ঘোরাঘুরির মধ্য দিয়ে শিক্ষা দেওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার, মার্চ 22/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় নতুন আরো একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আসলে কালকে সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম যার কারণে আপনাদের মাঝে কোন ভাবে পোস্ট শেয়ার করতে পারেনি। আর সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরে রাতে এতটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে পারলাম না। আমার সাথে ঘটে যাওয়া কালকের কিছু ঘটনাই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমার শেয়ার করো আজকের ছবিগুলোতে আপনারা যে মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছেন তাকে হয়তো বা আপনারা অনেকেই চেনেন। এটি আমাদের স্কুলের একজন ছাত্রী। স্কুলের বেশিরভাগ সময়ই সে আমার সাথে থাকতে সব থেকে বেশি পছন্দ করে। যখনই সে জানতে পারল যে আজকে আমাদের গ্রামে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তখনি সে আমার সাথে সেখানে যাবার জন্য রাজি হয়ে গেল। কোনভাবেই তার মা তাকে আর বাড়িতে নিয়ে যেতে পারলো না। অবশেষে সে আমার সাথে আমাদের বাড়িতে চলে আসলো। আর তার মাকে আমি বলে দিলাম যে সন্ধ্যার দিকে এসে নিয়ে যাবার জন্য।
সারাদিনে আমরা দুজন অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছি। যেহেতু আমি তার শিক্ষক তাই আমি চেষ্টা করেছি তাকে এই ঘোরাঘুরির মধ্য দিয়েও কিছু শিক্ষা দেবার জন্য। তাই প্রথমেই আমি তাকে নিয়ে গেলাম আমাদের পার্শ্ববর্তী একটা গমের ক্ষেতে। এটি রাস্তার খুব পার্শ্ববর্তী হবার ফলে আমাদের খুব একটা বেশি কষ্ট হলো না। সেখানে সে গম দেখতে থাকলো এবং কিভাবে গাছ থেকে গম পাওয়া যায় সেই বিষয়গুলো আমি তাকে ভালোভাবে বোঝালাম।
এর পরে আমরা দুজন চলে গেলাম সূর্যমুখী ফুল দেখার জন্য। সূর্যমুখী ফুল সম্পর্কেও তাকে আমি বেশ কিছু ধারণা দিলাম। ধারণাগুলো পেয়েছে অনেক খুশি ও হচ্ছিল আর একই সাথে সে তো ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল ফুলের সাথে ছবি তোলার জন্য।
ছোটবেলায় আমরা একটা বৃক্ষ দেখতে পেতাম যে বৃক্ষের ফল একটু কাটাযুক্ত হয়। আর সেই ফল আমরা মাথায় লাগিয়ে খেলা করতাম। মোটরসাইকেল থেকে যখনই সে সেটা দেখতে পেলো তখনই সাথে সাথে নেমে চলে গেল সেই ফল নিয়ে আসার জন্য।
এরপরে আমরা চলে গেলাম বড় একটা পুকুরের পাড়ে। সেখানে অপরূপ সুন্দর বাতাস হচ্ছিল। এমন পরিবেশে সময় উপভোগ করতে সকলেরই অনেক ভালো লাগে। একই সাথে তাকে বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করাতে পারলাম সাথে অনেক বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও দিতে পারলাম।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি নিশ্চয়ই ওর সাথে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আর ঘোরাঘুরির মাধ্যমে ওকে বেশ কিছু শিখাতে পেরেছেন। আসলে বাচ্চাদের যদি কোন কিছু আকৃষ্ট করে ফেলে তাহলে তারা সেটাকে পাওয়ার জন্য অনেক জেদ করে থাকে। তাই হয়তো ও আপনার সাথে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গিয়েছিল। এবং মায়ের কাছে অনেক জেদ করছিল। যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ছোটদের ভালবাসলে তারা কাছে চলে আসে এটাই স্বাভাবিক।