জেনারেল রাইটিং-বেকারত্ব যেন আজ অভিশাপ||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। মাঝে মাঝে বাস্তবতা নিয়ে লিখতে অনেক ভালো লাগে। আর লেখালেখি করতেও অনেক ভালো লাগে। তাই তো আজকে আমি বেকারত্ব যেন অভিশাপ এই বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু কথা লিখে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। আশা করছি আমার এই পোস্ট সবার ভালো লাগবে।
বেকারত্ব যেন আজ অভিশাপ:
Source
বেকারত্ব নামক শব্দটাই যেন আজকাল অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ছোটবেলা থেকে আমরা অনেক স্বপ্ন লালন করি। বড় হয়ে হয়তো কেউ তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায় কেউবা লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। কখনো বা হতাশায় কখনো বা দারিদ্রতায়। তবুও যেন আমরা স্বপ্ন দেখি বাঁচার কিংবা ভালো থাকার। বেকারত্ব নামক অভিশাপ যখন আমাদের জীবনকে আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলে তখন বেঁচে থাকার ইচ্ছে গুলো বিলীন হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায়। আপন মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকালে হয়তো নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছে গুলো বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু মনের মাঝে যন্ত্রণা কিংবা তীব্র ঘৃণা থেকেই যায়। নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা যেন সময়ের সাথে সাথে বেড়ে যায়। এই কথাগুলো শুধু আমার কথা নয় হাজারো বেকারের কথা। হাজারও বেকারের মনের মাঝে জমা হওয়া সেই অভিজ্ঞতাই হয়তো বেকারত্ব নামে অভিশাপকে আরো বেশি ঘৃণিত করে তুলেছে।
আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা দুবেলা টিউশনি করিয়ে নিজের পড়াশোনার টাকা জোগাড় করেছে। সময়ের সাথে সাথে পড়াশোনাটাও হয়তো শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু চাকরি নামক সোনার হরিণের দেখা পাওয়া তার কাছে যেন স্বপ্নের মত। মামা খালুদের দাপটে সাধারণ সেই মধ্যবিত্ত মানুষগুলো যেন স্বপ্ন দেখতেই ভুলে গেছে। কিংবা স্বপ্ন দেখার আগেই স্বপ্নগুলো মিলিয়ে যাচ্ছে কোন এক বর্ষার জলের সাথে। হয়তো হৃদয়ের কান্না কেউ দেখে না। কিংবা বুঝতেও পারে না। রাত জাগা সেই কষ্টগুলো হয়তো আজও কাঁদে। কিংবা বারবার চিৎকার করে বলতে চায় এই সমাজ ব্যবস্থা চাইনা। চাইনা এই বেকারত্ব নামক অভিশাপ। দুবেলা টিউশনি করে যখন ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে সেই তরুণ যুবক তখন মনে তার অনেক স্বপ্ন। হয়তো পড়াশোনা শেষ করে নতুন ভাবে নিজের জীবন সাজাবে। কিন্তু হায় বাস্তবতার কাছে সেও যে হার মেনে যায়। সময়ের সাথে সাথে স্বপ্নগুলো ছোট হয়ে যায়। সেই সাথে ফিকে হয়ে যায় নিজের চাওয়া পাওয়া গুলো।
বুকে লালন করা সব স্বপ্নগুলো জীবনের বাস্তবতায় এসে একেবারে হারিয়ে যায়। বারবার মনে হয় যেন কেনই বা স্বপ্ন দেখলাম কেনই বা এ পথে পা বাড়ালাম। হয়তো ভালো থাকার জন্যই মানুষ স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সেই বেকারত্ব যখন হতাশায় রূপ নেয় তখন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই হয়তো হাজারো বেকারের আর্তনাদ ভেসে বেড়ায় চারপাশে। কখনো তারা বেছে নেয় মৃত্যুর পথ। হয়তো সেই আর্তনাদ দেখার মত কেউ নেই। এই অভিশাপ থেকে তাদেরকে মুক্ত করার কেউ নেই। হয়তো এভাবেই তারা নিরবে নিভৃতে হারিয়ে যাবে অন্ধকারে। কিংবা বিলীন হয়ে যাবে এই পৃথিবী থেকে। তবুও পৃথিবীতে রয়ে যাবে বেকারত্ব নামক সেই অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি মেলা অনেক কঠিন। হয়তো সারা জীবন সেই অদৃশ্য শিকল আমাদের যুব সমাজকে বেঁধে রাখবে। কিংবা হতাশায় অন্ধকারে হারিয়ে যাবে হাজারো স্বপ্ন।
