নাটক রিভিউ-ব্রেকআপ লাভ|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে নাটক দেখতে ভালো লাগে। তাই প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। আর নাটক রিভিউ শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
নাম | ব্রেকআপ লাভ |
---|---|
প্রযোজক | আইনুল ইসলাম চঞ্চল ও কাইয়ুম |
পরিচালনা | পনির খান ও সেলিম আকন্দ |
সম্পাদনা | শাওন আহমেদ শিশির |
অভিনয়ে | তৌসিফ মাহবুব,তাসনিয়া ফারিন ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৩৭ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- তৌসিফ মাহবুব - শুভ
- তাসনিয়া ফারিন - আনারকলি
নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই নাটকের নায়ক শুভ এবং তার গার্লফ্রেন্ড একে অপরের সাথে ঝগড়া করছে। তার গার্লফ্রেন্ড তাকে বলছে তার সাথে সে শেয়ার রিলেশন রাখতে পারবে না। কারণ সে বেকার। আর তার বাবা তাকে মেনে নেবে না। অন্যদিকে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আর তাই তার পছন্দের কথা সে বাবাকে বলতে পারবে না। এছাড়া যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে সে প্রবাসে সেটেল। আর বিয়ের পর তাকে নিয়ে প্রবাসে চলে যাবে। এটা শুনে শুভর ভীষণ মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তখন সে রাগারাগি করতে থাকে। এরপর দুজনের মাঝে বেশ ঝগড়া হয়। আর দুজনের ব্রেকআপ হয়ে যায়। আর দুজন দুই দিকে চলে যায়। অন্যদিকে নাটকের নায়িকা তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করছে। কারণ তার বয়ফ্রেন্ড তাকে ছেড়ে চলে যেতে চায়। আর তার সাথে ব্রেকআপ করতে চায়। ছেলেটি বলে সে নাকি আন স্মার্ট। আর তার সাথে থাকা তার পসিবল না। তখন মেয়েটি ভীষণ কষ্ট পায় আর কান্নাকাটি করে।
মেয়েটি ছেলেটিকে অনেক ভালোবাসতো। আর ছেলেটির মুখে এসব কথা শুনে মেয়েটি ভীষণ কষ্ট পায়। কিন্তু ছেলেটি তাকে অপমান করেই চলেছিল। মেয়েটি অপমান মেনে নিতে পারছিল না। অবশেষে তাদের মাঝে বেশ ঝগড়া হয় এবং তারা দুজনে ব্রেকআপ করে। এবার যখন শুভ রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল তখন দেখে একটি মেয়ে ব্রেঞ্চে বসে কান্না করছে। শুভ মেয়েটিকে আগে থেকে চিনতো না। এরপর মেয়েটির কান্নার শব্দ শুনে সেখানে যায় আর। মেয়েটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটি প্রথম প্রথম তার সাথে কথা বলতে রাজি হচ্ছিল না। এরপর যখন শুভ বলল এত রাতে এখানে কেন সে। তখন মেয়েটি বলল একটু আগেই তার ব্রেকআপ হয়েছে। আর সে ছেলেটিকে অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু ছেলেটি তাকে অনেক অপমান করেছে। আসলে ছেলেরা হয়তো এমনই হয়। ভালোবাসার মূল্য দিতে জানে না।
এসব কথা বলছিল আর মেয়েটি ভীষণ মন খারাপ করছিল। মেয়েটি নিজের কষ্টের কথাগুলো বলেই যাচ্ছিল। এসব শোনার পর শুভ বলল কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা শুধু স্বার্থ দেখে। প্রেম করার সময় বেকার ছেলে দেখে প্রেম করে কিন্তু চাহিদা থাকে অনেক বেশি। এই গিফট সেই গিফট এসব দিতে দিতে বেকার ছেলেটার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এমনকি রেস্টুরেন্টের বিল মেটাতে মেটাতে বেকার ছেলেটা হাঁপিয়ে ওঠে। সারারাত ফোনে কথা বলার পর সকালে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যেতে লেট হয়ে যায় আর চাকরিটাও হারিয়ে ফেলে। এতো কিছুর পরে যখন মেয়েটি বলে বেকার ছেলের সাথে তার বাবা তাকে বিয়ে দিবে না আর অন্য ছেলের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে তখন সত্যি অনেক কষ্ট লাগে।
