সিরাজগঞ্জ শহর হতে হাটিকুমরুল এর দূরত্ব ৭ কিলোমিটার।সেকানে নবরত্ন রয়েছে। আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। প্রাচীন ঐতিহ্যময় এই নবরত্ন দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষই ভ্রমণ করতে আসে। তাই অনেকদিন হলো পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে এই নবরত্ন দেখার খুবই ইচ্ছা ছিল। যার কারণে যাব যাব করে যাওয়া হচ্ছিল না। আজকে যখন পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে এই নবরত্ন দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তখন খুবই ভালো লাগতেছিল। আসলে নবরত্ন দেখার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম, তবে সেখানে আমার খালার বাসা রয়েছে।খালার বাসাতে খাওয়া দাওয়া করে বিকেলবেলা নবরত্ন দেখা দেখতে যাব। এই উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করেছি। যখন খালার বাসায় আসলাম, খাওয়া-দাওয়া করে বিকাল ৫ টার পরে নবরত্ন গিয়ে দেখতে পেলাম।তখন নবরত্নর গিয়ে দেখলাম গেট বন্ধ। আগে এখানে গেট ছিল না, গেট খোলা ছিল। কিন্তু এখন নিয়ম করেছে পাঁচটার পরে এই গেট বন্ধ থাকবে। যার কারণে ভিতরে আর প্রবেশ করতে পারলাম না। মন খুবই খারাপ হলো। তারপরেও গেটের বাইরে থেকে দেখে মোটামুটি ভালই লাগতেছিল। কিছুটা আনন্দ নেওয়ার চেষ্টা করতেছিলাম।
প্রাচীনকালের রাজা বাদশা অনেক সৌখিন ছিল। তাদের রাজপ্রাসাদ দেখলে যেন বোঝা যায় এগুলো খুব সৌখিনভাবে ডিজাইন করে তৈরি করা। আর এই নবরত্ন এসে দেখতে পেলাম খুবই সুন্দর একটি মহল। আর এই মহলের দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। হাজার বছরের পুরনো এই দৃশ্যটি দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে গেল।
এই নবরত্ন এখানে এসে দেখতে পেলাম। অনেক সুন্দর একটি মন্দির রয়েছে। মন্দিরটি এর আগে আমি একবার প্রবেশ করেছিলাম। আজকে যেহেতু গেটের বাইরে থেকে আমাকে ফটোগ্রাফি করতে হচ্ছে। তাই মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারলাম না। বাইরে থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করলাম।
নবরত্নর এই মহলটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেক যত্ন সহকারে তৈরি করা। প্রত্যেকটা ডিজাইন যেন একইভাবে করা। সকল দিকে একই ডিজাইন দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে গেল। আর এই মহলের গায়ে এত সুন্দর ও নিখুঁতভাবে ডিজাইন করেছে, দেখলেই বোঝা যায় কত দক্ষতার সাথে এই মহলটি তৈরি করেছে।
আসলে ঐতিহ্যবাহী এই নবরত্ন এর আগে আমি ভ্রমণ করেছিলাম। তবে আজকে আমি আমার পরিবারের সাথে ভ্রমণ করতে এসেছি। যার কারণে পরিবারকে সকলেরকে নিয়ে কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার ইচ্ছা ছিলো।কিন্তু গেট বন্ধ থাকার কারণে ভালোভাবে দেখতে পেল না। তখন আমার খুবই খারাপ লাগলো। তারপরেও ওদের একটু সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমি নবরত্নর পাশে দাঁড়িয়ে ওদের ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম।
প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই নবরত্নটি বিশাল বড়। এর ভিতরে অনেক ভবন রয়েছে এবং বিশাল বড় একটি পুকুর রয়েছে। আর মন্দিরও রয়েছে। এগুলো আমি ভালোভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না। বন্ধ থাকার কারণে।তাই আমি ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি। যার কারণে আপনাদের সাথে আজকে বাইরে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে, সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম। পরবর্তীতে আবারো একদিন যাবো পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে। সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। |
প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ
Location
Device:Poco X2
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | রেডমি পোকো x2 |
ধরণ | ❝ ফটোগ্রাফি❞ |
ক্যমেরা মডেল | Poco X2 |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
ঐতিহ্যবাহী নবরত্ন ভ্রমণ গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগল।ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে। সুযোগ পেলেই ভ্রমণ করতে মিস করি না। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
@mohamad786 ভাইয়া মনে হয় আপনার এখানে দুইটা পোস্ট হয়ে গিয়েছে। এখানে যে কোন একটা পোস্ট হওয়ার কথা ছিল মনে হয়। আশা করছি এই বিষয়টা দেখে আপনি ঠিক করে নিবেন।
ঐতিহ্যবাহী নবরত্ন ভ্রমণ করতে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছিলেন গেটের বাহিরে। তবে গেটের ভেতরে ঢুকতে পারেনি শুনে অনেক খারাপ লাগলো। যেহেতু পাঁচটার পরে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় তাই আর ঢুকতে পারেননি। তবে বাহিরে থেকেই ভালো সময় কাটিয়ে ছিলেন, আর সুন্দর সুন্দর কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলেন দেখে বিষয়টা ভালো লাগলো। আপনার ভ্রমণ কাহিনীটা সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রকি ভাই,আসলে আমি ভুল করে দুইটা পোস্ট করে ফেলেছিলাম।
ভাইয়া আপনি হয়তো খেয়াল করেননি আপনার পোস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আরও একটি পোস্ট হয়ে গিয়েছে। আশা করি দেখে ঠিক করে নিবেন।
যাই হোক অনেক দিন চিন্তা করে অবশেষে নবরত্নে ঘুরতে গিয়েও ভিতরে ঢুকতে পারলেন না শুনে খারাপ লাগলো। এজন্যই কোন জায়গায় যাওয়ার আগে খোঁজখবর নিয়ে গেলে ভালো হয়। জায়গাটা যে বেশ সুন্দর আপনার বাইরে দাঁড়িয়ে তোলা ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। পরবর্তীতে সময় করে কোন একদিন গিয়ে ঘুরে আসবেন আশা করি।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আসলে এটা আমার ভুলে কারণে হয়ে গিয়েছিল
ভাই আপনার পোস্ট একটার পর আরেকটা হয়ে গিয়েছে দেখলাম। দুইটা পোস্ট একসাথে রয়েছে এখানে। এটা হয়তো ভুল বসত হতে পারে। একটু ঠিক করে নিবেন।
আরে বাহ্ আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর একটা স্থানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এরকম জায়গায় গেলে যদি গেটের ভেতরেই না ঢুকে যায় তাহলে একটুও ভালো লাগেনা। যদি আরো আগে আসতেন, তাহলে হয়তো গেট খোলা থাকতো এবং ভেতরে ঢুকতে পারতেন। তবে বাহিরে থেকেও সৌন্দর্যটা উপভোগ করেছিলেন দেখে ভালো লেগেছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে আমি বুঝতে পারিনি ভুল করে পোস্টটা হয়ে গেছিল।