চলতি পথে একটি দুর্ঘটনার গল্প
আমরা প্রতিদিন কথা না কোথাও ভ্রমনে বের হই। আর এই ভ্রমণটা আনন্দের হয়ে থাকে, আবার কখনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে হয়ে থাকে। তাই কিছুদিন আগে আমি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে বগুড়ায় গিয়েছিলাম। আর বগুড়া যাওয়ার পথে যেন একটি দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখতে পেলাম। সত্যি এই দৃশ্যটি দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। কারণ এই দৃশ্যটি আমার চোখের সামনে ঘটেছে। আর এরকম চোখের সামনে অনেক দুর্ঘটনা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পায়।আসলে আমাদের চোখের সামনে কোন দুর্ঘটনা দেখলে সেই দৃশ্যগুলো কখনোই ভোলা যায় না। সেগুলো যেন সবসময় চোখের সামনে ভাসতে থাকে। তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে আজকে সেই দুর্ঘটনার একটি গল্প শেয়ার করতে আসলাম।
বগুড়া যাওয়ার জন্য আমি নয়টার দিকে বাসে উঠেছি। আর বাসে করে ভ্রমণ করতেছিলাম। এই ভ্রমণের মুহূর্তটা তখন ভালই লাগতেছিল কারণ বগুড়া যাব একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আর এই কাজটি হয়ে গেলে আমার অনেক ভালো লাগবে। তাই আমি বগুড়া যাচ্ছিলাম এবং আমার সাথে আমার মামা ও ছিল। তাই মামার সাথে ভ্রমণের মুহূর্তটা আমি খুবই ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম। বিশেষ করে আমি জানালার পাশে ছিলাম যার কারণে সেই মুহূর্তটা উপভোগ করতে ছিলাম। বগুড়ার রাস্তাটি অনেক সুন্দর করা হয়েছে। চারপাশে প্রকৃতির এই দৃশ্যগুলো দেখতে দেখতে যেন খুবই ভালো লাগতেছিল। তো বগুড়া যাওয়ার পথে এখানে ৫ মিনিটে আমাদের গাড়ি উপস্থিত থাকবে, আপনারা যদি কেউ বাইরে আসতে চান তাহলে আসতে পারেন।
প্রচন্ড গরম পড়েছে, যার কারণে আমি একটি দোকানে গেলাম। সেখান থেকে আমি ঠান্ডা জাতীয় কিছু খাবার কিনলাম। বিশেষ করে আমি সেভেন আপ কিনেছিলাম। আর আমি আর মামা বসে ওই দোকানের পাশেই বসে ছিলাম এবং দোকানে বসে সেভেন আপ খাচ্ছিলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম একটি মোটরসাইকেল ও বাস এর সাথে সরাসরি ধাক্কা লাগলো। আর সেই মোটরসাইকেল ওয়ালা সিটকে পড়ে গেল। সবাই দৌড়ে এসে মোটরসাইকেলের দুজনকে তাড়াতাড়ি তুলল এবং তুলেই দেখতে পেলাম যে মোটরসাইকেল চালিয়েছিল তার ডান হাত ভেঙ্গে ঝুলে আছে।
যে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল তার হাত ভেঙে গেছে এবং পিছনে যে বসেছিল তার বেশি কিছু হয়নি। শুধু হাতে আঘাত লেগেছে হাতে একটু ছিলে গেছে। আর বাসের ড্রাইভার ছিল সে সিটকে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল তার অল্প একটু আঘাত লেগেছে। কিন্তু তাকে ড্রাইভার যেন পালিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিল। তাই এলাকার মানুষ ড্রাইভারকে ধরে রাখল এবং যে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল তাকে তাড়াতাড়ি করে একটি হসপিটালের দিকে নিয়ে গেল। তখন আমার মনে হচ্ছিল তার প্রচুর রক্ত পড়ছে এবং এই রক্ত পড়া বন্ধ না করলে সে হয়তো রক্ত পরার কারণে মারা যেতে পারে। তাই আমি সবাইকে বললাম যে তার রক্ত বন্ধ করার জন্য আগে টাইট ব্যান্ডেজ করে রাখুন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
আমাদের চলার পথে অনেক দুর্ঘটনা আমরা দেখতে পাই। কখনো কখনোই দুর্ঘটনা গুলো আমাদের সাথে হয়ে থাকে। তাই চলার পথে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং বিপদে অন্যের পাশে থাকা উচিত।
আসলে রাস্তাঘাটে এখন এরকম এক্সিডেন্টগুলো অনেক বেশি হচ্ছে, বিশেষ করে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট। দুর্ঘটনাটার কথা শুনে আমার তো গা শিউরে উঠেছে। মোটরসাইকেল ওয়ালা লোকটার জন্য দোয়া করি যেন তিনি সুস্থ হয়ে ওঠে। আসলে আমাদের সবারই উচিত রাস্তা ঘাটে চলাচল করার সময় দেখে শুনে চলাচল করা। আর যারা গাড়ি চালায় তাদের উচিত মাথা ঠান্ডা রেখে আস্তে আস্তে গাড়ি চালানো। আর যারা বাইক চালায় তাদেরকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে বাইক চালাতে হবে।
এজন্যই তো আমি বড় রাস্তায় বাইক নিয়ে চলাফেরা করি না। আর বড় রাস্তায় বাইক নিয়ে চলাফেরা করাটাও আমার একেবারে পছন্দ না। যখন কোথাও যাই তখন গ্রামের রাস্তাগুলো দিয়েই সব সময় আমি চলাচল করি। তবে ওই লোকটার কথা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। লোকটার সুস্থতা কামনা করছি যেন তিনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত সাবধানে চলাচল করা। আর আমি সব সময় চেষ্টা করি সাবধানে চলাচল করার।