একটি মানবতার গল্প🌹শেষ-পর্ব [10%@shy-fox]
মানবতার সেবা করা পরম ধর্ম, আর এই মানবতার সেবায় আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। আসলে আমাদের সমাজে আশেপাশে অনেক গরীব দুঃখী মানুষ রয়েছেন। তারা বেশি কিছু চাই না। তাদের প্রতি যদি একটু সহানুভূতিশীল হয়। তাই তারা অনেক খুশী হয়। এরকম মানুষের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করাটা খুবই ভালো কাজ। আসলে মানবতার ধর্ম পরম ধর্ম। আরে মানবতার সেবায় আমরা যদি প্রত্যেকে এগিয়ে আসি। তাহলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা অনেক উন্নত এবং শান্তিময় হবে। তো বন্ধুরা মানবতার গল্পের আজকে শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি, আশা করছি এই শেষ পর্বটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
গত পর্বে আমরা সেই গরীর মহিলাটিকে হসপিটালে ভর্তি করে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। এই পর্যন্ত শেয়ার করেছিলাম। আসলে তাকে আমরা যখন হসপিটালে মাসুদের মামার সাহায্য নিয়ে ভর্তি করিয়ে দিলাম। মামা বলল সকালবেলা ডাক্তার রাউন্ডে আসবে। তখন আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলবো। তাই আমরা শান্তিতে বাড়িতে দিকে রওনা দিলো এবং পরের দিন দশটার দিকে আমরা হসপিটালে এসে পৌঁছালাম। একটু পরে ডাক্তার রাউন্ডে এসলো।তখন আমাদের মামাও সেই ডাক্তারের সাথে রাউন্ডে গেলো।ডাক্তারের সাথে কথা বললো সেই মহিলার চোখের বিষয়ে। ডাক্তার মামার সাথে মহিলার অপারেশন বিষয়ে অনেক কথা বলেছে, রাউন্ড শেষে আমরা মামার সাথে দেখা করলাম।
রাউন্ড শেষে আমরা যখন মামার সাথে দেখা করলাম। মামাকে বললাম ডাক্তার কি বলল মামা, তখন বলল ডাক্তার বলেছে এর অপারেশন করলে চোখ ভাল হয়ে যাবে। সত্যি কথাটি শুনতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তখন বললাম মামা তাহলে অপারেশন কথা বলার ডাক্তারকে বলেছে।মামা বললো ডাক্তার বলেছে সে গরিব মানুষ। তাই আমরা তাকে বেশি দিন অপেক্ষা করাবো না। তিন দিনের মধ্যে অপারেশন করবো। আপনি অপারেশন এর মধ্যে যে ওষুধগুলো লাগবে তার ব্যবস্থা করুন। বাকিগুলো হসপিটাল বহন করবে। সরকারি হসপিটাল অপারেশন করতে টাকা লাগে না। শুধু যে ওষুধগুলো সাপ্লাই থাকে না সেগুলো কিনতে হয়। তাই সেই ওষুধগুলো কিন্তু আমাদের দুই হাজার টাকার মত লাগবে।
আমি তখন বললাম মামা তিনদিনের ভিতরে ২ হাজার টাকা ম্যানেজ করে একটু কষ্টকর হয়ে যায়। মামা তখন বলল কোন সমস্যা নেই। আমি তোমাকে একটা ফরম দিচ্ছি আর ডাক্তারের কাছ থেকে সাইন নিয়ে দিচ্ছি। হসপিটাল এর একপাশে সমাজসেবা অফিস রয়েছে। সেখানে এই ফরমটি নিয়ে গেলে,তারা এই রোগী জন্য সকল ওষুধ তারা বহন করবে। এমনকি অপারেশনের পরে ওষুধ লাগবে সেটা বহন করবে। তাই আমরা সেই ডকুমেন্ট নিয়ে সমাজ সেবার অফিসে গেলাম এবং তারা কাজটি দেখে সকল ব্যবস্থা করলো।আরও বলল অন্য কোন সমস্যা হলে এই ফরমটি নিয়ে আসবেন যেকোনো সময়ে।তাদের সুন্দর ব্যবহার আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাদের এই সেবামূলক কাজ আমাকে আরো উৎসাহ দিয়েছে।
