শীতের অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। আসলে শীতকাল আসলে আমরা প্রকৃতি নতুন রূপে দেখতে পাই। এই প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে। চারদিকে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে এবং চারপাশের প্রকৃতি যেন অন্যরকম লাগে। বিশেষ করে কুয়াশার মধ্যে খেজুর গাছের রস খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ এবং শীতের মধ্যে বাড়ি বাড়িতে যেন এক পিঠার আয়োজন করা হয়। এই পিঠা খাবার জন্য নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমরা পার হই। তবে শীতের মধ্যে মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে খুবই ভালো লাগে। আর এই মিষ্টি রোধের দাঁড়িয়ে থাকার গল্প সত্যিই অসাধারণ। বাড়ির সবাই মিলে মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে থেকে গল্প শুরু হয়। আর শীতের পরিবেশ যেন অসাধারণ।তবে কৃষকেরা সকালবেলা এই শীতের মধ্যেও যেন কষ্ট করে ফসল ফলায়। আসলে কৃষকদের কাজই আমাদের জন্য কাজ করা। যার কারণে হাজারো কষ্টের মধ্যে দিও তারা যেন আমাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর এই কৃষকদের দেখলেই যেন আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিত। আর শীতের এই অনুভূতিগুলো আজকে আপনাদের মাঝে কবিতার আকারে প্রকাশ করলাম।শীতের অনুভূতি সত্যি অসাধারণ। শীতকালে আসলেই যেন আমরা অন্যরকম একটা পরিবেশের মধ্যে বসবাস করতে থাকি। তাই আজকে আপনাদের মাঝে এই শীতের অনুভূতি নিয়ে কবিতাটি লিখে শেয়ার করলাম। আশা করছি আমার কবিতা ভালো লাগবে।
“শীতের সকাল”
মোঃ ফয়সাল আহমেদ
শীতের সকালে কুয়াশার কারণে,
বের হতে মন যে চায় না।
শীতেরও অনুভূতি গায়ে লেগেছে,
লেপের ভিতর থেকে মন উঠতে মন তাই চায় না।
সকালবেলা ঘাসের উপরে,
শিশিরের বিন্দু যে টপটপ করে পড়ে।
এই শিশিরের বিন্দু গায়ে লেগে,
আমার শরীর যে শির শির করে ওঠে।
শীতের সকালে মিষ্টি রোদের জন্য,
দৌড়ে আসি আমরা ঘরের বাইরে।
এই মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে,
মন যে চায় তাই বারে বারে।
শীতের সকালে খেজুর গাছের রস,
টপটপ করে পরে।
এই খেজুরের রস খেলে,
শরীর থেকে শীতের অনুভূতি যায় যে তাই চলে।
শীতের সকালে হাজারো কষ্ট,
ভুলে লাঙ্গল নিয়ে কৃষক যায় তার মাঠে।
ফসল ফলাতে সর্বশ্রেষ্ঠা,
তারা যে করতে থাকে।
শীতের কষ্ট দূর হয়ে যায়,
নানার রকমের পিঠার স্বাদে।
এই পিঠা পেয়ে আমরা মেতে উঠি।
আনন্দের সাথে।
শীতের অনুভূতি আরও বেশি ভালো লাগে,
নানা রকম ফুলের মিষ্টি গন্ধে।
ফুলে ফুলে ভরে ওঠে,
প্রকৃতির তার নতুন রূপে।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
শীতের সকালকে ঘিরে বেশ সুন্দর চিন্তা ভাবনা দিয়ে আপনি একটি কবিতা রচনা করেছেন। যে কবিতার মধ্যে আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লাইনে লাইনে। বেশ চমৎকার হয়েছে আপনার কবিতাটা।
শীতের সকালের প্রতিটা অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে আপনার কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আপনার এত সুন্দর কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো। প্রতিটা লাইন খুব সুন্দর লিখেছেন। আমার কাছেও এখন কবিতা লিখতে ভালো লাগে আর সাথে আপনাদের কবিতা পড়তেও খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ শীতের সকাল নিয়ে এত সুন্দর কবিতা শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়া শীতকাল মানেই অন্যরকম অনুভূতি , ভালোলাগা ৷ এই দিন গুলো প্রত্যেকটাই উপভোগ করার মতো ৷ তবে কিছু মানুষের জন্য শীত সুখের নয় ৷ যাই হোক , শীতের সকাল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন ৷ কবিতায় অনেক কিছু ফুটে উঠেছে ৷ ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে ৷ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
শীতের সকাল নিয়ে দারুন একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। ঠিক বলেছেন শীতের সকালে কোথাও বের হতে ইচ্ছে করে না বিশেষ করে লেপের ভেতর থেকে বের হতেই ইচ্ছে করে না। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
শীত নিয়ে খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন। এই কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতকাল নিয়ে আপনি দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন।শীতের সকালের সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।আসলে শীতকাল মানেই আলাদা অনুভূতি, শিশির বিন্দু, কুয়াশার চাদর আর মিষ্টি রোদে পিঠা খাওয়া,খেজুর গাছের রস খাওয়া সবই মজার।ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতের সকাল নিয়ে দারুন একটি কবিতা শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা কবিতাটি ভীষণ ভালো লাগলো।কবিতার প্রতিটি লাইনে শীতের আমেজকে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার এই কবিতাটি শেয়ার করার জন্য।