মাছের বাজারের দৃশ্য এবং ফটোগ্রাফি
আজকে আমাদের সিরাজগঞ্জের মাছের বাজার এসেছি। আর এই মাছের বাজারে এসেছি, আমার বড় ভাইয়ের সাথে। বড় ভাই অনেকদিন পর আমাদের বাড়িতে এসেছে। সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর মাছ কেনার জন্য সে বাজারে এসেছে। আমাকে সাথে নিয়ে এসেছে। বাজারে এসে আমি নানান রকমের মাছ দেখতে পেলাম এবং বড় থেকে ছোট অনেক ধরনের মাছ রয়েছে। এই মাছগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই মাছের বাজারের ফটোগ্রাফির করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
location
location
location
location
location
location
বাজারে এসে প্রথমে আমি বিশাল বড় একটি রুই মাছ দেখতে পেলাম। সত্যিই এই মাছ দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। এত বড় রুই মাছ। এই মাছটি ফটোগ্রাফিে ছোট দেখা গেলেও এই মাছটি ১২ কেজির উপরে। সত্যিই এই মাছটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই ফটোগ্রাফি করেছি।বড় মাছটি কেনার খুব ইচ্ছা ছিল আমার,আর এই বড় মাছ কেনার জন্য সবাই ভিড় জমিয়েছিল। কিন্তু দাম অনেক বেশি তাই কেনা হলো না।
তারপরে আরেকটি মাসের দোকানে আসলাম। এই মাছের দোকানের ছোট বড় অনেকগুলো সিলভার কাপ মাছ ছিল। আসলে যারা থকলেজ হোস্টেলে থাকে। তারা এই সিলভার কাপ মাছের সাথে খুবই পরিচিত। কারণ এই মাছগুলো হোস্টেলে বেশি খাওয়া হয়। তাই মাছগুলো দেখে ফটোগ্রাফি করলাম।
তারপর মাছের বাজারে নদীর মাছ দেখতে পেলাম। আমাদের যমুনা নদীর বাটা মাছ বলা হয়। এই মাছগুলো দেখতে পেলাম। এই মাছগুলা খেতে খুবই মজা আর নদীর মাছ পাবদা ছিলো। নদীর পাবদা মাছ খেলে আপনি বারবার খেতে চাইবেন। যমুনা নদীর পাবদা মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।তাই ১ কেজি মাছ কিনলো আমার বড় ভাই ৪৫০ টাকা দিয়ে।
তারপরে আমরা একটি রুই মাছ কিনলাম। আর এই রুই মাছ বিক্রেতা আমাদের কেটে পিস পিস করে দিচ্ছে এবং এই রুই মাছের দোকানের পাশেই ছিল নদীর চিংড়ি মাছ। সত্যিই এই নদীর গলদা চিংড়ি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আর এই চিংড়িমাছ আমার বড় ভাইয়ের খুবই প্রিয়। তাই এখান থেকে আমরা চিংড়ি মাছ কিনলাম ৮০০ টাকা কেজি ছিলো এই চিংড়ি মাছ।
নদীর ছোট মাছের মধ্যে চিহাসি মাছ সবচাইতে প্রিয়। আরে চিহাসি মাছের চাহিদা সবচাইতে বেশি। চিহাসি মাছগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। যদি এই মাছগুলো আপনি বেগুন ও আলু দিয়ে কুচি কুচি করে রান্না করেন। তাহলে এই মাছের সুস্বাদু রেসিপি আপনি বারবার খেতে চাইবেন। তাই নদীর এই মাছগুলো দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করলো। তাই বড় ভাই এখান থেকে আড়াইশো গ্রাম মাছ কিনল। আড়াইশো গ্রাম মাছের দাম ছিল ২২০ টাকা।তারপর বড় বড় টাকি মাছও দেখতে পেলাম।
মাছের দোকানে আমি বাগারি মাছ দেখতে পেলাম। এই বাগারি মাছগুলো অনেকে বড়।তাই এই বাগারি মাছ গুলো কেটে পিস পিস করে বিক্রি করা হয়। তারপরে বাগারি মাছের পাশে দেখতে পেলাম যমুনা নদীর বোয়াল মাছ। আর এই বোয়াল মাছের চাহিদা খুব বেশি। আর আমরা এই বোয়াল মাছ কিনলাম। বারোশো টাকা কেজি ছিল।
আমার পরিচয়
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
| ক্যামেরা | রেডমি নোট ৬ প্রো |
|---|---|
| ধরণ | মাছের বাজারের দৃশ্য এবং ফটোগ্রাফি। |
| ক্যমেরা মডেল | নোট ৬ প্রো |
| ক্যাপচার | @mohamad786 |
| অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

















ভাইয়া আপনি মাছের বাজারে গিয়ে মাছের খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রথমে রুই মাছ দেখতে ১২ কেজির উপরে সেটা কিন্তু সত্যি ফটোগ্রাফিতে বোঝা যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে বাস্তবে অনেক বড় ছিল। এখন সব জিনিসেরই দাম আকাশ ছোঁয়ার মত। আপনার রুই মাছ পছন্দ হয়েছে কিন্তু কিনতে পারিনি দেখে খারাপ লাগলো। আমার কাছেও রুই মাছ অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক মাছ কিনেছেন আর এরসাথে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ
মাছের বাজারে গিয়ে আপনি দেখছি অনেকগুলো মাছের ছবি তুলেছেন। সব ধরনের মাছ আছে দেখছি বাজারে ।আসলে ছেলে হলে বাজারে গিয়ে বিভিন্ন কিছু দেখা যায় ও ছবি তোলা যায়। মাছ আবার অনেক প্রিয় অনেকগুলো মাছ একসাথে দেখে আমার ইচ্ছে করছে কিনে নিয়ে আসি ।সবগুলো মাছ খুবই তর তাজা মনে হচ্ছে।
ভালো লেগেছে আপনার মতামতের জন্য
আপনার বড় ভাইয়ের সঙ্গে মাছ বাজারে গিয়ে খুবই চমৎকার কিছু বড় বড় মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেকগুলো মাছের ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম তবে বর্তমান সময়ে আসলেই মাছের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে মাছের দাম যাই হোক না কেন এ ধরনের মাছ খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে ধন্যবাদ মাছ বাজারে গিয়ে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য
সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝার উপায় নেই যে মাছটার ওজন ১২ কেজির উপরে। অন্য মাছের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লাগছে। তবে যেহেতু বললেন এখানে যমুনা নদীর মাছ পাওয়া যায় সেজন্য অবশ্য এখানে মানুষ বেশি হওয়া স্বাভাবিক। বোয়াল এবং বাগারি মাছের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