আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। এবারের প্রতিযোগিতাটি একেবারে ভিন্ন রকমের ছিল। প্রথমে তো ভেবেই পাচ্ছিলাম না কি তৈরি করব। অবশেষে সাত ঘন্টার পরিশ্রমে কদম ফুল এবং সুন্দর একটি কদম গাছের বনসাই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে। তবে এই কাজটি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

বর্ষাকালে কদম ফুল বানাবো না তা কি করে হয়। বর্ষার আনন্দের সাথে কদম ফুল যেন গাছের ডালে দোল খায়। আর সেই সৌন্দর্য যদি মনের কল্পনায় ভেসে বেড়ায় তাহলে সেরকম একটি প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে পারলে বেশ ভালো লাগে। যদিও এই কাজটি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে। কোন কিছু দেখতে যতটা সহজ মনে হয় আসলে করতে গেলে বোঝা যায় কতটা কঠিন। আমি এর আগে কখনোই এতটা সময় নিয়ে কোন কাজ করিনি। শুধুমাত্র কদম ফুল তৈরি করতে প্রায় চার ঘন্টা সময় লেগেছিল। এরপর সবকিছু মিলিয়ে প্রায় সাত ঘন্টা সময় লেগে গিয়েছে। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। তবে এই সুন্দর কদম ফুলের গাছ ঘরে সাজিয়ে রাখতে আমার বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর এই কদম ফুল গুলোর উপর চোখ পরতেই যেন মনের মাঝে আলাদা রকমের ভালোলাগা তৈরি হয়েছিল। আসলে নিজে কিছু তৈরি করে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে ভালো লাগে। আর ঘরে সাজিয়ে রাখতেও ভালো লাগে। আশা করছি বৃষ্টি ভেজা দিনের সাথে মিল রেখে আমার তৈরি করা কদম ফুল সবার ভালো লাগবে। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি কাগজ দিয়ে কদম ফুল তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।

কাগজ দিয়ে কদম ফুল তৈরি করার জন্য প্রথমে কাগজ ভাঁজ করে নিয়েছি। এরপর পেন্সিল দিয়ে দাগ দিয়ে নিয়েছি।

এবার দাগ অনুযায়ী সুন্দর করে কাগজগুলো কেটে নিয়েছি। যাতে করে ফুল তৈরি করতে সুবিধা হয়।

এবার ফুলগুলো সুন্দর করে তৈরি করার জন্য দাগ দিয়ে নিয়েছি এবং কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

এবার সুন্দরভাবে ছোট ছোট করে কাগজগুলো কেটে নিয়েছি। যাতে করে কদম ফুলের পাপড়ি গুলো সুন্দর করে তৈরি করা যায়।

এবার সুন্দর করে কাগজ ভাঁজ করে নিয়ে ফুলের আকৃতি করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরপর মাঝের অংশে কটন দিয়েছি। যাতে করে ফুল দেখতে ভালো লাগে এবং কদম ফুলের সাদা অংশ তৈরি করা যায়।

এভাবে ধীরে ধীরে আরো কিছু ফুল তৈরি করেছি। এই ছোট ছোট ফুলগুলো তৈরি করতে অনেকটা সময় লেগেছে। আঠা দিয়ে এই ছোট ফুলগুলো তৈরি করা সত্যি অনেক সময়ের ব্যাপার ছিল। এবার এই ছোট্ট ফুলের পাপড়ি গুলো দিয়ে কদম ফুল বানানোর জন্য শক্ত কাগজ নিয়েছি এবং গোল করে দাগ দিয়ে নিয়েছি।

এবার দাগ দেওয়া কাগজ সুন্দর করে কেটে নিয়েছি। এরপর আঠা দিয়ে কদম ফুলের পাপড়ি গুলো সুন্দর করে লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

এভাবে ধীরে ধীরে সুন্দর করে বেশ কিছু পাপড়ি লাগিয়ে দিয়েছি এবং কদম ফুলের আকৃতি তৈরি করার চেষ্টা করেছি।

