লাইফস্টাইল পোস্ট || শ্বশুর বাড়ির জন্য ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কেনার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ২/৩ দিন আগে অর্থাৎ ৯ ই মে আমি শ্বশুরবাড়ির জন্য ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনেছি। আজকে সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আসলে কয়েকদিন আগে আমার শ্বশুরবাড়ির ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যায়। উনারা আগে সিঙ্গার ফ্রিজ ব্যবহার করতেন। তবে দীর্ঘদিন সেই ফ্রিজটা ব্যবহার করেছেন উনারা। তো আমার শ্বাশুড়িকে বললাম এই ফ্রিজ মেরামত না করে নতুন একটি ফ্রিজ কেনার জন্য। আমার শ্বাশুড়িও আমার সাথে একমত পোষণ করলেন। তারপর আমার শ্বাশুড়ি আমাদের বাসায় এসে ফ্রিজ কেনার জন্য টাকা দিয়ে যায় এবং বলে যে আমার পছন্দমতো একটি ফ্রিজ কিনতে। মূলত আমার শ্বশুর দেশের বাহিরে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে। তাছাড়া আমার ওয়াইফ ছাড়া উনাদের আর কোনো সন্তান নেই।
তাই অনেক কিছু আমাকেই দেখতে হয়। যাইহোক আমিও কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমার ওয়াইফকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হচ্ছে ২/১ দিন পরপর। তাছাড়া গাড়ি গ্যারেজে মেরামত করা হচ্ছে বলে,সেখানেও আসা যাওয়া করা লাগছে। তাই আমার শ্বাশুড়িকে বললাম আমি সময় বুঝে এক ফাঁকে ফ্রিজ কিনে বাসায় পাঠিয়ে দিবো। যাইহোক ৯ ই মে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত গাড়ির গ্যারেজে ছিলাম। তারপর সরাসরি চলে গিয়েছিলাম কাঁচপুরের ওয়ালটন প্লাজা তে। মূলত প্লাজা থেকে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কিনতে পারলে খুব ভালো হয়। কারণ জেনুইন প্রোডাক্টস পাওয়া যায়। যদিও প্লাজার চেয়ে ইলেকট্রনিকস এর দোকানে ডিসকাউন্ট বেশি দেয়। তবে ডিসকাউন্ট বেশি পাওয়ার আশা না করে, প্লাজা থেকে কিনলেই ভালো হয়। যাইহোক কাঁচপুরের ওয়ালটন প্লাজা থেকে আমি ২ বছর আগে ১.৫ টনের ইনভার্টার এসি কিনেছিলাম।
তারপর গত বছর জুন মাসের শুরুতে গ্রস ভলিউম ৩৪৮ লিটারের একটি রেফ্রিজারেটর কিনেছিলাম এবং সেই পোস্টটি গত বছর আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমি বাসায় ওয়ালটনের এসি,ফ্রিজ এবং ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করছি বেশ কয়েক বছর ধরে। প্রতিটি ইলেকট্রনিক জিনিস খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। যাইহোক ওয়ালটন প্লাজা তে যাওয়ার পর, আমি যে ফ্রিজটা বাসার জন্য গত বছর কিনেছিলাম সেটা দেখতে পেলাম। তারপর ভাবলাম যে আমার বাসার ফ্রিজটা যেহেতু ভালো সার্ভিস দিচ্ছে, তাই একইরকম ফ্রিজ কিনবো। ফ্রিজ এর মডেল হচ্ছে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর-ডব্লিউএফসি-থ্রিডিএইট-জিডিইএইচ-ডিডি-ইনভার্টার। এই ফ্রিজটা মূলত ফ্রস্ট ফ্রিজ। আর ব্ল্যাক কালার আমার বরাবরই ভীষণ পছন্দ। যাইহোক প্রাইস জিজ্ঞেস করার পর বললো যে ৫২,০০০+ টাকা। যদি অফারে নেই তাহলে ৮% ডিসকাউন্ট এবং অফার ছাড়া নিলে ১০% ডিসকাউন্ট।
