বন্ধুর সাথে মাছ ধরার গল্প// পর্ব-২//By mohamad786 [10% Beneficiary @shy-fox]
বন্ধুদের সাথে আমাদের গ্রামের বিলে মাছ ধরার গল্প দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে বন্ধুদের সাথে এই মাছ ধরার গল্পটি অনেক আনন্দের ছিল।আসলে আমার জীবনে প্রথম আমি হাত দিয়ে মাছ ধরে ছিলাম, আর আমার বন্ধুর সাথে বিলের মধ্যে কাঁদা দিয়ে মেখে গিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামের প্রায় সকল ছেলে মেয়েরা মাছ ধরতে নদীতে এসেছিল, কারণ তখন বিলের পানি শুকিয়ে গিয়েছিল। সেদিন অনেক গরম ছিল, যার কারণে মাছগুলো অল্প পানির মধ্যে ছিলো, আর এই মাছগুলো ধরার জন্য সকলে ব্যস্ত ছিলো।তো বন্ধুরা চলুন আজকে দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করি, আশা করছি মাছ ধরার দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভাল লাগবে।
তো বন্ধুরা আমি যখন গেঞ্জি হাতে পেঁচিয়ে গর্তের ভিতর থেকে একটি মাছ ভেবে শক্ত করে চেপে ধরে উপরে উঠালাম। এটি সাপের মত অনেক লম্বা ছিল। আমি দেখে ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু আমি শক্ত করে ধরে ছিলাম। তাই আমি চোখ বন্ধ করে এটি ধরে আছি।তখনি আমি পানির মধ্যে থেকে উপরে উঠে আসলাম। উপরে এসেই চিৎকার করে আমার বন্ধুকে ডাক দিলাম। আমার বন্ধু এসে দেখল এটি অনেক বড় বাইম মাছ। সত্যিই এই যে বাইম মাছ তা আমি চিনতাম না।কিন্তু আমার বন্ধু যখন বলল কিরে তুই এত বড় একটি বাইম মাছ ক্যামনে ধরলি। সত্যিই বন্ধু কথা শুনে আশেপাশের আরো কয়েকজন ছুটে আসলো আমার এই মাছটি দেখার জন্য।
আসলে বাইম মাছটি অনেক বড় আর এটি দেখতে সাপের মতোই প্রায়।এই মাছটি দেখে আমি ভয় পেয়েছিলাম। তারপর আমি অনেক কষ্টে এই মাছটি ধরেছিলাম। বিশেষ করে গেঞ্জি দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে ছিলাম বলেই এই মাছটি আমি উপরে তুলতে পেড়েছি। সবাই অনেক আশ্চর্য হয়ে গেছে, যে এত বড় মাছ আমি ধরলাম কিভাবে, মূলত বাইম মাছ অনেক পিচ্ছিল হয়, এই মাছ সহজে ধরা যায় না। তাই এই মাছটি ধরার কারণে সবাই মাছটি দেখতে আসলো। তখন বন্ধু বলল আজকে তুই অনেক বড় একটি মাছ ধরেছিস। জীবনে প্রথম এতবড় একটি মাছ দুই হাত দিয়ে ধরলি। আসলে তখন আমার খুবই ভাল লাগতে ছিল। যখন সকলেই আমার প্রশংসা করতে ছিল। সত্যিই জীবনে প্রথম আমি হাত দিয়ে এত বড় একটি মাছ ধরতে পেরেছি। এটি আমার অনেক আনন্দের ছিল।
সত্যি তখন বন্ধু বলল চল মাছ আজকে অনেক ধরেছি আর ধরবো না।এখুন বাড়ি যাই। তখন আমি বললাম আর কিছু সময় মাছ ধরি ভালোই লাগছে।আসলে মাছটি ধরার পর আমার মাছ ধরা নেশা মতো হয়েছিলো। তাই বন্ধুকে বললাম আর কিছু সময় মাস ধরি তার পর যাবো।মাছ ধরতে ধরতে বিকাল ৪ বাড়ে গেলো।তারপর মাছ ধরার জন্য আবারও চেষ্টা করেছিলাম এবং ছোট ছোট গর্তের ভিতর হাত দিচ্ছিলাম। একটি গর্তের ভিতর হাত দিয়েছি ওই গুলো ছিল কাঁকড়া।আর কাঁকড়া গুলো খুবই খারাপ এগুলোকে ধরা মাত্রই সে হাতে চিমটি কাটে।আমিও একটি গর্তের ভিতর হাত দেওয়ার পরে একটি কাঁকড়া আমাকে এমন চিমটি কাটল আমার হাতের আঙ্গুল কেটে গেল এবং রক্ত বের হলো। আর অনেক ব্যথা হচ্ছিল। সত্যিই তখন খুবই খারাপ লাগতেছিল। বন্ধুকে বললাম অনেক ব্যথা করতাছে।তখন বন্ধু বলল গর্তের ভিতরে হাত সাবধানতায় দিতে হয়। তারপর আর মাছ ধরলাম না বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
আপনার মাছ ধরার গল্প অনেক ভালো লাগল। আমি ও আপনার গল্প পড়ে প্রথম ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম সত্যি বুঝি সাপ হবে।তারপর যখন দেখলাম বড় একটা বাইম মাছ তখন বেশ ভালো লেগেছে। আর একটা কথা আপনি বড় মাছ পেয়েছেন দেখে আরো মাছ পাওয়ায় আশায় কাঁকড়ার চিমটি খেয়েছেন হা হা হা।ধন্যবাদ পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
গল্পটা পড়ে খুবি ভালো লেগেছে। আপনি দেখি খুবি বড় মাছ ধরে ছিলেন।তবে আগামি পর্বে আপনার পিঠে মার পড়বে আশা করি হাহা পরের পর্বের অপেক্ষা রইলাম।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই
ওয়ালাইকুম আসসালাম
বাহ আপনি তো দেখছি ভাই ভালোই মাছ ধরতে পারে। সাপ ধরতে গিয়ে মাছ ধরে ফেলছেন ।আমিও মাছ ধরতে অনেক ভালোবাসি। আমি যখন গ্রামে থাকতাম সপ্তাহে প্রায় পাঁচদিন আমি মাছ ধরতে যেতাম আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক হাসি ঠাট্টা পাগলামি দুষ্টামি করেছি।আপনি আপনার মাজরা কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