অপারেশনের সকল ঔষধের ব্যবস্থা হয়ে গেল এবং অপারেশনের ডেট দেওয়া হলো। অপারেশন শুরু হলো। প্রায় একঘন্টা অপারেশন হওয়ার পরে ডাক্তার এসে বলল অপারেশনটি খুবই ভাল হয়েছে। আশা করছি আবার আগের মতো দেখতে পাবে। এক সপ্তাহ পরে তার চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হলো। চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়ার পরে সেই মহিলাটি সত্যি সত্যি দেখতে পাচ্ছিল। তখন তার দেখতে পাচ্ছে এই কথাটি শুনতে পেয়ে আনন্দে ভরে উঠলো বুকটা।সত্যি আমি ও আমার বন্ধুরা এতটা আনন্দিত হয়েছিলাম যা বলে বুঝাতে পারব না। সেই মুহূর্তটা ছিল পৃথিবীর সবচাইতে সুখের মুহূর্ত। এত ভালো লাগতেছিল যা বলে বুঝাতে পারব না। এতদিনের কষ্ট সার্থক হয়েছে। আসলে মানুষের সেবা করার মধ্যে যে এত আনন্দ রয়েছে সেটা আমি তখনই উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
আসলে আমরা সবাই যদি সব সময় মানবতার দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে পারি আমাদের সমাজের সকল দুঃখী মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমাদের সবার উচিত সবসময় মানবতার দিকে এভাবে হাত বাড়িয়ে দেওয়া। আপনার মানবতার গল্পটি কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে প্রত্যেকটি পর্ব পড়তে।আপনাদের এত দিনের কষ্ট স্বার্থক হয়েছে এটা জেনেই আমার কাছে ভালো লাগছে। ভাবতেই অন্যরকম একটা আনন্দ হচ্ছে। আপনারা বন্ধুরা অনেক খুশি হয়েছেন তা বুঝতে পারছি।
আপনাদের এত বড় একটি মানবতার কাজে আপনারা বন্ধুরা সফল হয়েছেন আপনাদের এতদিনের কষ্ট সার্থক হয়েছে এটা ভাবতেই আমার কেমন জানি ভালো লাগছে। আপনাদের বন্ধুদের মত সবাইকে মানবতার দিকে হাত বাড়াতে হবে। তবেই তো সমাজের দুঃখী মানুষগুলো এবং রাস্তার পাশে থাকা অসহায় মানুষগুলোর ঠাঁই হবে। তখনই তো সকল মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আপনাদের কাজ দেখে সত্যি ই ভাবতেই ভালো লাগছে। এভাবে যখন প্রত্যেক মানুষ মানবতার দিকে হাত বাড়াবে তখন আর কেউ দুঃখে থাকবে না। আমাদের মত সবাই জীবন যাপন করতে পারবে হাসিখুশিতে।
আপনাদের মানবতার প্রতি এভাবে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার এমন একটি কাজ দেখে নিজের কাছেই অন্যরকম লাগছে। আমরা সবাই যদি এভাবে মানবতার দিকে হাত বাড়িয়ে দিই তাহলে এরকম মানুষদেরও সাহায্য হবে। আমাদের সবারই উচিত এভাবে মানবতার দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া আপনাদের মতো। অবশেষে সেই ছোট্ট ছেলেটির মায়ের চোখের অপারেশন হয়েছে এবং তিনি ঠিকমতো দেখতে পারছেন এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। সব সময় এরকম কাজের সাথে থাকবেন আশা করছি। এরকম একটি পোস্ট পড়ে মনটা একেবারেই ভালো হয়ে গেল।