এরপর মেয়েটি বুঝতে পারে সে কারো কাছ থেকে ধোকা খেয়েছে। এরপর ছেলেটি বলে কিছুক্ষণ আগেই তার ব্রেকআপ হয়েছে। এবার দুজনের মন খারাপ হয়ে যায়। তখন ছেলেটি মেয়েটিকে বলে মন খারাপের সময় আপনার কি করতে ভালো লাগে। তখন মেয়েটি জানায় সে কনসার্ট দেখতে পছন্দ করে। তখন ছেলেটি মেয়েটিকে গান শোনায়। আর মেয়েটির মন ভালো হয়ে যায়। এবার মেয়েটি ছেলেটির কাছে জানতে চায় তার মন খারাপের সময় কি করতে ভালো লাগে। ছেলেটি বলে গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। রোমান্টিক বই পড়তে ভালো লাগে। আর তার সবচেয়ে পছন্দের হল আনারকলি। এই কথা শুনে মেয়েটি আনারকলি সাজার অভিনয় করে এবং ছেলেটি অনেক খুশি হয়ে যায়। এরপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাসায় পৌঁছে দেয়। পরের দিন সকাল বেলায় মেয়েটি যখন ঘুম থেকে ওঠেনি তখন হঠাৎ করে শুভ নামটি শুনতে পায়। এরপর মেয়েটির কথা মনে পড়ে যায়। তখন মেয়েটি বাহিরে যায় তখন কিছু বকাটে ছেলে তাকে ডিস্টার্ব করে। আর কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি দেখে সেই ছেলেগুলোকে কেউ একজন মারছে। তখন মেয়েটির মনে পড়ে যায় শুভর কথা। কারণ শুভ ছেলেগুলোকে মারতে চেয়েছিল
এরপর যখন মেয়েটি বাসায় ফিরে আসে তখন দেখে গেটের কাছে ফুলের মালা। তখন মেয়েটির মনে পড়ে যায় এই ফুল তার পছন্দের এই কথা শুভকে বলেছিল। এরপর মেয়েটি যখন তার বয়ফ্রেন্ডের কথা ভেবে মন খারাপ করে তখন শুভর কথা মনে পড়ে যায়। এরপর মেয়েটি শুভকে অনুভব করতে থাকে। এরপর মেয়েটি যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তখন দেখে কেউ একজন গান গাইছে। আরো অনেক লোক সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গান শুনছে। কাছে গিয়ে দেখে সে আর কেউ নয় শুভ। এবার দুজনে মিলে একটি রেস্টুরেন্টে যায়। এরপর শুভ মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে তারা দুজন দুজনার জন্য পারফেক্ট। কিন্তু মেয়েটি প্রথমে রাজি হচ্ছিল না। কারণ সে ভালোবেসে ঠকে গিয়েছিল। এরপর মেয়েটি বুঝতে পারে শুভ তার জন্য পারফেক্ট। এরপর দুজনের মধ্যে একটি মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়।
দুটি মানুষ যখন ভুল সম্পর্কে জড়ায় তখন দুজনের জীবন এলোমেলো হয়ে যায়। এরপর সঠিক মানুষ খুঁজে নেওয়া সত্যি অনেক মুশকিল হয়ে পড়ে। এই গল্পটিতেও ঠিক তেমনটাই হয়েছে। তবে দুজনের জীবনে যখন ভুল মানুষ এসেছিল তখন তারা অনেক কষ্ট পেয়েছিল। আর অবশেষে তারা তাদের জীবনের সঠিক মানুষের দেখা পেয়েছে। আর দুজনের সুন্দর একটি মিষ্টি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ব্রেকআপের পর একাকীত্ব যখন মানুষকে দিশেহারা করে তোলে সেই সময় যদি অন্য একজন মানুষকে পাশে পাওয়া যায় তাহলে নিজের একাকীত্ব দূর হয়ে যায়। সবমিলিয়ে নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
চমৎকার একটি নাটক আজকে আপনি রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খুব ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা এ নাটক রিভিউ টা। যেখানে নতুন একটা নাটক দেখার সুযোগ পেয়ে গেলাম। কারণ পূর্বে আমি নাটক থেকে বুঝতে পারলাম বেশ ভালো লাগার একটা নাটক।
এই নাটকটি আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। আমার উপস্থাপন করা নাটক রিভিউ আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
মাঝে মাঝেই সময় পেলে বাংলাদেশের নাটকগুলো দেখা হয়।আপনার রিভিউ পড়ে ভাবছিকোনো এক সময় দেখে নেব।আসলে দুজনেই প্রথমে প্রেমে ধোকা খেয়ে তারপর নতুন প্রেমে সামিল হয়।ভালোবাসায় স্বার্থ থাকলে সেটা পরিপূর্ণতা পায় না।শেষমেষ প্রেম পূর্ণতা পেল সঠিক দুজন মানুষের জীবনে।ধন্যবাদ আপু।
আপু আমিও সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি আপু। এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি আপু ভালোবাসায় স্বার্থ থাকলে সেটা পরিপূর্ণতা পায় না।
তাসনিয়া ফারিন এর নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝেই তার নাটকগুলো দেখা হয়। তবে এই নাটক এখনো দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
তাসনিয়া ফারিনকে আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে তার অভিনয় এবং কথা বলার ধরন।আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন।বেশ ভালো লাগলো পড়ে সময় পেলে দেখবো।