অফার বলতে লটারি আর কি। লটারিতে ৩০০ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। আমি জানি যে লটারিতে আমার ভাগ্য কখনোই সুপ্রসন্ন হয় না। তাই অফার বাদ দিয়ে, ১০% ডিসকাউন্ট নিলাম। তারপর প্রাইস এসেছিল ৪৭,০০০+ টাকা। যেহেতু আমি সেখান থেকে আগেও কিছু প্রোডাক্টস কিনেছি,তাই আমাকে আরও একটু ডিসকাউন্ট দিয়ে বললো ৪৬,৫০০ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবে। তারপর আমি ক্যাশ ৪৬,৫০০ টাকা দিয়ে সব ফরমালিটি শেষ করে, একটা ভ্যান ঠিক করলাম। তারপর ভ্যানের ড্রাইভারকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে, আমি গাড়ির কিছু পার্টস কিনতে চলে গিয়েছিলাম। মোটামুটি ঘন্টা খানেক পর আমার শ্বাশুড়ি আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিল ফ্রিজটা বাসায় পৌঁছে দিয়েছে ভ্যান ড্রাইভার। যাইহোক ব্যস্ততার মাঝেও যদি পারিবারিক বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালন করা যায়, তাহলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আপনাদের সাথে শ্বশুর বাড়ির জন্য ফ্রিজ কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১২.৫.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
বর্তমানে walton এর পণ্যগুলো ভাল সার্ভিস দিচ্ছে। যদিও আমি সিঙ্গারের পণ্য বেশি ব্যবহার করি। শীতকালে সিঙ্গারের ফ্রিজ গুলো প্রচন্ড সাউন্ড করে। এটা আমার কাছে খারাপ লাগে। তবে আমি বাড়ির জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছিলাম। ইলেকট্রনিক বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে আপনার ভালোই অভিজ্ঞতা আছে। আমিও সব সময় ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কিনলে মেইন শোরুম থেকেই কেনার চেষ্টা করি। আপনার শ্বশুর বাড়ির কেনা ফ্রিজটা সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে মোটামুটি অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কোন জিনিস অতিরিক্ত পুরাতন হয়ে গেলে সে জিনিস মেরামত করার চেয়ে না করাটাই উত্তম। তবে শ্বশুর বাড়ির জন্য নতুন ফ্রিজ কেনার পরামর্শটা দিয়েছেন যেন ভালো লাগলো। অতঃপর কেনার কার্যক্রম আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো জেনে। সুন্দর একটি ব্লক শেয়ার করেছেন আপনি।
হ্যাঁ ভাই বেশি পুরাতন জিনিস ফেলে দেওয়া ই ভালো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাই ব্লগ বানান ঠিক করে নিবেন।
আপনাকে তো তাহলে দুইটা দিকেই সামলাতে হয়। যাইহোক ফ্রিজ কেনার মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো। আমিও কয়েকদিন আগে বাসার জন্য একটা ফ্রিজ নিয়েছিলাম ওয়ালটন থেকে। কালো রঙের এই ফ্রিজটা দেখেছিলাম। তবে আমরা এই সাইজেরই অন্য আরেকটা নিয়েছি কারণ কালো রংটা একেবারে কমন হয়ে যায় তাই। আমাদের ফ্রিজ টার দামও এমনই পড়েছে।
আমার কাছে কালো রঙের যেকোনো কিছু খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ওয়ালটন আমাদের দেশীয় পন্য এবং বেশ ভালো মানের একটি পন্য সেজন্য আমাদের ওয়ালটনের পন্য ব্যাবহার করা উচিত। আপনি যেহেতু একমাত্র জামাই তাই ছেলের দায়িত্ব আপনাকেই পালন করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি সুন্দর ফ্রিজ টি চয়েস করেছেন।কালো আমার ভীষণ পছন্দের কালার।ধন্যবাদ আপনাকে শ্বশুরবাড়ি জন্য ফ্রিজ কেনার অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন,শ্বশুর বাড়িতে আমাকে ছেলের দায়িত্ব পালন করতে হয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে ইলেকট্রনিক্স কোন জিনিসপত্র কেনার জন্য অভিজ্ঞতা অনেক প্রয়োজন। আপনার অভিজ্ঞতা অনেক আছে৷ তাই আপনি আপনার শ্বশুর বাড়ির জন্য ফ্রিজ কেনার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ এখন ফ্রিজ একেবারে নিত্য প্রয়োজনীয় একটি বস্তু হয়ে গিয়েছে যা ছাড়া চলা একেবারে অসম্ভব। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
ঠিক বলেছেন ভাই, যেকোনো ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কিনতে গেলে অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।