এবার কদম ফুল গুলো দেখতে আরো বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছি। দুটি অংশ তৈরি করে নিয়েছি।

এবার কদম ফুল দেখতে যাতে সুন্দর হয় এজন্য দুটি অংশ একসাথে রেখেছি এবং সুন্দর করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে দেখতে ভালো লাগে।

এবার এই ফুলের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করার জন্য এবং সুন্দর একটি কদম গাছ তৈরি করার জন্য আরও কিছু ফুল তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এই ফুলগুলো তৈরি করতে আমার প্রায় চার ঘন্টা সময় লেগেছে। একপর্যায়ে তো হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম 😔।

এবার গাছ তৈরি করার জন্য সুন্দর করে কয়েকটি মোটা গুনা কেটে নিয়েছি। এরপর গাছের ডালের আকৃতি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। আমি চেয়েছিলাম ছোট্ট একটি বনসাই কদম গাছ তৈরি করার জন্য তাইতো সেই রকম একটা আকৃতি তৈরি করেছি।

এবার কালো কস্টিপ দিয়ে সুন্দর করে পেঁচিয়ে নিয়েছি। যাতে করে গাছের ডালগুলো দেখতে ভালো লাগে এবং আকর্ষণীয় হয়।

এবার কদমপাতা তৈরি করার জন্য কাগজ নিয়েছি। এরপর কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

যাতে করে আমার এই বনসাই গাছ দেখতে অনেক ভালো লাগে এজন্য সুন্দর করে কদমপাতা তৈরি করার চেষ্টা করেছি।

এবার পাতাগুলো সুন্দর করার জন্য কলমের ব্যবহার করেছি। যাতে করে দেখতে ভালো লাগে।

এবার বনসাই গাছের নিচের দিকের অংশ সুন্দর করার জন্য একটি কার্ডবোর্ড এবং কিছু পাথর নিয়েছি। এরপর রং করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

পাথরগুলো সুন্দর করে রং করে দিয়েছি। এরপর কার্ডবোর্ড সুন্দর করে রং করে নিয়েছি। যাতে দেখতে ভালো লাগে।

এবার আমার তৈরি করা এই সুন্দর গাছটি সেটিং করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এজন্য আমি উপরের অংশে আরো কিছু কাগজ আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি। যাতে করে খুলে না যায়। এবার উপর দিয়ে আবারো রং করে দিয়েছি।

এবার ফুলগুলো সেটিং করার জন্য গাছের ডালের সাথে সুন্দর করে কিছু মোটা কাগজ লাগিয়ে নিয়েছি। যাতে করে ফুলগুলো সুন্দর করে সেটিং করা যায়। এরপর ধীরে ধীরে ফুলগুলো সেটিং করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কাগজের দুই পাশে কদম ফুলের দুই অংশ লাগিয়ে দিয়েছি। যাতে করে খুলে না যায়।

এভাবে ধীরে ধীরে ফুলগুলো সেটিং করে নিয়েছি। এরপর পাতাগুলো সেটিং করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

ফুল, পাতা ও বিভিন্ন অংশ সুন্দর করে সেটিং করে নিয়েছি। যাতে করে কদম ফুল গুলো দেখতে ভালো লাগে এবং আকর্ষণীয় হয়। এভাবে অন্যান্য কিছু অংশের কাজ করেছি।

রঙিন কাগজ দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। তবে এই বৃষ্টি ভেজা দিনে কদম ফুল তৈরি করতে পেরে আমার বেশি ভালো লেগেছে। সাথে সুন্দর একটি কদম ফুলের গাছের বনসাই তৈরি করেছি। আসলে অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল গাছের বনসাই তৈরি করব। কিন্তু সেভাবে সময় করে উঠতে পারছিলাম না। অবশেষে কদম গাছের সুন্দর একটি বনসাই তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সেই সাথে কাগজ দিয়ে সুন্দর কিছু কদম ফুল তৈরি করার চেষ্টা করেছি। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। তবে আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে।