একটি মানবতার গল্প🌹পর্ব-১ [10%@shy-fox]
আসলে আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক ঘটনার সম্মুখে আমরা হয়। আর এই ঘটনা গুলোর মধ্যে কিছু কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো আমাদের স্মৃতির পাতায় রয়ে যায় সারা জীবন। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে আমার সাথে। বন্ধুদের সাথে আমি এবং আমার দুই বন্ধু মিলে সিরাজগঞ্জের ক্লোজারে এসেছিলাম। এই ক্লোজারে এসে একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। আসলে বন্ধুদের সাথে আগে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতাম এবং ঘুরে বেড়াতাম।তাই বন্ধুদের সাথে নিয়ে সিরাজগঞ্জ ক্লোজার এসেছিলাম।এই ঘটনাটি প্রায় দুই বছর আগের।তখন বন্ধুদের সাথে যমুনা নদীর পাড়ে আসেছিলাম। নদীর এই সৌন্দর্যময় প্রকৃতির মধ্যে বসে থেকে নদীর আবহাওয়া উপভোগ করতেছিলাম।
তখন আমরা নদীর পাড়ে বসে বাদাম খাচ্ছিলাম।আর নদীর প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করতে ছিলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম ছয় বছরের একটি বাচ্চা আমাদের কাছে এসেছে টাকা তুলার জন্য।আসলে বাচ্চাটিকে দেখে খুব মায়া হল। চেহারাটা মায়াবী কিন্তু পোশাকটা যেন একদম নোংরা। মনে হয় কতদিন হল ঠিকতমো খায় না। এরকম দৃশ্য দেখে খুবই খারাপ লাগলো। আমি বাচ্চাটিকে বললাম টাকা তুলে কি করবা। তোমার মা-বাবা নেই। তখন বলো যে আমার বাবা নেই, কিন্তু আমার মা রয়েছে। আমার মা চোখে কম দেখে, ওই উপরে বসে রয়েছে। আমি এখান থেকে টাকা পাইলেই কিছু টাকা দিয়ে রুটি কিনে আমার মাকে দেব। এই কথাটা শুনে আমাদের খুবই খারাপ লাগলো। তখন আমরা বন্ধু মাসুদ বললো যে আমরা তো অনেত খারাপ কাজ করি, আজকে আমরা একটা ভালো কাজ করবো। আজকে দেখি এই মহিলা এবং এই ছোট বালকটির জন্য কিছু করতে পারি কিনা। তখন আমরা বন্ধুরা মিলে একটা প্ল্যান করলাম। প্রথমে আমরা সেই বাচ্চাটির মায়ের কাছে গিয়ে দেখলাম সে আসলেই চোখে কম দেখে।
তখন মাসুদ বলল যে আমাদের কাছে তো অত টাকা নেই। আমরা কিভাবে একে সাহায্য করবো। তখন আমি বললাম যে আমাদের কাছে যা আছে সেটাতেই আপাদতো সাহায্য করি। তখন মাসুদ বলল যে আমার মাথায় একটা প্ল্যান রয়েছে। কিছুদিন আগে আমাদের বড় ভাই আলোচনা করেছিল, তাদের ভার্সিটিতে একজন দরিদ্র স্টুডেন্ট জন্য তারা অনেক সাহায্য টাকা তুলেছে। আজকে আমরা সেরকম কিছুই করব। তাই মাসুদের কথামত আমরা প্রথমে দোকানে গেলাম। দোকানে গিয়ে সেখানে থেকে একটা বক্সে নিয়ে সাদা কাগজে লিখে দিলাম মানবতার সেবায় আপনারা এগিয়ে আসুন। আমরা তিন বন্ধু ও ছোট বাচ্চাটিকে নিয়ে নদীর পারে দিয়ে এগিয়ে গেলাম। অনেকেই মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন লেখাটি দেখে টাকা দিতে শুরু করলো। তখন আমাদের লজ্জা হচ্ছিল না, কারণ আমাদের মনে হচ্ছিল আমরা খুব ভাল কাজ করতেছি।
আমরা বন্ধুরা মিলে নদীর পারে এভাবে টাকা তুলতে লাগলাম এবং অনেকই বলতে লাগলাম। যে এরকম বাচ্চাটি এবং তার মা অসুস্থ। আপনারা যা পারেন সাহায্য করুন। আমাদের কথায় অনেকেই এগিয়ে আসলো। সত্যি মানুষের সেবায় অনেক মানুষ এগিয়ে আসে। এটাই মানবতার ধর্ম।আমরা প্রায় দুই ঘণ্টার মত মানুষের কাছ থেকে টাকা তুললাম।পরে আমরা বক্সটি খুলে দেখলাম। সেখানে ১৭২০ টাকা হয়েছিল। সেই দিনটা আজকে খুবই মনে পড়ছে। এই ১৭২০ টাকা ও আমরা তিন বন্ধু মিলে আরো টাকা ভরে ২০০০ টাকা নিয়ে আমরা সেই ছোট বালকের মায়ের কাছে আসলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
সত্যি বলতে বাবা হীন এই অসহায় ছেলে এবং তার মাকে সাহায্য করে মহৎ একটি কাজ করেছেন ভাই। এই কাজগুলো যদি সমাজের আরো কিছু মানুষ করত তাহলে হয়তো অসংখ্য গরীব মানুষ একটু হলেও ভালো থাকতে পারতো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার এই গল্পটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমাদের আসলে সকলেরই উচিত এভাবে এমন অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান।ভাই আপনি আর আপনার বন্ধু মিলে খুব কাজ করেছেন।আমিও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান।আসলেই মানবতা এখন বেঁচে আছে।ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে।ধন্যবাদ
আসলে এরকম ছোট ছোট বাচ্চাদের আমরা অনেক জায়গায় দেখে থাকি যারা না খেতে পেরে মানুষের কাছে হাত পাতে টাকার জন্য। তাদেরকে দেখলে নিজেদেরও কষ্ট হয় সত্যি তাদের মধ্যে অন্যরকম একটা মায়া আছে। খুবই ভালো লাগলো যখন আপনারা সবাই মিলে বাচ্চাটিকে সাহায্য করেছেন তখন তা দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এরকম একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
আপনার মানবতার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, আসলে আপনাদের মতো আমাদের প্রত্যেক এই ভাবে চিন্তা করত, তাহলে অনেক ভালো হতো। আসলে এরকম অনেক অসহায় মানুষকে আমরা রাস্তা দেখতে পায়। তাদের প্রতি মানবতার সেবায় ভাবে এগিয়ে আসা উচিত, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
খুবই খারাপ লাগলো সেই ছোট্ট বাচ্চাটির জন্য। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই সেখানে এরকম বাচ্চাদের একটু বেশি দেখতে পাই। আপনারা তিন বন্ধু দেখছি খুবই মানবতা সহকারে সেই বাচ্চাটিকে সাহায্য করলেন। এরকম মানবতার কাজ তো খুবই অল্প মানুষই করে থাকে। আমাদের সবারই উচিত এরকম মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। আপনারা ছোট বাচ্চাটিকে সাহায্য করেছেন এটা জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।