বাড়ি ফেরা ||ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ||বাইক রাইড||
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ ----১১ই, কার্তিক ,|১৪২৯ বঙ্গাব্দ||বৃহস্পতিবার ||শীতকাল||
বেশ কয়েক মাস হল ঢাকাতে থাকি লেখাপড়ার জন্য। ঢাকা শহর টা অনেক বিরক্তিকর লাগে আমার কাছে। তাই একটু ইউনিভার্সিটিতে ছুটি পাইলেই ছুটে চলে আসি গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে নিজের বাড়িতে। এইতো মিড টার্ম পরীক্ষা শেষ হতেই মনটা যেন কেমন করছিল বাড়ির জন্য। তাই আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না এই জ্যাম জটের শহর ছেড়ে ভাবছিলাম কখন একটু প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় গ্রামে প্রবেশ করব। গতকাল ভাবতে ভাবতেই দুপুর ২ঃ০০ টার দিকে বের হয়ে পড়লাম ঢাকা থেকে বাইক নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। ঢাকা শহর পার হতে হয় হলে জ্যামের মধ্যে পড়তে হবে এটা যেন প্রতিদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরাও রওনা দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই একটি জ্যামে অনেকটি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দুপুরের বেলা বেশ ভালই গরম লাগছিল তার মধ্যে দিয়েই আমাদের বাড়ি ফেরার মিশন শুরু করি। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া তে বাইক নিয়ে আসতে চার ঘন্টা সময় লেগে যায়। আমরা ঢাকার ব্যস্ততম শহর পার করে হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত ভিতর দিয়ে একটি রাস্তা আছে আমরা ওই রাস্তা দিয়ে যাত্রা শুরু করি রাস্তাটি আঁকাবাঁকা আমার বেশ ভালো লাগে। আমাদের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে আসতে দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আমরা খুব সাবধানতার সাথে বাইক রাইড করতে করতে চলে আসি।ফেরি পারাপার হতে টিকিট কাটতে হয় টিকিটের মূল্য ১৪০ টাকা এটি আগে বেশ কম ছিল এখন অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফেরিতে উঠেই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি। নদী আমার অনেক পছন্দের ফেরিতে উঠে যখন নদীর সৌন্দর্য দেখতে থাকি তখন যেন ঢাকা যানজট শহরের সকল কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। ফেরির উপরে কত ধরনের মানুষের সাথে দেখা সবাই ব্যস্ত যার যার উদ্দেশ্য নিয়ে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
হঠাৎ করে ফেরির উপরে উড়ে আসে কাক তারা খাবারের উদ্দেশ্যে এখানে ঘোরাফেরা করছে আমি তাদের কিছু ছবি উঠানোর চেষ্টা করি। ফেরি যখন মাঝ নদীতে তখন নদীর ভেতর দিয়ে আরো অনেক ফেরি চলাচল করছিল সেগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কেউ যাচ্ছে ব্যস্ত শহরের উদ্দেশ্যে আবার কেউবা দূরের কোন পথে আর কেউ বা ব্যস্ত শহর থেকে একটু স্বস্তির জন্য নিজের গ্রামের দিকে যাচ্ছে সবার যাত্রাপথ ভিন্ন। এপার থেকে ওপারে আসতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লেগে যায় নদীর ভিতরে অনেক ধরনের নৌকা চলাচল করছে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
একটি নৌকাকে দেখতে পেলাম যা অনেক ঘাস নিয়ে আসছে যাক গো খাদ্য হিসেবে গরুকে খাওয়াবে। যখন ফেরিটা এবারে চলে আসে তখন আমরা ফেরি থেকে নেমে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে রওনা করি। এখান থেকে আমাদের বাড়ি যাইতে দেড় ঘন্টা মত সময় লাগবে। আমরা রীতিমতোই সাবধানতার সাথে বাইক রাইড করতে করতে এগিয়ে যায়। যখন বাড়ি পেতে আর 20 কিলোমিটার পথ বাকি আছে তখন হঠাৎ ওরা আকাশটা মেঘলা হয়ে যায়। ওয়েদারটা প্রথমে অনেক ভালো লাগছিল। কিন্তু আরো কিছু পথ আগাতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় আর বিকেল হওয়াতেই গ্রামে প্রবেশ করতে বাইকের উপর থেকে বোঝা যাচ্ছিল শীত চলে এসেছে। যখন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় গেল কিছু বৃষ্টির পানি গায়ে পড়ছিল তখন যেন শীত আরো বেশি লাগতে শুরু করল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
