ভাগ্য।
আজ- ৫ই, আশ্বিন , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ভাগ্য এমন একটি বিষয় যা আমাদের জীবনটাকে পাল্টে দিতে পারে। ধনীরা নিমিষে ভাগ্যের দোষে পথের ভিখারি হতে পারে। আর এক কজন ভিখারি ভাগ্যের সহায় ধনী হয়ে যেতে পারে। কথাগুলো অবাস্তব, মুভি কিংবা সিনেমার মতো মনে হলেও বাস্তবে কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন সব ঘটনা ঘটে থাকে। আজ ঠিক তেমনি একজন ভাগ্যবান লোকের গল্প নিয়ে আপনার সামনে হাজির হয়েছি।
জহির শীতের সময় পুরনো জ্যাকেট, সোয়েটার,জিন্স প্যান্ট ইত্যাদি শীতের সকল বস্ত্র বিক্রি করেন ভ্যানে করে। খুব কম দামে শহর থেকে জিনিসগুলো নিয়ে গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতে জামাকাপড় বিক্রি করে থাকেন। এতে বেশ ভালো লাভ হতো তার। শহরে একবার এসে পুরনো জামা কাপড়ের পাইকারি বাজার থেকে জামা-কাপড় গুলো নিয়ে যেত। এবারের চালানে সে বেশ অনেকগুলো জামাকাপড় এনেছে। কেননা তখন গ্রামে প্রচুর শীত ছিল । আর এই প্রচন্ড শীতে জামা কাপড়ের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। আর নিম্নআয়ের মানুষগুলোর সামর্থ্য থাকে না যে দোকান থেকে নতুন শীতের জামা কাপড় কিনে পড়ার। তাই তারা বেশিরভাগ সময়ে এই সকল পুরনো জামা কাপড় থেকে পছন্দের বস্ত্রটি ক্রয় করেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
সে এবারের চালানে যে জামা কাপড় গুলো এনেছে তা প্রথমবারের মতো ভ্যানে করে সাজিয়ে বিক্রি করতে যায়। কাস্টমাররা আসে জামা কাপড় গুলোকে দেখে পছন্দ ও দাম দর এ হলে নিয়ে যায় আর না হলে রেখে চলে যায়। যার কারনে জামা কাপর গুলো এলোমেলো হয়ে যায়। আর তাই জামা কাপড় গুলোকে আবার ভাজ করে সাজিয়ে রাখতে হয়। যাইহোক এমন এক সময় একজন ক্রেতা একটি জ্যাকেট পছন্দ করেন কিন্তু দামদর এ ঠিক না হয়ার কারণে এটা বিক্রি করে না সে। সে যখন জ্যাকেট হাতে নিয়ে ভাঁজ করার জন্য ঝাড়ে তখনই ওই জ্যাকেট থেকে কিছু একটা বেরিয়ে নিচে পড়ে যায়।
সে যখন নিচে পড়া ওই জিনিসটা দেখে তখন সে বেশ অবাক হয়। কারন জিনিসগুলো ছিল স্বর্ণের কানের দুল । সে কৌতূহলে জ্যাকেট পকেট গুলোতে ভালোভাবে চেক করতে থাকে এখন তখন সে আরও কিছু জিনিস খুঁজে পাই। জিনিসগুলো নিয়ে সে স্বর্ণের দোকানে পরীক্ষা করলে জানতে পারে জিনিসগুলো খাঁটি স্বর্ণের।
যেহেতু এসব জ্যাকেট গুলো পুরনো অন্যদের ব্যবহারিত। তাই কেউ হয়তো জিনিসগুলো জ্যাকেটের পকেটে রেখে দিয়েছিল আর তা ভুলে গিয়েছিল এবং জ্যাকেটি বিক্রি করে দিয়েছে। আসলে এমন ভুল মাঝেমধ্যেই অনেকেরই হয়ে থাকে যেকোনো একটি জিনিস কোথাও রেখে দিলে তা পরবর্তীতে ভুলে যায়। তবে ঘটনাটার সত্যটা কেউ বলতে পারে না যে কিভাবে জ্যাকেটের পকেট এতগুলো স্বর্ণ আসলো।
তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে তার ভাগ্যের। কতজনের হাতের উপর দিয়ে তার এই জ্যাকেটটি এসেছে।
কত কাস্টমার এসেছে এগিয়েছে জ্যাকেটি হাতে নিয়েছে কই তারা তো কেউ এই জিনিস খেয়াল করেনি। আসলে একেই বলে ভাগ্য। শুনেছি বেশ অনেক টাকার স্বর্ণ ছিল ওখানে।
যাইহোক, এতক্ষণ যার গল্প বলছিলাম সে লোকটি হচ্ছে আমাদের গ্রামের। তবে আমাদের খুব বেশি পরিচিত নয়। তার এই ভাগ্য পরিবর্তনের ঘটনাটি পুরো গ্রামের মানুষ জেনে গিয়েছিল। গ্রামের পরিচিত বিভিন্ন লোক এবং আত্মীয়দের থেকে আমাদের এই ঘটনাটি জানা। যদি ও অনেক দিন আগের ঘটনা তবে আজ হঠাৎ মনে পড়লো তাই ভাবলাম বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি বলতে আমাদের এই তাকদীর কে মানতেই হবে,কারণ আল্লাহ কখন তার জন্যে কোথায় কি রাখেন তা একমাত্র তিনিই বলতে পারেন,তবে এই লোকের বিষয়টাকে ঠিক কি বলা যায় ?? কারণ ইসলামে আছে কারো জিনিস কুড়িয়ে পেলে বা কোনো মাদ্ধমে পেলে তা ওই ব্যাক্তিকে ফেরত দেয়া। কিন্তু এই লোক তা করেনি। আর তাকদীর বলতে ওটাকেই বুঝায় যেমন আমি কারো জিনিস কুড়িয়ে পেয়েছি আর ওই জিনিস ওই লোকের কাছে ফেরত দেয়াতে সে আমাকে এমন একটি জিনিস দিয়েছে যা থেকে আমি অনেক বড়োলোক হয়ে গেছি। এটা আমার মনে হলো ,
অবশ্যই মানুষের ভাগ্য বলতে কিছু আছে আল্লাহ যদি চায় তাহলে মানুষের ভাগ্য এক নিমেষের মধ্যেই পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। আল্লাহ পরিশ্রমী লোককে পছন্দ করে সেটা আমরা সবাই জানি আর এই স্বর্ণের দুলগুলো এবং অন্যান্য আরো যাবতীয় জিনিসগুলো জহিরের ভাগ্যেই লেখা ছিল তাই সেটা সেই পেয়েছে যত মানুষ দেখুক না কেন সেটা যার ভাগ্যে আছে সেই পাবে ।আর আপনি এটাও ঠিক বলেছেন যে এটা শুধু নাটক সিনেমাতে নয় বাস্তবেও অনেক ঘটে।
আসলে জহির এর এই ঘটনাটি অনেকটা রোমাঞ্চকর।
মাঝে মাঝেই মুখের কথায় কথায় আমরা বলে থাকি যে ভাগ্য সহায়।। আসলে এই কথাটি ঠিক মানুষের তকদিরের উপর সবকিছু নির্ভর করে সৃষ্টিকর্তা না জানি ভাগ্যে কার কি রেখেছে।। কেউ হয়তো রাতারাতি কোটিপতি আবার কেউ হয়তো রাতারাতি ফকির হয়ে যাচ্ছে এটাই ভাগ্যের খেলা।। খুব সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আসলে ভাগ্য পরিবর্তন হতে মানুষের সময় লাগে না।। আমাদের এখানেও একটা এরকম ঘটনা ঘটেছিল সে 100 ডলার পেয়েছিল বড় একটি জ্যাকেটের পকেটে আমেরিকান।। জহিরের হয়তো ভাগ্যে এটাই লেখা ছিল আর সৃষ্টিকর্তা সেটাই তাকে মিলিয়ে দিয়েছে।।
