ফেরার পথে কেনাকাটা
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন ।সুস্থ আছেন ।আমিও ভালো আছি ।সুস্থ আছি ।আজকে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনি হাজির হয়েছি ।
আপনারা এর আগের পোস্টে শুনেছেন যে আমি ঈশার বাবাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে গিয়েছিলাম। যেহেতু রাস্তা খুব ভালো তাই খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু যাবার পথেই একটা বড় শপিং মল পরে। ফ্লাইটের প্রায় দু'ঘণ্টা আগে আমরা কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। যেহেতু এত তাড়াতাড়ি পৌঁছেছিলাম। তাই আমরা ভাবলাম যাবার পথে কিছু শপিং করে নেব। কিন্তু আমরা গাড়ি থেকে নামতেই দেখলাম ।শপিং মলটি অর্ধেক খোলা আছে। গেটে যিনি দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি বললেন বিকেল পাঁচটার পর ।আবার শপিং খোলা হবে। আমাদের কৃষ্ণনগর শহরে এত বড় শপিং মল নেই।আমরা এয়ারপোর্ট থেকে আসবার পথে আবার শপিংমলে ঢুকলাম।
আমি জানতাম না যে ঈশা শপিংমলে ঢুকবে কেনাকাটা করবার জন্য। আমি তো কোন টাকা সাথে করে নিয়ে যায়নি। কারণ আমি ভেবেছিলাম এয়ারপোর্টে ছেড়ে সোজা বাড়ি চলে আসব। কেনাকাটার করার আগে ঈশাকে জিজ্ঞেস করলাম আমার কাছে কিন্তু কোন টাকা নেই ।তোমার কাছে যদি থাকে তাহলে আমি কেনাকাটা করব। ঈশা আমার কথা শুনে বলল ঠিক আছে ।তুমি কেনাকাটা করো বাড়ি গিয়ে টাকা দিলেই হবে ।আমি ওর কথামতো বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করলাম। কারণ এর আগে বহুবার ঈশা ওই শপিং মলের নাম করেছে। কিন্তু যেহেতু বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে তাই একা একা যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না । কিন্তু ঈশাকে বলতাম ও যখন কিছু কেনাকাটা করতে যাবে। তখন আমার জন্য কিছু কিনে আনবে।
কিন্তু ও কোনদিন কিনে নিয়ে আসেনি আমার জন্য। ঈশা ভাবতো জিনিস কিনে আনলে বৌদির যদি পছন্দ না হয় । এটা হল সবথেকে বড় শপিং মল। শপিংমলটি মধ্যমগ্রামে অবস্থিত ।এছাড়া এই শপিংমলে শোরুম বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। কিন্তু আমাদের কৃষ্ণনগরে নেই। শপিং মল টির নাম জুডিও। এখানে অনেক ভালো ভালো ব্র্যান্ডেড জিনিস পাওয়া যায়। সেদিন আমি নিজের জন্য তেমন কিছু কেনাকাটা করিনি। আমার বরের জন্য দুটো টি শার্ট আর আমার জন্য একটা লিপস্টিক আর কাজল কিনেছিলাম। যেহেতু আমার বোনও সাথে টাকা নিয়ে যায়নি ।তাই ও কিছুই কেনাকাটা করিনি।
কিনতে অনেক কিছুই ইচ্ছে করছিল ।যেহেতু নিজে টাকা নিয়ে যায়নি তাই কেনা হয়নি। আর ঈশার কাছে বেশি টাকা ছিল না। ঈশা নিজে কিছু কেনাকাটা করেছে।তাই ঈশা বলল বৌদি পরেরবার এসে আবার কেনাকাটা কোরো । আজকের মতো চলো । আসলে অতদূর সম সময় যাওয়া হয়ে ওঠে না। যদি জানতাম তাহলে বেশি করে টাকা নিয়ে যেতাম। যাই হোক আমরা যেহেতু আধ ঘন্টার নাম করে ঢুকেছিলাম । শপিং মলের ভিতরে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় নষ্ট করে ফেলেছিলাম ।তাই ঈশার পিসেমশাই খুব রেগে গিয়েছিল। কেনাকাটা শেষ করে খুব আনন্দ করেই বাড়ি ফিরলাম।আজ এই পর্যন্তই থাক ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। পরের দিন আবার নতুন পোস্ট নিয়ে আবার হাজির হব।
আসলে মানুষ যদি কোন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে যায় তাহলে অবশ্যই ঘুরার সাথে শপিং করতেও অনেক ভালো লাগে, যাই হোক আপনি ফেরার পথে যে শপিং করেছেন সে সকল বিষয় আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপু।
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার বিগত পোস্ট করে অবগত হয়েছি ইশার দিদির বাবাকে এয়ারপোর্টে রাখতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে বেশ কেনাকাটা করেছেন।
আপনার পোস্ট পরে যা বুঝতে পারলাম আপনাদের ওইখানে মধ্যে ওই শপিংমল টাই সব থেকে বড়।
আপনার বরের জন্য যে দুইটা টি শার্ট কিনেছেন দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
শপিং করা সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শপিংমলে প্রবেশ করেই তো দেখছি আপনারা আনন্দে আত্মহারা। আপনাদের দেশের রাস্তাঘাট অনেক উন্নত যদি আমাদের দেশের সাথে তুলনা করা হয়। সত্যি কথা বলতে রাস্তা ভালো হলে যাতায়াতের জন্য অনেক সময় বেঁচে যায়।
আসলে পূর্ব প্রস্তুতি না থাকলে এরকম কোন শপিং মলে গেলে মন মত কোন কিছু ক্রয় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এটা তো আপনাদের পরিকল্পিত ছিল না। যাই হোক পরেরবার গেলে অবশ্যই পরিকল্পনা করেই যাবেন তাহলে অনেক কিছুই একসাথে নিতে পারবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা লেখা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।