কেনা যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম একেবারে আকাশ ছোঁয়া। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে নাটকের শেষ এই আপু। এখন আসলে আসলে যার দরকার সে টাকা টা পায় না। ভিক্ষা করে এক জন আর টাকা নিয়ে যায় আর এক জন।
এই পেন্সিল গুলো আমাদের সময় থেকেই ছিল। খুব পছন্দের জিনিস
আপনি আজ খুব সুন্দর একটা বিষয় কথা বলেছেন, আসলেই এখন রাস্তায় বের হলেই অনেক ভিক্ষুক দেখা যায় কিন্তু কে আসল আর কে নকল এটা বোঝা কঠিন।।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ ভাই আমার লেখা পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। আসলে মানুষের বিশ্বাস ঊঠে গেছে ভিক্ষুকদের উপর থেকে। কে আসল কে নকল এটা বের করে ভিক্ষা দেয়া কি সম্ভব?
ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
ভিক্ষুক নিয়ে কি আর বলবো ভাই।। ভালো মানুষ এখন প্রতিবন্ধীর ভান ধরে ভিক্ষা উঠায়।। তাছাড়াও আপনি যেমনটা বলেছেন অনেকেই এরকম বিজনেস গড়ে তুলেছে।। আর হ্যাঁ অফিসের ফুল গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর ভাই।।
এটা সত্য যে ভালো মানুষ এখন হিজড়া সাজে, আবার কেউ কেউ কানা, অন্ধ প্রতিবন্ধী সাজে ভিক্ষা করে। দুই নাম্বার ভিক্কুকের ভীড়ে আসল খুজে বের করা অনেক কঠিন। এই কারণে অনেকে এখন সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে
টাকার কাছে মানুষ নিজের সম্মানকে বিলিয়ে দেয়।।