রেলস্টেশনে কাটানো মুহূর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি🌹By mohamad786 [10% Beneficiary @shy-fox
রেল ভ্রমণটা আমার খুবই ভালো লাগে। তাই সিরাজগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি রেলে করে যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তাই সিরাজগঞ্জ রেল স্টেশনে এসেছি এবং রেলস্টেশনে এসে ট্রেনের জন্য অনেকক্ষণ বসে থাকলাম এবং ইস্টিশনের আশপাশ ঘোরাঘুরি করছিলাম। আসলে রেল স্টেশনের দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে। সিরাজগঞ্জ রেল স্টেশনটি অনেক বড়।আর রেল স্টেশনে আশেপাশে প্রকৃতি ছিলাম সুন্দর। তাই সেই দৃশ্যগুলো ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশা করছি ভাল লাগবে।
location
location
location
location
location
location
ট্রেনে করে ভ্রমণ করার জন্য প্রথমে আমি সিরাজগঞ্জ রেল স্টেশনে আসলাম।রেলস্টেশনে এসে দেখি এখনো ট্রেন আসেনি। তাই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম এবং একটি ট্রেন চলে গেছে, আরেকটি ট্রেন আসবে তাই আমি কাউন্টারের দিকে যাচ্ছিলাম টিকিট কাটার জন্য।
সিরাজগঞ্জ রেল স্টেশনের পাশেই একটি বড় পুকুর রয়েছে। এই পুকুরের পাড়ে আমি আসলাম। পুকুরের পাড়ে সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখার জন্য। এই পুকুরে এর আগে আমি এসেছিলাম। অনেক মাছ চাষ করা হয়েছিল। তাই এবারও সেই মাছ গুলো দেখার জন্য আসলাম। কিন্তু এবার আর মাছ দেখতে পেলাম।
স্টেশনের পাশেই সুন্দর একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদটির নতুন তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের পাশে আমিও বসে থাকলাম। এখানে সবাই নামাজ আদায় করে। সত্যিই মসজিদের সৌন্দর্যময় দৃশ্যটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে মসজিদটির নতুন রং করা হয়েছে, যার কারণে আরো বেশী সুন্দর লাগছে।
স্টেশনটি অনেক বড় এখানে অনেক জায়গা রয়েছে। অনেকেই এই স্টেশনে বসে আছে।আবার কেউ কেউ ট্রেনের অপেক্ষায় করছে। আমিও দেখতে পেলাম অনেকে বসে আছে। তাই আমি তাদের দিকে এগিয়ে আসলাম এবং তাদের সাথে কথা বরে সময় পার করার চেষ্টা করতেছিলাম।
তারপরে কাউন্টার খুলে দেওয়া হল এবং সকলেই টিকিট সংগ্রহ করছে। আমিও টিকিট সংগ্রহ করলাম। আসলে সিরাজগঞ্জে থেকে ঢাকা শহরের টিকিটের মূল্য মাত্র আড়াইশো টাকা। অল্প টাকার মধ্যে ট্রেনে করে খুবই আরামে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা শহরে যাওয়া যায়।
এবার শুরু হলো ট্রেনের অপেক্ষায় পালা। কখন ট্রেন আসবে কেউ বলতে পারছে না। ক্রসিংয়ে নাকি সমস্যা হয়েছে। তাই সকলেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে। আমিও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কখন ট্রেন আসবে সেই অপেক্ষায় বসে রইলাম।
আসলেই স্টেশনে অপেক্ষা করতে ভালই লাগতেছিলো, কারণে স্টেশনের অনেক নতুন নতুন মুখ রয়েছে এবং তাদের সাথে কথা বলতে লাগলাম। আর ইস্টিশনের সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে লাগলাম। সময়টা বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। তাই ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশা করছি ভাল লাগবে।
আমার পরিচয়
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৬ প্রো |
---|---|
ধরণ | রেলস্টেশনের কাটানো মুহূর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি। |
ক্যমেরা মডেল | নোট ৬ প্রো |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
অপরিচিত স্থান সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার বেশ ভালো লাগে তাই বিস্তারিত জানার জন্য সুন্দর করে পোস্টে পড়ে দেখার চেষ্টা করলাম। সিরাজগঞ্জ রেলস্টেশনের পাশে একটি পুকুর রয়েছে এটা শোনার পরে আমার মনে পড়ে গেল যশোরের বাবলাতলা রেল স্টেশনের কথা। যার পূর্বে একটা বড় কুকুর ছিল। একদম আর্মিদের বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কের পরে। যাইহোক খুবই ভালো লেগেছে সুন্দর একটা ধারণা পেয়ে।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
ট্রেন ভ্রমন সত্যি অনেক আনন্দের ৷ যদিও আমি এখনো ট্রেনে ভ্রমন করি নি ৷ আপনি ট্রেন আসার আগে আশে পাশের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ সবমিলে ট্রেনের পরিবেশটা ভালোই লাগে ৷
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
বুঝতেই পারছি আপনি ট্রেন ভ্রমণ করতে ভীষণ পছন্দ করেন। তাইতো সেই মুহূর্তটি সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন। আপনি তো দেখছি মসজিদ পুকুর সহ আরো বিভিন্ন স্থানের ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বুঝতেই পারছি আপনার কাছে স্টেশনে অপেক্ষা করতে ভীষণ ভালো লাগছে তাহলে। সবার সাথে পরিচয় হতে পেরেছেন তাহলে। যাই হোক আপনার ট্রেন ভ্রমণ পর্বটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু
রেল স্টেশনে কাটানো খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপনি। সেই সাথে বিভিন্ন স্থানের খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও ছিল। ট্রেনের জন্য অনেকক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন মনে হচ্ছে। আপনি ট্রেন আসার আগে রেলস্টেশনের আশপাশ ভালোভাবে ঘোরাঘুরি করলেন এবং কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আমাদের সাথে সেগুলো শেয়ার করেছেন দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
আমার মনে হয় কম বেশি সবাই ট্রেন ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করে। আপনার মত আমিও ট্রেনে ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করি আমার টেনে সর্বোচ্চ দূরে গিয়েছি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম। আপনি সিরাজগঞ্জ রেলস্টেশনের খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
রেল ভ্রমণটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। অনেকদিন আগে আমি ফেনী থেকে চট্টগ্রামে রেলে করে গেলাম। সময়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আপনি সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে রেলের কাউন্টার বা অন্যান্য জায়গা ঝামেলা কম মনে হচ্ছে। তবে নতুন নতুন মানুষের সাথে কথা বলতে আপনার কাছে ভালো লাগলো শুনে আমার কাছে ও ভালো লাগলো। কারণ আপনার মানুষের সাথে কথা বলার আগ্রহ আছে। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি উপস্থাপনা করেছেন।
ধন্যবাদ আপু
এমনিতে রেল ভ্রমণ অনেকে পছন্দ করে। বিশেষ করে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রেল ভ্রমণ করতেছেন। সবচেয়ে ভালো লাগলো আপনি নতুন মানুষের সাথে কথা বলতেছেন। আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে রেল ভ্রমণ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