মাঝে মাঝে মনে হয় বাস্তবতার নির্মমতা দেখে অনেকে হাল ছেড়ে দেয়। বেছে নেয় দিনমজুরের কাজ। খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্য হলেও অর্থের প্রয়োজন। যেখানে ছিল রঙিন স্বপ্ন সেখানে হয়তো স্বপ্নগুলো বেরঙিন হয়ে যায়। বেঁচে থাকার ইচ্ছে গুলো যেন মরে যায়। হয়তো খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। মাঝে মাঝে মনে হয় স্বপ্ন বেচাকেনার খেলায় বোধয় আমরা হেরে গেছি। মাঝে মাঝে মনে হয় বেকারত্ব আমাদেরকে হারিয়ে দিয়েছে। হয়তো এভাবেই না বলা কথাগুলো চাপা পড়ে যায় কিংবা নিজের ভেতরের সেই স্বপ্নগুলো ধোঁয়ায় মিলিয়ে যায়। তবুও আমরা কেন জানি স্বপ্ন দেখি। কিংবা স্বপ্ন ভাঙার জন্য অপেক্ষায় থাকি। ছোটবেলা থেকে তিল তিল করে লালন করা স্বপ্নগুলো নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। আর বেকারত্ব নামক অভিশাপ সব স্বপ্নগুলোকে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে দেয়। সেই সাথে হারিয়ে যায় আমাদের নিজেদের অস্তিত্বগুলো।
আমাদের দেশের বেকারত্ব সমস্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। আর এই অভিশাপ থেকে হয়তো মুক্তির পথ মেলা ভীষণ মুশকিল। মাঝে মাঝে কেন জানি এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলে অনেক হতাশায় পড়ে যাই।।জানিনা আমার লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আশা করছি ভালো লাগবে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু আসলে খুবই বাস্তবমুখী একটি বিষয় নিয়ে আপনি আজকে এই জেনারেল রাইটিংটি লিখেছেন। সত্যি বলতে বেকারত্বটা আমাদের সমাজে এতটা বেশি আর এর পিছনে আমি মনে করি আমাদের অধিক জনসংখ্যার কারণ বেকারত্ব আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে আয়তন অনুসারে জনসংখ্যা অধিক এবং সেই অনুযায়ী কিন্তু চাকরির ভ্যাগেন্সি নেই সে কারণেও এই বেকারত্ব আমাদের দিন দিন বেড়েই চলছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত আগের চাইতে শিক্ষার হার বেড়ে চলছে এবং শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ও বেড়ে চলছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার ও বাস্তবমুখী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার লেখাগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। আসলে সমাজের বাস্তবতা নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।
আসলে যে বেকার থাকে সেই বুঝে বেকারত্ব কতটা কষ্টদায়ক? সত্যি আমাদের সমাজে বেকারত্ব অভিশাপ। আমাদের দেশের জনসংখ্যা অধিক তবে জনসংখ্যা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র একেবারে সীমিত। যার কারণে দিন দিন বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। জেনারেল শিক্ষার সাথে বাস্তব কর্ম ক্ষেত্রে কোন মিল না থাকার কারণে বেকারত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাস্তব বিষয়টি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বেকারত্ব সমস্যা শুধু সেই বুঝতে পারে যে এই অভিশাপের শিকার হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাইতো এই সমস্যা বেড়েই চলেছে।
সুন্দর ও বাস্তবমুখী একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করলেন আপু।কথাগুলো একদম ঠিক।আমাদের দেশের অধিক জনসংখ্যা,শিক্ষার হার বৃদ্ধি সবকিছু মিলিয়েই দিনের পর দিন বেকারত্ব বেড়েই চলেছে।আর তাই বেকারত্ব অভিশাপে পরিনত হয়েছে।এর থেকে মুক্তি মেলা কি কখনো সম্ভব, আমার জানা নেই।
বাস্তবতা নিয়ে লিখতে ভালো লাগে। আসলে বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বেকারত্ব এক প্রকারের অভিশাপ মনে হচ্ছে। সত্যি আপু এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন।
