প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। দাদার পোস্ট ভ্যারিয়েশন পোস্টটি শেয়ার করার পর অনেকেই ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করে যাচ্ছে। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি করেছিলাম গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে। আমি, সেলিম মামা, বিল্লাল এবং সাইফুল যখন একত্রিত হয়েছিলাম আমার বাসায়, তখন সাইফুল বলছিল সে এবং আরেকজন মিলে একটি ক্ষেতে আখ চাষ করেছে। তো আমরা চারজন দুটি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম সাইফুলের আখের ক্ষেত দেখতে। আমার বাসা থেকে ২০/২৫ মিনিটের মতো সময় লাগলো সেখানে যেতে। মূলত রাজনীতিবিদ সাবের হোসেন চৌধুরীর ওয়ার্কশপ এর ভিতরে আখের ক্ষেত করেছে সাইফুল এবং আরেকজন মিলে। বেশ কয়েক বছর আগে এই ওয়ার্কশপে এসেছিলাম। অনেক দিন পর এসে ভীষণ ভালো লেগেছিল।

যাইহোক ওয়ার্কশপ এর ভিতরে বিশাল এরিয়া। ওয়ার্কশপের এক কোণায় মূলত ওরা আখের ক্ষেত করেছে। আখের ক্ষেত ছোটবেলায় দেখেছিলাম। এতো বছর পর দেখার পর আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। তাই ভাবলাম ভিডিওগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আপনারাও উপভোগ করতে পারবেন। ওরা যে আখের চাষ করেছে, সেগুলো নাকি ফিলিপাইন এর জাত। লম্বায় নাকি ৩০/৩২ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। তিনমাস আগে তারা আখের ক্ষেতের চাষ করেছে। তাই লম্বায় এখনো তেমন একটা বড় হয়নি। সাইফুল মূলত কোরিয়াতে ৪/৫ বছর ছিলো। এখন টুকটাক ব্যবসা করার পাশাপাশি আখের ক্ষেত চাষ করেছে। কৃষিকাজের প্রতি তার বেশ ভালোই আগ্রহ রয়েছে।

সবমিলিয়ে আখের ক্ষেত এবং আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও করে আসলেই খুব ভালো লেগেছিল। তাই ভাবলাম এই সুন্দর মুহূর্তের ভিডিও আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার আগে থেকেই ভীষণ ভালো লাগতো। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। আমি চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড দূর করে, অন্য কোনো মিউজিক ব্যবহার করতে পারতাম। তাহলে আপনারা আমাদের কথোপকথনের সাউন্ড মিস করতেন। সেটা ভেবে আমি ব্যাকগ্রাউন্ড এর অরিজিনাল সাউন্ড রেখে দিয়েছি। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি আমরা। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।