লাইফস্টাইল-সবাই মিলে আমের আচার বানালাম||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। নিজের ভালো লাগার মুহূর্তগুলো কিংবা সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। যদিও চেয়েছিলাম আমের আচার বানানোর রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। আচার বানাতে বানাতে রাত হয়ে গিয়েছিল তাই আর রেসিপি তৈরির প্রসেস তুলে ধরতে পারিনি। তবে আমের আচার বানানোর কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
সবাই মিলে আমের আচার বানালাম:

Location
কয়েকদিন থেকেই ভাবছিলাম আমের আচার বানাবো। যেহেতু আমি খুব একটা আচার বানাতে পারি না তাই সাহস পাচ্ছিলাম না। এরপর গাছ থেকে কিছু আম পেরে নিয়েছিলাম। যেহেতু অনেক গুলো কাঁচা আম পেড়ে নিয়েছিলাম তাই পাশের বাসার ভাবী বলল আচার বানালে ভালোই হবে। এরপর সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম। যেহেতু ভাবি এর আগেও আচার বানিয়েছে তাই দায়িত্বটা কিছুটা ওনার উপরেই দিয়ে দিলাম। যেহেতু ভাবী রান্নাবান্নায় অনেক বেশি পারদর্শী তাই আমি একটু নিশ্চিন্ত হলাম।

Location

Location
সত্যি কথা বলতে এতগুলো আমের আচার বানানোর সাহস আমার ছিল না। যদি একটু ভুল হয়ে যায় তাহলে সম্পূর্ণটা একদম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আমি সবকিছু হাতে হাতে রেডি করে দিয়েছিলাম এবং ভাবী আচার তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন। আমরা যেহেতু অনেকগুলো আচার একসাথে করেছিলাম তাই মাটির চুলায় আচারগুলো করা হয়েছিল। চেয়েছিলাম রেসিপি পোস্ট করবো। কিন্তু সন্ধ্যা হওয়ার কারণে আর সেভাবে ছবি তুলতে পারিনি।

Location

Location
সত্যি কথা বলতে গুড় দিয়ে তৈরি করা এই কাঁচা আমের আচার খেতে এতটাই টেস্টি হয়েছিল যেটা বলে বোঝানোর মত নয়। অনেকগুলো আচার করা হয়েছে। তাই সবাইকে দিয়েও বেশ কিছু আচার এখনও রয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই আচারগুলো তৈরি করতে মোট ৪৩০ টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকার আচার কিনলে এর চেয়েও বেশি পাওয়া যেত 😆😆। তবে নিজের হাতে কোন খাবার তৈরি করে সেটা সবাইকে দিতে কিংবা খেতে বেশি ভালো লাগে।

Location
আসলে আগেকার সময় দেখতাম সবাই বাসায় আচার তৈরি করে সারা বছর সংরক্ষণ করতো। কিন্তু বর্তমানে সব কিছুর দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে আচার তৈরি করার প্রস্তুতি নিতে গেলেই বেশ কিছু টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই আমরা মধ্যবিত্তরা অনেক সময় এই খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি কিংবা পরিবারের জন্য শুধু অল্প করে তৈরি করার চেষ্টা করি। ছোটবেলায় দেখতাম মা অনেক আচার তৈরি করতেন এবং সংরক্ষণ করে রাখতেন। যখন কোন মেহমান আসতেন তখন তাদের কেউ বেশ কিছু আচার দিয়ে দিতেন। আসলে সেই সময় সব কিছুর দাম অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে ছিল। তাই অনেক পরিমাণে আচার তৈরি করতেও খুব একটা খরচ করতে হতো না।

Location
তবে এটা মন থেকে বলছি এই আচারের টেস্ট সেরা ছিল। আমি শুধু রেডি করে দিয়েছি আর বাকি কাজ ভাবী করেছে। ভাবীর হাতের এই আচার খেয়ে সত্যি কথা বলতে আমার সব টাকা উসুর হয়ে গেছে। অসাধারণ হয়েছে খেতে। বিশেষ করে টক ঝাল আর মিষ্টির কম্বিনেশন একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। কোন কিছুর কমতি ছিল না। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর যাকে যাকে আচারগুলো খেতে দিয়েছি তাদের সবারই অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি কথা বলতে এই আচারটি সত্যিই অনেক মজার হয়েছিল।
নিজের ভালোলাগার মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তাই আচার তৈরীর সুন্দর মুহূর্ত আর অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করছি সবার ভালো লেগেছে। আর যদি আচার দেখে কারো খেতে ইচ্ছা করে তাহলে চলে আসুন 😎।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।

ডেইলি টাস্ক প্রুভ:

https://x.com/Monira93732137/status/1928003219235406077?t=7m1hOSBNkCbJlDI5Kjj_Fg&s=19
https://x.com/Monira93732137/status/1928003734933573665?t=XPvwbqPEvjgCdSQRC7xGmw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Monira93732137/status/1927988755589124134?t=E_m6NI84wBhP7fQBp9OnKw&s=19
আচার কমবেশি সবারই পছন্দের। আপনার তৈরি করার আচারগুলো দেখে তো এখান থেকে নিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে। রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।এটা ঠিক অনেক সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলে রেসিপি তৈরি করার সময় ছবি তোলা হয় না। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন আগেকার সময় আমিও দেখেছি আমার মা অনেক বেশি আচার বানিয়ে আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের দিত এবং আমাদের নিজেদের জন্য অল্প কিছু রাখত। কিন্তু বর্তমান সময় জিনিসপত্রের দাম এত বেশি বেড়ে গেছে যে এখন আর কোন কিছু বানিয়ে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে এখনো মাঝেমধ্যে মাকে দেখি শীতকালে পিঠে এবং এই আচারের সিজনে বিভিন্ন রকম আচার তৈরি করে আত্মীয়-স্বজনদের দেয়। সবাইকে দিয়ে খাওয়ার মধ্যে একটা আনন্দই আলাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর লোভনীয় আচার দেখে আমারও খেতে ইচ্ছা করছে।
পাশের বাসার ভাবীর সাহায্য নিয়ে অনেক গুলো আমের আচার বানিয়ে নিলেন। আসলে কোন কাজ না করলে সাহস হয় না করার। সে ক্ষেত্রে কারও সাহায্য নিয়ে করলে তা নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে বেশ লোভনীয় হয়ে আপনার ভাবীর বানানো আচার। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
আপনারা সবাই মিলে আচার বানিয়েছেন এবং সেই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ এখানে এই পোস্টের মধ্য দিয়ে আপনি সবকিছু খুবই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এত অসাধারণ একটি পোস্ট পড়ে ভালই লাগলো৷ যেভাবে আপনি আজকের এই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা যেরকম সুন্দর হয়েছে৷ এখানে আপনি এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