একজন বেকার ছেলের মনের কথাগুলো বলেছেন আপু। আসলে সরকারি চাকরি নামক সোনার হরিণের যখন দেখা না পাওয়া যায় তখনই মনে হয় জীবনে পড়ালেখাই কেন করলাম। একজন বেকার ছেলের দিনগুলো খুব কষ্টে কাটে। আমাদের দেশে বেকারত্বের সমস্যাও দিনকে দিন বাড়ছে।
ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি আমাদের সবার মনের কথাগুলো তুলে ধরার জন্য। সত্যিই জীবনটা অনেক বেশি কষ্টের। আর এই বেকারত্ব সমস্যা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের দেশে বেকারত্বের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এজন্যই তো অনেকে আবার বেকারত্বকে অভিশাপ হিসেবেও মেনে নিয়েছে। এই যেমন আমার মেয়ের প্রাইভেট টিচার, সে তো একদম পুরোপুরিভাবে বেকারত্বকে মেনে নিয়েছে। এতো লেখাপড়া করে, ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র হয়েও যখন সেই টিচার কোন চাকরি পাচ্ছে না , আবার তার চাকরির বয়স সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে, এমত অবস্থায় চাকরি নামের সেই সোনার হরিণকে পাওয়ার আশাটাই সে ছেড়ে দিয়েছে। অনেকবার অনেক জায়গায় চাকরির লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে টিকে গেলেও, সে কখনো ভাইভাতে গিয়ে টিকতে পারে না। আর এর মূল কারণ হচ্ছে, তার কোন মামা কিংবা খালু নেই, যাদের সুপারিশ পেয়ে পার হয়ে যেতে পারে। এজন্যই সে চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে এখন প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত আছে। যাইহোক আপু, বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে আপনি খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বেকারত্ব সমস্যা মানুষকে আরো বেশি হতাশ করে তুলছে। আর নিজেদের স্বপ্নগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সত্যি অনেক কঠিন রূপ ধারণ করেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি কিন্তু বেশ বাস্তবিক একটা টপিক তুলে ধরলেন। আসলে বেকারত্ব একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। আর এই সমস্যাটা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অনেক মানুষের স্বপ্ন বাস্তবতার সামনে এসে হেরে যায়। আপনি বাস্তবতার বিষয়গুলো তুলে ধরে সম্পূর্ণ পোস্টটা লিখেছেন দেখে পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
বাস্তবতা নিয়ে লিখতে ভালো লাগে। তাই তো চেষ্টা করেছি বাস্তবতা নিয়ে লিখার। সত্যি ভাইয়া এই সমস্যাটা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। আর ভেঙে যাচ্ছে হাজারো মানুষের স্বপ্ন।
আপনি ঠিক বলেছেন বেকারত্ব যেন আজ অভিশাপ। আসলে এরকম ভাবে অনেক মানুষের বেকারত্ব তার জন্য তারা অনেক পথ বেছে নেয়। আর প্রত্যেকটা মানুষের উচিত এই বেকারত্ব দূর করা, তাহলে মানুষগুলো এগিয়ে যেতে পারবে অনেক দূরে এবং তাদের তাদের দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে। পুরো পোস্টটা পড়তে দারুণ লেগেছে। আপনার পোস্ট আমার কাছে এমনিতেই সব সময় খুব ভালো লাগে।
আমার কাছেও তাই মনে হয় আপু বেকারত্ব আজকাল অভিশাপের মত। অনেকে নিজের যোগ্যতায় কিছুই করতে পারে না। আর হতাশায় ভেঙে পড়ে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
বেকারত্ব আসলেই অভিশাপ। বেকার থাকা যে কি কষ্ট, একমাত্র যারা বেকার তারা হাড়ে হাড়ে টের পায়। পুরোটা পরিবার তাকিয়ে থাকে তার দিকে কবে ভালো একটা চাকরি পাবে,কবে পুরো সংসারের দায়িত্ব নিবে। কিন্তু দিনশেষে যে মানুষটা চাকরি নামক সোনার হরিণ খুঁজতে খুঁজতে বড্ড ক্লান্ত, তখন পরিবারকে কি জবাব দিবে সেটা ভেবে আরও হতাশ হয়ে যায়। বেকারত্ব সমস্যার সমাধান আমাদের দেশে আদৌ সম্ভব নয়। যাইহোক দারুণ লিখেছেন আপু। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।