নাটক রিভিউ || শেষ প্রান্তে
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে শেষ প্রান্তে। এই নাটকটি চার মাস আগে রিলিজ হয়েছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে খায়রুল বাশার এবং তানজিন তিশা। এই নাটকটি একেবারে বাস্তব সম্মত,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
| নাটক | শেষ প্রান্তে |
|---|---|
| রচনা | সাজিন আহমেদ বাবু |
| পরিচালনা | তুহিন হোসেন |
| অভিনয়ে | খায়রুল বাশার,তানজিন তিশা,মুনিম এহসান,হিন্দল রয়,মারুফ মিঠু,নওশিন ইসলাম দিশা এবং আরও অনেকে |
| দেশ | বাংলাদেশ |
| ভাষা | বাংলা ভাষা |
| প্রচার | ১৪ই জুন ২০২৫ |
| দৈর্ঘ্য | ৪৫ মিনিট |
| প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, নাটকের নায়ক খায়রুল বাশার কাশফুলের ফটোগ্রাফি করছে। কিন্তু হঠাৎ করে নাটকের নায়িকা তানজিন তিশা তার ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়। মূলত তিশা এবং তার বান্ধবী কাশফুল বাগানে ঘুরাঘুরি করছিলো। কিন্তু বাশার যে তার ছবি তুলেছে, সেটা তিশা খেয়াল করেনি। তো তিশা এবং তার বান্ধবী ঘুরাঘুরি করে চলে যাওয়ার সময়, বাশার তাদেরকে ডাকে। তারপর বাশার বলে,অনুমতি না নিয়ে তিশার ছবি তুলেছে বলে সে দুঃখিত। তিশা ভেবেছিল ছবি গুলো ডিলিট করে দিবে। কিন্তু ছবি গুলো দেখার পর,তার ডিলিট করতে ইচ্ছে করেনি। বরং সে ইমেইল এড্রেস দেয় বাশারকে। যাতে করে বাশার তাকে ছবি গুলো পাঠিয়ে দেয়। তো পরবর্তীতে বাশার ছবি গুলো পাঠিয়ে দেয় তিশার ইমেইল এড্রেসে এবং তারপর থেকেই তাদের টুকটাক কথাবার্তা চলতে থাকে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তারা কথাবার্তা বলতে বলতে একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা দেখা করে এবং তিশা বাশারকে বলে,সে প্রেম করতে পারবে না। বরং বাশারকে তিশার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে বলে। বাশার মূলত ভালো একটি কোম্পানিতে চাকরি করে এবং পাশাপাশি টুকটাক ফটোগ্রাফি করে। তো তিশার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর পর,তিশার বাবা রাজি হয়ে যায়। কারণ বাশার যে অফিসে চাকরি করে, সেই অফিসে তিশার বাবার পরিচিত লোক চাকরি করে এবং সেই লোক বাশারের বেশ প্রশংসা করে। তো তিশা এবং বাশারের এনগেজমেন্ট হয়ে যায়। আর তিশার ভাই পর্তুগাল থেকে বাংলাদেশে আসলে, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করা হবে। মূলত ১ মাস পরেই তার আসার কথা। তো তিশা এবং বাশারের দিন বেশ ভালোই কাটছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে বাশারের চাকরি চলে যায় এবং সে অনেক চেষ্টা করেও চাকরি খুঁজে পায় না।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
আর সেজন্য তিশার বাবা,বাশার এবং তিশার বিয়ে ভেঙে দেয় এবং তার বড়লোক বন্ধুর ছেলের সাথে তিশার বিয়ে ঠিক করে। যদিও তিশা সেই বিয়েতে রাজি ছিলো না। কিন্তু পরিবারের চাপে পড়ে সে রাজি হতে বাধ্য হয়। কিন্তু বাশার খুবই কষ্ট পায়। তিশার বিয়ে যে ছেলের সাথে ঠিক হয়,সে কারণে অকারণে টাকার অহংকার দেখায় এবং তিশাকে ছোট করে কথা বলে। তাই তিশা মনে মনে ভীষণ কষ্ট পায় এবং সারাক্ষণ বাশারের কথা ভাবে। কিন্তু বাশার মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে বলে,তার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। তাই মনস্থির করে ফেলে সেই ছেলেকে বিয়ে করার। কিন্তু তাদের বিয়ের ফটোগ্রাফি করার জন্য বাশার যায়। আসলে বাশার চাকরি না পেয়ে,ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। এমনকি তার দুজন সহকারীও রয়েছে। তো তিশা যখন বাশারকে দেখে, তখন ইমোশনাল হয়ে যায়। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে ভালোবাসা কখন কিভাবে হয়ে যায়, সেটা টের পাওয়া যায় না। আর ভালোবাসার মানুষকে সবাই নিজের করে পেতে চায়। এই নাটকেও বাশার এবং তিশা একে অপরকে সারাজীবনের জন্য পাওয়ার জন্য, পারিবারিক ভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় এবং পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু বাশারের চাকরি চলে যাওয়ার পর, তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। আসলে কিছু কিছু মানুষ,টাকা ছাড়া কিছুই বুঝে না। এই নাটকে তিশার বাবাও এমন। যদি বাশার এবং তিশার বিয়ের পর বাশারের চাকরি চলে যেতো,তাহলে তিশার বাবার কিছুই করার থাকতো না। কিন্তু বিয়ের আগে চাকরি চলে গিয়েছে বলে,সব ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তবে তিশা কিন্তু ঠিকই বাশারকে চেয়েছে। কারণ সে মন থেকে বাশারকে ভালোবেসেছে। তবে পরিবারের কারণে সে অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়। আসলে মেয়েদের অনেক সময় কিছুই করার থাকে না। তবে নাটকের শেষ দৃশ্য আমার খুবই ভালো লেগেছে। যাইহোক সবমিলিয়ে নাটকটি বেশ উপভোগ করেছি। তিশা এবং বাশার এককথায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
|---|---|
| স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
| তারিখ | ১৭.১০.২০২৫ |
| লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹













ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1979131929124573483?t=iD90u34Nl7AA-bnyQISNsw&s=19
X-promotion
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।তানজিন তিশার অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও নাটকটি আমার দেখা হয়নি তবে নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো।সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তানজিন তিশার অভিনয় আসলেই খুব সুন্দর। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কাছ থেকে সব সময় সুন্দর কিছু নাটকের রিভিউ দেখে থাকি যা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে৷ আজকেও যেভাবে আপনি এত চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে৷ একই সাথে এখানে এই নাটকের মধ্য দিয়ে এই নাটকটি সম্পর্কে যেভাবে জানতে পারলাম৷ তার পাশাপাশি মনে হচ্ছে যেন পুরো নাটকটি দেখে নিলাম৷
নাটকটি আসলেই খুব সুন্দর। রিভিউ পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।