শেষ বেলায় বৃষ্টিতে না ভিজে আমরা একটি আশ্রয় খুঁজে বের করি আমরা সেখানেই বৃষ্টির মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করি। অনেক সময় অপেক্ষা করতে থাকি হঠাৎ ঝড়ো হওয়া শুরু হয়ে যায় এটা অবশ্য বেশি সময় দীর্ঘস্থায়ী ছিল না কিছু সময়ের মধ্যে কমে গেল। তারপর বৃষ্টি অনেকটাই কমে গিয়েছিল হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল তার মাঝেই আমরা আবার বেরিয়ে পড়ি। এদিকে রাত হয়ে গিয়েছে আর ঠান্ডা আবহাওয়াতে অনেক শীত লাগছে। আমাদের বাড়ির দিকে যতই আগাচ্ছে ততই দেখছি বৃষ্টি হয়নি এদিকে। তারপরও আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা আমরা সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হই। আজকের ভ্রমণটা ছিল রোমাঞ্চকর বিশেষ করে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়াতে প্রথম দিকে ভালোই লাগছিল পরে বৃষ্টি কমতে দেরি করছিল তখন একটু বিরক্তি লাগছিল। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সফলভাবে বাড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।
যারা গ্রামে থাকে হঠাৎ করে ঢাকা শহরে আসলে তাদের কাছে বিরক্তিকর লগারই কথা। আর পড়াশোনা করার সুবাদে আপনারা ছুটি পেলেই প্রকৃতির মাঝে ফিরে যেতে পারেন অনেক ভালো লাগলো শুনে। আর অনেক দূরের পথ মোটরসাইকেল চালিয়ে এত রিক্স নিয়ে যান আপনারা। ফেরিতে মোটরসাইকেল পাড় হতে 140 টাকা করে নেয় এটা আপনার পোস্ট থেকে জেনে নিলাম আগে জানা ছিল না। বিশ কিলোমিটার পথ থাকতে আপনাদেরকে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে এটা এক দিক দিয়ে ভালো আরেক দিক দিয়ে খারাপ। ঠান্ডার ভিতরে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে আর মোটরসাইকেলে চালিয়ে বৃষ্টিতে ভেজার নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো আর কি।
ভাইয়া আপনার ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার বাইক ট্যুরের কাহিনী পড়ে বেশ ভালই লাগলো । তবে আমার কাছে মনে হয়েছে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা বাইকে করে জার্নি এটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় । আর আপনার ফেরির ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভাল ছিল । ঢাকা থেকে যখনই আমরাও বাড়ির দিকে ফিরতাম তখন প্রতিবার ফেরিতে করে আসতাম । কিন্তু আমাদের এখানে পদ্মা সেতু হওয়াতে এখন ফেরিকে খুব মিস করি । যাই হোক আপনি নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।
যারা ঢাকা শহরে থাকে তারা সবসময় চায় তাদের গ্রামের বাড়িতে প্রকৃতির সৌন্দর্যের সান্নিধ্যে ফিরে আসতে। আর ঢাকার শহরের জ্যাম জটের কারণে সবচেয়ে বেশি বিরক্তকরে লাগে। আপনি একটু সুযোগ পেলেই নিজের গ্রামের মায়ায় বাড়ি ফিরে আসেন বিষয়টি বেশ ভালো লাগছে। আর জনজীবনের মান ব্যয় বহুল হয়ে পড়েছে, সব দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বৃদ্ধি হয়েছে যার জন্যই সব ক্ষেত্রেই খরচটা একটু বেশি লাগবে এজন্যই হয়তো ফেরির টিকেটের দামটা একটু বেড়েছে। বাইক নিয়ে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ফেরার বিষয়টি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।