❝স্কুলের মডেল টেস্ট পরীক্ষা ফাঁকি দিয়ে চার বন্ধু মিলে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ঘটনা❞[পর্ব-২]
স্কুলে মডেল টেস্ট পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন ওভাবে নদীর পাড়ে ঘোরাফেরা করার পর আমাদের চার বন্ধু আবারও ঘুরতে যাওয়ার লোভ হলো।তো তৃতীয় দিন যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হল।আমরা খুব ভালোভাবেই লেখা শুরু করলাম। কিন্তু আগের দু'দিনের মতোই আজকেও স্যার পরীক্ষার হল থেকে অনেক সময়ের জন্য বের হয়ে গেল। স্যার বের হয়ে যাওয়ার পর ক্লাসরুমে আমরা সবাই হট্টগোল শুরু করে দিলাম।তখন আমি দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশ্যে একটি কথা বললাম।আমি বললাম যে,"গতদিন আমি সাদি, আদিত এবং সাদাত পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম।এবং সেখানে আমরা চারজন মিলে অনেক মজা করেছি। স্যাররা যেহেতু আমাদের পরীক্ষা ঠিকমতো নিচ্ছে না তাহলে চল সবাই মিলে আজকে নদীর পাড়ে যায়"।তখন সবাই বলে উঠলো তাহলে চল আমরা আজকে পরীক্ষা দিব না সবাই নদীর বাড়ি ঘুরতে যাব আবার।
ক্লাসের প্রায় সকলেই আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ জন আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য রাজি হল। কিন্তু স্যার তো ক্লাসরুমে এখনো আসলো না তাহলে আমরা কার কাছে খাতা জমা দিব এই নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলল। তখন আমি বলে উঠলাম স্যারের আসা লাগবে না আমরা নিজে থেকে টেবিলের উপর খাতা জমা দিয়ে চলে যায়। তখন আমরা সবাই টেবিলের উপর খাতা জমা দিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে আসলাম। স্কুল থেকে বের হয়ে আসা ৩০-৩৫ জনের মধ্যে ১০-১৫ জন বাসায় চলে গিয়েছিল বা অন্য কোথায় গিয়েছিল। আর বাকি আমরা ১৫ জন হাঁটতে হাতে নদীর পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অনেক মজা করে আমরা নদীর পারে গেলাম। নদীর পাড়েই ছিল আমার এক বন্ধুর বাসা। আর নাম সাদিক। আমি সাদিককে বললাম যা তোর বাসা থেকে তাড়াতাড়ি ফুটবলটা নিয়ে আয়, আজকে ফুটবল খেলবো আমরা।সাদিক ৫ মিনিটের মধ্যে তার ফুটবলটি নিয়ে আসলো। তারপর আমরা দুই দলে ভাগ হয়ে ফুটবল ম্যাচ শুরু করে দিলাম।নদীর পাড়ে প্রায় এক ঘন্টা যাবত আমরা ফুটবল খেললাম। ফুটবল খেলে আমরা সবাই অনেক ক্লান্ত। তাই আমরা নদীতে গিয়ে হাত, মুখ, মাথা ধুইলাম। তারপর একজনকে দেখি নদীর পাড়ে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে।তখন আমরা সেই আংকেলকে বললাম আঙ্কেল আমাদের বড়শিটা একটু দেন আমরা একটু মাছ ধরবো।আঙ্কেলটা অনেক ভাল ছিল তাই আমারা বলার সাথে সাথে বড়শি দিল এবং আমরা অনেক মজা করে মাছ ধরতে লাগলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমরা আর ধরতে ব্যর্থ হলাম। কারণ বড়শি দিয়ে মাছ ধরা অনেক ধৈর্যের ব্যাপার যা আমাদের ওই সময় ছিল না।মাছ ধরায় ব্যর্থ হওয়ার পর নদীর পাড়ে বালুর মধ্যে একে অপরের নাম লিখলাম। সেখানে অনেক মজা করলাম।সেই দিন নদীর পাড়ে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা কাটিয়েছিলাম। এই দুই আড়াই ঘন্টা আমরা অনেক অনেক মজা করেছিলাম। যা আমাদের সকলের সারাটা জীবন ভরে মনে থাকবে।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
টুইটার লিংক 👇
https://twitter.com/FaisalA45225288/status/1690624490148077570?s=20
স্কুল ফাঁকি দিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া। তাও আবার মডেল টেস্ট বাদ দিয়ে। ভালোই তো দুষ্টু ছিলেন মনে হয়। নিজেরা তো গেলেন গেলেন আবার ক্লাসের সবার মাথাও নষ্ট করে দিলেন। আবার নাকি অনেক মজাও করেছেন। আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে ভাবছিলাম যে কি ডানপিঠে ছিলেন আপনি। হি হি হি
ক্লাস ৮ এ পড়া অবস্থায় একটু দুষ্টু ছিলাম।এখন অবশ্য প্রায় সব কিছুই বদলে গেছে ।
জীবনে সবচেয়ে মজার সময় স্কুল জীবন।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসবকিছু হারিয়ে যায়।আপনি স্কুল জীবনে পরীক্ষা ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতেন নদীর পাড়ে।তারপর দলে আরো বন্ধু জুটিয়ে ফুটবল খেলেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার স্কুল জীবনের এই একটা ঘটনায় সারা জীবন মনে রাখার মত ঘটনা।