আমিও ভাগ্যে বিশ্বাস করি, মানুষের সফলতার পিছনে প্রথম পরিশ্রম আর দ্বিতীয় ভাগ্য। অনেকেই আছে সারাজীবন পরিশ্রম করেই যায় কিন্তু তাদের কোন উন্নতি নেই অথচ একজন কম পরিশ্রম করেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক উন্নতি করে ফেলছে। জহির এর ভাগ্য ভালো ছিল বলেইনএতগুলো স্বর্ন একবারে হাতে পেয়েছে। কার ভাগ্য কখন কিভাবে ফিরবে সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভাগের উপর কারো কোন হাত নেই।
হয়তো সেই জ্যাকেটটি অনেকের হাতে গিয়েছে। কিন্তু জহিরের ভাগ্যে সেই স্বর্ণগুলো ছিল বলেই সে পেয়েছে। না হলে অন্য কেউ পেয়ে যেত। এরকম ঘটনা অনেক ঘটে থাকে। আসলে পুরনো কোন কাপড়ের পকেটে কোন কিছু রাখলে অনেক সময় খেয়াল থাকে না। ভাইয়া আপনার গ্রামের সেই লোকটির গল্প শুনে ভালই লাগলো।
ভাইয়া কার ভাগ্য কিভাবে কখন পরিবর্তন হয় কেউ জানে না। পুরাতন কাপড় বিক্রেতার ভাগ্য ভাল তাই সে স্বর্ণ গুলো পেয়ে গেছে।এরকম অনেক শুনেছি পুরাতন পুকুরে মাটি কাটতে গিয়ে স্বর্ন পেয়েছে। কার ভাগ্য কি আছে কেউ বলতে পারে না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি প্রচন্ড বিশ্বাস করি ভাই।কারন ছোট থেকেই দেখতেছি আমার কোন কাজ একদিনে বা একবারে কমপ্লিট হয়না।যত সঠিক ভাবেই করি না কেন।আরো অনেক ঘটনা আছে।ভাবতেছি এটা নিয়ে একটা সিরিজ লিখব।
ঠিক বলেছেন ভাই, ভাগ্য বলতে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতেও রয়েছে। আপনি যত কর্মই করেন ভাগ্যে যদি না থাকে তাহলে কিছুই হবে না। এবং এটি আমি মনে প্রানে মানি। আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সহ শুভকামনা রইল।
মানুষের ভাগ্যে কখন কি হয় সেটা কেউ জানে না । সমাজে এরকম অনেক বাস্তব উদাহরণ রয়েছে যেগুলো আমাদের চোখে দেখা। আজকে ভাগ্য নিয়ে দারুন একটি গল্প উদাহরণের মাধ্যমে দিলেন সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। জহিরের ভাগ্যে স্বর্ণগুলো ছিল বলেই তার বিক্রি করা সেই জ্যাকেট ক্রেতা নিতে পারেনি।
যার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে তবে পরিশ্রম এবং চেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
জি ভাইয়া ভাগ্যে লিখন কেউ বদলাতে পারে না ৷যদিও এখনো গ্রামের মানুষ ওইসব কথা বলে ৷কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম খুব বেশি বিশ্বাস করে না৷তবে হ্যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্যি ভাগ্য বদলে যায় ৷যদিও সেটা সবার ক্ষেত্রে ঘটে না ৷ একটা কথা বলে সবার ভাগ্যে সবকিছু থাকে না ৷
তবে এটা ঠিক ভাগ্য এমন ধনী ব্যক্তিও রাস্তার ফকির হয়ে যায় ৷
যেমনটা আপনার গল্পের জহির সাথে ৷যে একজন গরীব মানুষ অথচ সে ব্যাব্যসা করার ফলে ৷সে আজ ধনী ব্যক্তি হয়ে গেলো ৷
চমৎকার ব্লগ ছিল ধন্যবাদ