জেনারেল রাইটিং- বিষন্নতা||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। মাঝে মাঝে নতুন কিছু নিয়ে লিখতে আমার ভালো লাগে। তাই তো আজকে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমার এই পোস্ট সবার কাছে ভালো লাগবে।
বিষন্নতা:
Source
বিষন্নতা নামক শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। সময়ের সাথে সাথে কেন জানি বিষন্নতা সবার জীবনে বেড়ে যাচ্ছে। হয়তো আগের মতো সেই সময় গুলো এখন আর নেই। সেই আনন্দ, হাসি আড্ডা সব কিছু যেন অতীত হয়ে গেছে। আর সেই সাথে বিষন্নতা আমাদের জীবনে বেড়ে গেছে। এখন আমরা নিজেকে বদলে নিয়েছি। আর সেই সাথে বিষন্নতা আমাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা যেমন একাকীত্ব বেছে নিয়েছি তেমনি বিষন্নতা আমাদেরকে সঙ্গ দিতে চলে এসেছে। হয়তো সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা সবকিছু থেকে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু নিজের হাসি, খুশি, আনন্দ গুলোকে হারিয়ে ফেলেছি।
এখন আর প্রাণ খুলে হাসতে ইচ্ছে করে না। হয়তো হাসতেই ভুলে গেছি। কিংবা অবহেলার চাদর আর একাকীত্ব হৃদয়টাকে বিষন্নতায় ভরিয়ে তুলেছে। সময়ের সাথে সাথে সবাই বদলে গেছে। হয়তো আমরা নিজেরাও বদলে গেছি। কিংবা আমাদের আপনজন। সময় যেমন বদলে গেছে সেই সাথে সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে গেছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কতটা বদলাতে পেরেছি সেটা আমরা নিজেরাও জানিনা। আর দিন শেষে বিষন্নতা ঘিরে ধরেছে আমাদের চারপাশ।
বিষন্নতা যখন আষ্টেপৃষ্ঠে নিজেকে বেঁধে ফেলে তখন এই পৃথিবীতে বাঁচার অনুভূতিগুলো হারিয়ে যায়। সেই সাথে বিলীন হয়ে যায় বেঁচে থাকার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। হয়তো চলছে জীবন জীবনের মতই। কখনো বিষন্নতা ঘিরে ধরে চারপাশ কখনো বা চাপা কষ্ট হৃদয়টাকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এভাবেই হয়তো বেঁচে আছে অনেকে। হয়তো অনেকে চোখের জল ফেলে। কেউবা চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে আজও বেঁচে আছে। এভাবেই হয়তো কেটে যায় বিষন্নতায় ঘেরা জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত।
বর্তমান সময়ে এসে সবাই যেমন নিজেদের লাইফস্টাইল পাল্টে নিয়েছে সেই সাথে বিষন্নতা তাদের জীবনের সঙ্গী হয়েছে। দিনশেষে সবাই একাকীত্ব জীবন পার করছে। কিংবা হাজার লোকের ভিড়েও বিষণ্নতা তার চারপাশ ঘিরে ধরেছে। আগের সেই সময় গুলো অনেক সুন্দর ছিল।পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সবার বন্ধন গুলো এখন আর দেখা যায় না। সবকিছুই যেন ফিকে হয়ে গেছে। সম্পর্কের সেই গভীর বন্ধন সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে। অনেকের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। হয়ত একটা সময় ছিল আমরা সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কেন জানি আমরা শুধু নিজেকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আর দিন শেষে বিষন্নতা ঘিরে ধরছে আমাদের চারপাশে।
বিষন্নতা আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আমরা অনেক সময় এই বিষয়গুলো বুঝতে পারি না। তবে কোন কাজে যখন মন বসে না, কোন কিছুতেই ভালো লাগেনা তখন আমরা বুঝতে পারি কিছু একটা শূন্যতা আমাদের জীবনে আছে। সেই শূন্যতা আমাদের জীবনটাকে পাল্টে দিয়েছে। সেই সাথে বিষন্নতায় ভরিয়ে তুলেছে জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত। বিলীন হয়ে গেছে জীবনের সব হাসি আনন্দ গুলো। তাই এই বিষন্নতা থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে পরিবারের সাথে সময় কাটানো উচিত। সবার সাথে সময় কাটালে ধীরে ধীরে বিষন্নতা কেটে যাবে। জানিনা আমার লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
আপু আপনার আজকের ক্যাটাগরীতে তো আমিই পরে গেলাম। দিন শেষে আমিই কিন্তু একা একজন। কেউ নেই আমারি পাশে। আরে যা দুষ্টুমি করলাম। আরে নারে ভাই হাসি তো শেষ হয় না। হাসতে জানতে হয়। হাসি না আসলেও হাসির অভিনয় করতে হয়।
আপু আমরা সবাই দিনশেষে একা। হয়তো হাজার লোকের মাঝেও অনেক সময় একা হয়ে যাই। এর পরেও আমাদেরকে ভালো থাকার অভিনয় করতে হয়। ধন্যবাদ আপু।
আসলে এখন আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বিষন্নতা অনেক বেশি ছড়িয়ে গিয়েছে। আগের মত এখন আর কিছুই হয় না এবং কি কিছুই ভালো লাগেনা। আর এই বিষন্নতা এখন আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বাস্তবিক টপিক তুলে ধরেছেন এই পোস্টের মাধ্যমে। আমার কাছে আপনার লেখা পোস্টটা পড়তে অনেক ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপু প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিষন্নতা বেড়ে গেছে। তাই তো আগের মত আর কিছুই ভালো লাগেনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মতামত প্রকাশের জন্য।
বিষন্নতা খুবই অদ্ভুত একটা জিনিস। বিষন্ন একবার যদি মানুষকে আঁকড়ে ধরে তাহলে তার থেকে বেরোনো অনেক মুশকিল। প্রতিটি মানুষের জীবন নিয়েই কোন না কোন বিষয় নিয়ে কিছুটা হলেও বিষণ্ণতা রয়েছে। মানুষকে পাল্টে দেওয়ার জন্য বিষন্নতায় এক মাএ দায়ী। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
ঠিক বলেছেন আপু বিষন্নতা খুবই অদ্ভুত একটা জিনিস। বিষন্নতা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মতামত প্রকাশের জন্য।
বর্তমান সময়ে আমরা মানুষেরা কেউই সবাইকে নিয়ে তেমন একটা ভাবি না সবসময় নিজেকে নিয়ে ভাবি। আমরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করেছি ঠিক হই কিন্তু আমরা নিজেরা বরাবরই একাকী সময় অতিবাহিত করছি এই একাকী সময় অতিবাহিত করতে করতে একটা সময় আমাদের মাঝে বিষন্নতার দেখা দেয়। আমিও ব্যক্তিগতভাবে সেটাই মনে করি বিষন্নতা কাটিয়ে ওঠার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে যোগাযোগ সকলের সঙ্গে যদি সুসম্পর্ক বজায় রেখে যোগাযোগ রাখা যায় তাহলে খুব দ্রুতই বিষন্নতা কেটে যাবে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু কখন যে একাকীত্ব ঘিরে ধরে বুঝতেই পারি না। এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিষন্নতা কাটিয়ে উঠার জন্য সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা খুবই জরুরী।
আসলে আপু বিষণ্ণতা জীবনকে ঘিরে ধরেছে। এখন আর কিছুই ভালো লাগে না। সত্যি আপু মনে হয় চারদিকেই বিষন্নতাই ঘেরা। আপনার পোস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু শিক্ষা মূলক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বিষন্নতা যখন আসে তখন কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তাই তো আমি এই বিষয়বস্তু নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদমই ঠিক কথা বলেছেন আপু এখন যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বিষন্নতা বেড়ে যাচ্ছে জীবনে। মাঝে মাঝে মনে হয় আগের মত মন খুলে আর হাসতে পারি না। আগে মন খুলে হেসে যতটা তৃপ্তি পেতাম সে তৃপ্তি আর পাইনা বিষন্নতা যেন আঁকড়ে ধরেছে আমাদের। যাই হোক এই লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লেগেছে খুবই সুন্দরভাবে লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
সত্যি আপু যতই দিন যাচ্ছে ততই আমাদের জীবনে বিষন্নতা বেড়ে যাচ্ছে। এখন আর মনের মাঝে সেই আনন্দ নেই। প্রাণ ভরা সেই হাসি আর নেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বিষন্নতা নিয়ে লিখলেন অনেক ভালো লেগেছে। আপু আসলে বিষন্নতা অনেক খারাপ একটা জিনিস যার ভিতরে বিষন্নতা ঢুকে পড়েছে সে কখনো আর স্বাভাবিক থাকতে পারেনা। তবে জীবন চলার পথে বিষন্নতা আসবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিষন্নতাকে আমাদেরকে জয় করতে হবে এবং তার থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে স্বাভাবিক জীবনে চলাফেরা করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপু ভালো লাগলো পড়ে।
বিষন্নতা সত্যি অনেক মারাত্মক একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই বিষন্নতায় ভুগছি। হয়তো সময়ের ব্যবধানে জীবনের সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়।
সত্যি কথা বলতে কি আপু আমার মনে হয় যেন দিন শেষে আমরা সবাই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মানসিক রোগী। কারণ আমিও এভাবে মাঝেমধ্যে বিষন্নতায় ভুগি যার জন্য কিছুটা বিরহের কবিতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। জানি না বুঝতে পারেন কতটা তবুও অনেক সময় কষ্ট অনুভূতি তো প্রকাশ করার চেষ্টা করি এভাবে কিন্তু সম্পূর্ণটা কাউকে বলতে পারি না। এমনকি নিজের পরিবারকেও। যাই হোক বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর লেখা।কিছুটা হলেও ভিতরের অনুভূতি খুঁজে পেয়েছি এখানে।
বিষন্নতাকে নিয়ে চমৎকার একটি আর্টিকেল শেয়ার করলেন আপু।আসলে আমাদের জীবনে বিষন্নতা একটি মারাত্মক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে।এর মধ্যে থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।বিষন্নতাকে প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হবে না।এতে করে আমাদের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যহানি হবে।মোটকথা বিষন্নতাকে জয় করতে হবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি বিষয়কে নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বিষন্নতা বর্তমান যুগের মানুষদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ আশেপাশে এতো মানুষ থাকা সত্ত্বেও, নিজেকে একাকী মনে করে অনেক মানুষেই। এতে করে বিষন্নতা চরম ভাবে গ্রাস করে। সবাই যেন দিনদিন স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। ছোটখাটো ঝগড়াঝাটির কারণে রক্তের বাঁধন পর্যন্ত ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আত্মীয় স্বজনের সাথে তো অহরহ সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তবে অল্প কিছু দিনের দুনিয়া। আমি মনে করি সাত পাঁচ না ভেবে, বিষন্নতায় না ভুগে, নিজেকে যেভাবে ভালো রাখা যায় সেটাই করা উচিত।