ছোটবেলায় সেই বর্ষা কালটা।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আজ - ২৫শে শ্রাবণ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




boy-909552_640.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তবে চারপাশের পরিবেশটা খুব একটা ভালো নেই। বিশেষ করে আমাদের চট্টগ্রাম সহ কয়েকটি অঞ্চলের যে জলাবদ্ধতা সেটা তো নিশ্চয়ই কম বেশি সকলেই জানেন। তবে আগের তুলনায় বৃষ্টিটা কিছুটা হালকা হয়েছে এবং পানীয় কমে গিয়েছে । যখন রাস্তাঘাটে প্রচন্ড পরিমাণ পানি জমে। তখন দেখা যায় কিছু কিছু মানুষ রাস্তার মধ্যে কি সুন্দর মাছ ধরছে। আর রাস্তার মধ্যে পানিগুলোতে মাছ থাকাটা বেশ অবাক করা বিষয় লাগছিল আমার কাছে। তবে দেখলাম কয়েকটা মাছ ধরা পড়ছিল। যদিও তারা ওভাবে জাল ফেলে মাছ ধরছেনা বা মশারির ছোটখাটো অংশ কিংবা কাপড় দিয়ে কোনমতে পেঁচিয়ে জাস্ট পানির স্রোতের ওই জায়গাটিতে বসিয়ে দিচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরে এসে কাপড়গুলো উঠালে দেখা যায় দু'চারটা মাছ ধরা পড়ছে।

ছোটবেলায় বর্ষার এই সিজনটাতে দেখা যেত এভাবে ছোটখাটো জাল পেতে দিলে গুলোতে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত। আমাদের বাড়ির পাশে একটি জমি ছিল ওখানের পাশেই ছিল একটি খাল আর ওই খালে করে মাছ চলে আসতো জমিতে আর ওখানে কোন মতে ছোট্ট একটা জাল আটকে দিলেই প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত যেটা দিয়ে নিজেরা খেয়ে বাহিরে বিক্রি করাও যেত। আর আশেপাশে বাইরে মানুষদেরে দেওয়ার প্রয়োজন হতো না কারণ কার মাছ কে খাবে প্রত্যেকেই এভাবে নিজেদের জমিতে জাল বিছিয়ে মাছ ধরতো । যাদের বাসায় ছেলে, বুড়ো আছে তাদের তো আর মাছ কিনতে হতো না বর্ষায় । খুবই মজার ছিল আসলে ওই দিনগুলো।

এখনো কিন্তু গ্রামগুলোতে এরকম বর্ষার সিজানে খাল বিল মাছ পাওয়া যায়। তবে আগের মত অতো মাছ পাওয়া যায় না তারপরও পাওয়া যায়। আর ওই বিলের মাছগুলো টেস্ট অসাধারণ। মাছগুলোকে যেন এমনি লবন মরিচ দিয়ে রান্না করলে খেয়ে ফেলা যেত এতটা স্বাদের লাগতো। আর মাটির চুলাতে যখন রান্না হতো অসম্ভব সুন্দর একটি ঘ্রাণ বের হত।

আর যখন বিদ্যুৎ চমকা তো তখন দেখা যেত কই মাছগুলো পানির উপরে চলে আসতো। আর সকলে খুব সহজে ওগুলো ধরে ধরে নিয়ে যেত। আর বর্ষার সময়টা তো ইলিশের সিজন তাই প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। এমনও হতো যে ইলিশ মাছ খেতে খেতে আর ইচ্ছে করত না খেতে। দেখলেই বিরক্ত লাগে যেত। শুধুমাত্র বড় বড় ইলিশ মাছগুলো রান্না করা হতো আর ছোট গুলোকে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হতে পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য। আর এই নোনা ইলিশের স্বাদের দিক থেকে ছিল অসাধারণ। আমার নানু কুমড়ো পাতা দিয়ে এই নোনা ইলিশের একটি পাতুরি তৈরি করত যেটি খেতে ছিল দুর্দান্ত।

কচুর মুখে কচু লতি কচুর ফুল এসব কিছু তো প্রত্যেকটি বাড়ির আঙিনায় এমনি হয়ে থাকতো। খাওয়ার লোক ছিল না এসব কিছু। আর এখন কোথায় যেন হারিয়ে গেল সে সব দিনগুলো। আমি সবসময় বলি গ্রামীণ পরিবেশ গুলো কেন জানি আমার কাছে স্বপ্নের মত লাগে। তবে এখন গ্রাম আর গ্রাম নেই এখন গ্রামে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বেশ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে বিশেষ করে আমাদের গ্রামটা অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন মানুষ আর এসব কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী না। সবাই কেমন যেন অলস প্রকৃত হয়ে রয়েছে। আসলে বৃষ্টি ভেজা বর্ষাটাতে সেই ছোটবেলার সময় গুলো মনে পড়ে গেল আজ।

যাইহোক সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 last year 

সত্যি ভাইয়া ছোটবেলার বর্ষাকালটা অনেক মধুর ছিল।যদিও মাছ, বিদ্যুৎ চমকালে কৈ মাছ এসব আমার দেখার সুযোগ হয়নি।তবে আব্বুর কাছে শুনি এসব গল্প।আমার কাছে বর্ষা মানেই বন্যা।আর বন্যা হলে স্কুল বন্ধ দিয়ে দিতো।তবে আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লেগেছে। গ্রামে এই সুন্দর অনুভূতি গুলোর প্রকাশ পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া ছেলেবেলার বর্ষাকাল নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থার কথা শুনে সত্যি খারাপ লেগেছিল। যাই হোক এখন যেহেতু পানি কমতে শুরু করেছে আশা করছি জনজীবন স্বাভাবিক হবে। তবে বর্ষার সেই আমেজ এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। শৈশবের স্মৃতিগুলো এখন শুধুই অতীত। একটা সময় ইলিশ মাছের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকলেও এখন তো বছরে দুই একবার খাওয়া হয় মাত্র। কুমড়ো পাতা দিয়ে এই নোনা ইলিশের পাতুরি সত্যি অনেক ভালো লাগে খেতে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 last year 

আসলেই ছোটবেলায় বর্ষাকালের সময় দেখতাম চারিদিকে শুধু মাছ আর মাছ। আর এখন তো মাছ খুবই কম দেখা যায়। বৃষ্টির দিনে আকাশের গর্জনে কৈ মাছ রাস্তায় পর্যন্ত উঠে যেত। সেই সোনালী দিন গুলো কোথায় হারিয়ে গেল। মাঝেমধ্যে ভাবি আর অবাক হই কতই না সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো। দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে আনন্দগুলো ততই মাটি হচ্ছে। এটা সত্যি ভাই গ্রামের মানুষও এখন অলস হয়ে গিয়েছে। কৃষিকাজের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

যদিও গ্রামে নয় শহরে জন্ম, আর তাই শহরেই বেড়ে উঠা। এজন্যই গ্রাম সম্পর্কে তেমন একটা ধারনা নেই। তবে ছেলেবেলায় বাবার মুখে অনেক গল্প শুনতাম যে বর্ষাকালে গ্রামের খালবিলে কি পরিমান মাছ হতো। আবার বর্ষার সবজিও কিন্তু গ্রাম গঞ্জে পড়ে থাকতো। কেউ খেত না। আর এখন ১ কেজি লতির দাম প্রায় ৬০-৭০ টাকা। বেশ সুন্দর একটি পোস্ট। বার বার ছেলে বেলার কথা মনে করিয়ে দেয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65546.28
ETH 2666.01
USDT 1.00
SBD 2.90