Better Life With Steem || The Diary game || 11 December 2023

শুভসকাল বন্ধুরা, আজ মঙ্গলবার ২৭শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল, 12 ডিসেম্বর ২০২৩, সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলেই ভালো অবস্থায় আছেন এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছেন। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিনান্সে ক্রিপ্টো মার্কেট চেক করি এবং এটা আমার প্রতিদিনের অভ্যাস। আমার কিছু আইওএসটি এবং এএমবি কয়েন কেনা ছিল, কয়েন গুলার প্রাইস আজকে কিছুটা বেড়েছে। এরপর আমি আরো কিছু কয়েন এর মার্কেট চেক করি। মার্কেট দেখা শেষে আমি বিছানা থেকে উঠি। যদিও এই শীতের সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না। কিন্ত কিছুই করার নেই কারণ আজ সকালে আমার ক্লাস আছে। আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে আমার ক্লাসমেট ও বন্ধু শিমুল কে ডেকে তুলি। এরপর হাতমুখ ধুয়ে রেডি হয়ে নেই। রেডি হয়ে আমরা হোটেলে যাই সকালের নাস্তা করতে। হোটেলে গিয়ে আমরা পরোটা অর্ডার করি।

সকালের নাস্তা খেয়ে আমরা বাসস্ট্যান্ডে যাই এবং সেখান থেকে লেগুনায় করে কলেজে যাই। কলেজে গিয়ে দেখি ক্লাস শুরু হতে আরো ২০ মিনিট সময় আছে তাই সময় নষ্ট না করে চলে যাই ফরম ফিলাপ করতে। ফরম ফিলাপ শেষে সেমিনার রুমে গিয়ে বসি, সেখানে আমাদের ক্লাসের আরো বন্ধুরা অপেক্ষা করছিল। এরপর ক্লাসের সময় হলে সবাই একসাথে ক্লাসে যাই। আজকে ক্লাসে আমাদের এটেন্ডেন্সের তালিকা দেয়, আমার এবারের এটেন্ডেন্স খুবই কম, মাত্র ২৭%। যাইহোক ক্লাস শেষে আমরা আবার সেমিনার রুমে গিয়ে বসি এবং সবাই মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই।

আড্ডা চলতে চলতে আমার এক বান্ধবী বলে ফুচকা খাওয়ার কথা। আসলে আজকে অ্যাটেনডেন্স এর তালিকা দিবে দেখে অবরোধ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ক্লাসে এসেছিল। সবাই মিলে ঠিক করি কলেজের নিচে গিয়ে ফুচকা খাব। আমার কাছে ফুচকা খুবই মজার লেগেছিল। ফুচকা খাওয়া শেষে আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে আরো কিছুক্ষণ গল্প করি এবং গল্প শেষে যে যার বাড়ির দিকে রওনা দেই।

ফুচকা খাওয়া শেষে সবাই বাড়ি চলে গেলেও আমি রুবা আর পুষ্প একটি সুপার শপে যাই। পুষ্প সুপার শপ থেকে নুডুলস আর কফি কেনে। আমি আর রুবা কিছু না কিনলেও পুরো সুপার শপ ঘুরে বেড়াই। সুপার শপের সব জিনিস সুন্দর করে সাজানো গোছানো থাকে যা দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে।

সুপার শপ থেকে বের হয়ে, পুষ্প বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় কিন্তু আমি আর রুবা যাই ঘুরতে। আজকে আমরা চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা ক্লাস শেষ করে যখন বের হই তখন আকাশে ভালই রোদ ছিল। কিন্তু যখনই আমরা চন্দ্রিমা উদ্যানে ঢুকি হঠাৎ করেই যেন আবহাওয়া টা চেঞ্জ হয়ে যায়। চারদিক কুয়াশায় ঢেকে যায় এবং ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে। চন্দ্রিমা উদ্যানে আমাদের খুবই শীত লাগছিল তাই আমরা অল্প কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বের হয়ে যাই।

চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বের হয়ে রুবা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং আমি আমার বাসায় ফিরে আসি। বাসায় এসে আমার খুবই শীত লাগছিল তাই গোসলের জন্য পানি গরম দেই। পানি গরম হয়ে গেলে আমি গোসল করে নেই এবং আমার দুপুরের খাবার খাই। এরপর আমি বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুমিয়ে যাই।

মাগরিবের আযান শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে আমি ফ্রেশ হয়ে নেই। এরপর হালকা নাস্তা করে পড়তে বসি। যদিও পড়ালেখা করতে আমার মোটেও ভালো লাগে না তবুও পরীক্ষা চলে এসেছে বলে না পড়ে কোন উপায় নেই। পড়া শেষে আমি আমার রাতের খাবার খাই এবং মেসের বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করি।

Regards
@mrsokal ✍️